ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ৬ মাসে আয় ৫৬ কোটি !

- আপডেট সময় : ০৮:৩২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪ ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ৬ মাসে আয় ৫৬ কোটি !
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ।
২০২৩ সালের ২রা সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফলক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বহুল প্রতীক্ষিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের পর থেকে সাধারণ মানুষ আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত শুভ পাচ্ছে না। ধনীক শ্রেণীর ভিআইপি সড়ক পথ বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ও এফডিইই কোম্পানি লিমিটেডের তথ্য মতে, উদ্বোধনের পর থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ৬ মাসে আয় ৫৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
২রা সেপ্টেম্বর/২৩ মাসে চালু এক্সপ্রেসওয়ে
প্রথম মাসে
০৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪৭টি গাড়ি এক্সপ্রেসওয়ে চলে তার টোল আদায় হয়েছে ৬.৭৭ কোটি টাকা।
অক্টোবর মাসে ৯ লাখ ২৩ হাজার যানবাহন থেকে সাড়ে ৭.৫০ কোটি টাকার বেশি টোল আদায় হয়।
নভেম্বরে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতালের কারণে যান চলাচল ও টোল আদায় কমে ৮ লাখ ০৮ হাজার যানবাহন থেকে সাড়ে ৬.৫৭ কোটি টাকার টোল আদায় করে। ডিসেম্বরে ১০ লাখ ৭০ হাজারের বেশি যানবাহন থেকে ৮.৭৮কোটি টাকা টোল আদায় হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি/২৪ মাসে ১১ লাখ ৩ হাজারের বেশি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয় ৯.০৩ কোটি টাকার বেশি। ফেব্রুয়ারি মাসে ৯ লাখ ০৮ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচলে টোল আদায় হয়েছে ৯.৯৯কোটি টাকা ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত ১১.৫ কিলোমিটার ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন ।এটি শহরের যানজট উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে বলে আশা করেছিলেন কিন্তু তার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না – সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে – উত্তরার ও আশপাশের মানুষের অনেকটা আশার আলো মেট্রোরেল।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় শতভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি -এই উড়ালসড়ক হওয়ার পর রাজধানীর যানজট কমার যে আশা করা হয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। উল্টো কোনো কোনো স্থানে যানজট আরও বেড়েছে। তবে এই এক্সপ্রেসওয়ে চালুতে সুবিধা হয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকদের। প্রায় ৯৯ শতাংশই ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করছে।
কমেনি এক্সপ্রেসওয়ের নিচের সড়কের যানজট
নগরীর অধিকাংশ গণপরিবহন এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার না করায় মহাখালী, বনানী, ফার্মগেট অংশে প্রতিনিয়ত যানজটের চিত্র দেখা যাচ্ছে। একইসাথে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডের আন্তঃজেলা পরিবহনগুলোও এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার না করে চলছে নিচের সড়ক দিয়ে। ফলে যানজটের চিত্র থেকে গেছে আগের মতোই।
মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশা এক্সপ্রেসওয়ে চলাচল সহ ভাড়া কমানোর দাবি সর্বমহলে –
এক্সপ্রেসওয়ে লক্ষ্যমাত্রা দৈনিক ৮০ হাজারের বেশি যান । ৮০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করলে যে রাজস্ব আদায় হবে সেটির ২৫ শতাংশ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ পাবে। আর সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে ১০ শতাংশ দেবে রেলওয়েকে। তবে দৈনিক সাড়ে ১৩ হাজারের চেয়ে কম যানবাহন চলাচল করলে বিনিয়োগকারীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরকারের।