ঢাকা ১২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দুর্ধষ চুরি ! ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত।  ঈমানের অগ্নিপরীক্ষা! হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী। 

তকানিয়া উপজেলার আবহাওয়া ও পরিবেশ নষ্ট করছে ইট ভাটা 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২ ১০১ বার পড়া হয়েছে

কামরুল ইসলাম : সাতকানিয়া উপজেলায় ভেঙের চাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ ইট ভাটা শুধু তাই নয় এই ইট ভাটার মালিকরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত দূষিত করছে পরিবেশ অথচ এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার মাথা ব্যাতা নেই ।অথচ এই অবৈধ ইট ভাটার কারণে ক্ষতির শিকার হচ্ছে কৃষি জমি।এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনেরও পরিবেশ অধিদপ্তরের নেই কোন কার্যকর পদক্ষেপ। ভাটামালিকদের এসব অবৈধ কর্মকান্ডের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়েছে বলে জানাযায়। আরও জানা গেছে,সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে উঠেছে প্রায় ১০০ টি ইটভাটা। এসব ইটভাটায় দু’একটি বাদে কোন ইটভাটার নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। ফসলি জমির মধ্যে অনুমোদনহীন এসব ভাটা গড়ে তুলে ক্ষতি করছে ফসলি জমির। এসব ভাটার কাচামাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য ফসলি জমির মাটি কেটে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। একটি চক্র নদী,খাল থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে এসব ভাটায়। এরা ডেম্পার ভরে মাটি আনার সময় রাস্তায় মাটি ফেলে রেখে পরিবেশ বিপর্যস্ত করে তুলছে। ফলে বৃষ্টি হলেই ভাটা সংলগ্ন রাস্তায় চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃস্টি হচ্ছে।

ভাটামালিকরা একদিকে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে ইটভাটা, অন্যদিকে এসব ভাটায় কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ- খড়ি। ইট ভাটার মূল ক্লেন এর পাশেই বিপুল পরিমাণ কাঠ খড়ি স্তুপ করে রাখা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন অবৈধ ইট ভাটা পর্যবেক্ষণ করেন দৈনিক স্বাধীন সংবাদ ও দৈনিক এই আমার দেশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার কামরুল ইসলাম এই সময় বেশ কয়েকজন সচেতন মানুষ এই অবৈধ ইট ভাটাই কয়লার পরিবর্তে কাঠ-খড়ি পোড়ানোসহ অবৈধ ভাটা বন্ধের বিষয়টি সম্পর্কে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। তারা আরও বলেন এবিষয়ে তদন্ত টিম গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ । আরও তদন্ত করে জানা গেছে, ইটভাটা সমিতিতে ভাটা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা উত্তোলন করে দিয়ে চলতি মাসের ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত কাঠ পোড়ানোর অনুমতি লাভ করে। ১৫ জানুয়ারী পার হয়ে গেলেও বেশ কয়েকটি ইটভাটায় কাঠ-খড়ি পোড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।অভিযোগের ভিত্তিতে

গতকাল সরেজমিনে বেশ কিছু ইটভাটায় গিয়ে দেখা গেছে ভাটার মূল ক্লেনের পাশেই পোড়ানোর উপযোগী করে কাঠ খড়ি জড়ো করে রাখা হয়েছে। কয়লার পরিবর্তে এই ভাটা গুলোতে দেদারচ্ছে পোড়ানো হচ্ছে কাঠের খড়ি। ফলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য অথচ এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার মাথা ব্যাথা নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তকানিয়া উপজেলার আবহাওয়া ও পরিবেশ নষ্ট করছে ইট ভাটা 

আপডেট সময় : ১২:৪৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

কামরুল ইসলাম : সাতকানিয়া উপজেলায় ভেঙের চাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ ইট ভাটা শুধু তাই নয় এই ইট ভাটার মালিকরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত দূষিত করছে পরিবেশ অথচ এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার মাথা ব্যাতা নেই ।অথচ এই অবৈধ ইট ভাটার কারণে ক্ষতির শিকার হচ্ছে কৃষি জমি।এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনেরও পরিবেশ অধিদপ্তরের নেই কোন কার্যকর পদক্ষেপ। ভাটামালিকদের এসব অবৈধ কর্মকান্ডের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়েছে বলে জানাযায়। আরও জানা গেছে,সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে উঠেছে প্রায় ১০০ টি ইটভাটা। এসব ইটভাটায় দু’একটি বাদে কোন ইটভাটার নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। ফসলি জমির মধ্যে অনুমোদনহীন এসব ভাটা গড়ে তুলে ক্ষতি করছে ফসলি জমির। এসব ভাটার কাচামাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য ফসলি জমির মাটি কেটে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। একটি চক্র নদী,খাল থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে এসব ভাটায়। এরা ডেম্পার ভরে মাটি আনার সময় রাস্তায় মাটি ফেলে রেখে পরিবেশ বিপর্যস্ত করে তুলছে। ফলে বৃষ্টি হলেই ভাটা সংলগ্ন রাস্তায় চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃস্টি হচ্ছে।

ভাটামালিকরা একদিকে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে ইটভাটা, অন্যদিকে এসব ভাটায় কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ- খড়ি। ইট ভাটার মূল ক্লেন এর পাশেই বিপুল পরিমাণ কাঠ খড়ি স্তুপ করে রাখা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন অবৈধ ইট ভাটা পর্যবেক্ষণ করেন দৈনিক স্বাধীন সংবাদ ও দৈনিক এই আমার দেশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার কামরুল ইসলাম এই সময় বেশ কয়েকজন সচেতন মানুষ এই অবৈধ ইট ভাটাই কয়লার পরিবর্তে কাঠ-খড়ি পোড়ানোসহ অবৈধ ভাটা বন্ধের বিষয়টি সম্পর্কে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। তারা আরও বলেন এবিষয়ে তদন্ত টিম গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ । আরও তদন্ত করে জানা গেছে, ইটভাটা সমিতিতে ভাটা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা উত্তোলন করে দিয়ে চলতি মাসের ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত কাঠ পোড়ানোর অনুমতি লাভ করে। ১৫ জানুয়ারী পার হয়ে গেলেও বেশ কয়েকটি ইটভাটায় কাঠ-খড়ি পোড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।অভিযোগের ভিত্তিতে

গতকাল সরেজমিনে বেশ কিছু ইটভাটায় গিয়ে দেখা গেছে ভাটার মূল ক্লেনের পাশেই পোড়ানোর উপযোগী করে কাঠ খড়ি জড়ো করে রাখা হয়েছে। কয়লার পরিবর্তে এই ভাটা গুলোতে দেদারচ্ছে পোড়ানো হচ্ছে কাঠের খড়ি। ফলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য অথচ এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার মাথা ব্যাথা নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার।

শেয়ার করুন