ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিঃ এর বিভিন্ন দুর্নীতি ও আত্মিক অনিয়ম

মোঃ মাহবুব আলম রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০১:০৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মাহবুব আলম
রিপোর্টার

ডেল্টা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিঃ এর বিভিন্ন দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ তারিখে আইডিআরএ প্রশাসক নিয়োগ করেন। প্রশাসকগণ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে কয়েকটি অডিট ফার্মকে নিয়োগ প্রদান করেন। অডিট চলাকালিন আইটির দুইজন কর্মকর্তা বীমা গ্রাহকের ডাটা আপডেট ও ডিলিট করে কোটি কোটি টাকা কম্পিউটার সার্ভার থেকে মুছে দেয়। প্রশাসকের তদন্তে ডাটা ডিলিট প্রমাণিত হওয়ায় আইডিআরএ’র একজন কর্মকর্তা জনাব ইমদাদ হোসেন বাদি হয়ে গুলশান থানা ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যক্ট একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং ১০ (আমরা এ সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি)। এরই মধ্যে ডেল্টা লাইফ সাসপেন্ড পরিচালনা পর্যদ আইডিআরএ’র বিরুদ্ধে প্রশাসক নিয়োগ অবৈধ এই মর্মে মহামান্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। আপিল বিভাগের শুনানি একপর্যায়ে তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ মধ্যস্তায় রীট মহামান্য আপিল বিভাগে নিষ্পতি না হয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি সম্পাদিত হয়। যার নামকরণ করা হয় “সমঝোতা বোর্ড”।

আমরা দেখেছি ১৩ মে, ২০১৭ সালে সমকাল পত্রিকা আইন ভেঙ্গে মঞ্জুরুর রহমান পূর্বালী ব্যাংকের পরিচালক একটি

শিরোনামে সত্য তথ্য নিউজ করেন। যার ফলস্বরূপ সমকালের মালিক জনাব একে আজাদ তার ছেলে জনাব সাকিব আজাদকে এই সমঝোতার পরিচালক করতে পেরেছেন। ডেল্টা লাইফের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার আওয়ামীলীগের ২০১৮ সালের এমপি। কোন শেয়ারের মালিক না হয়েও, তিনি চেয়ারম্যান পদে সম্মানিত হন এবং জনাব ফিদা এম কামাল মহামান্য আদালতের নির্দেশে এসেছেন সমঝোতার বোর্ডের দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অডিট পরীক্ষা করা জন্য, পরীক্ষা করতে এসে তিনিও ডেল্টা লাইফের মালিক হয়ে যান। প্রশাসক চলাকালিন যে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ডেলটা লাইফের প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এবং আইডিআরএ কর্তৃক পাঠানো

অডিটরদের সাথে দায়িত্বপালন করার কারণে বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার এমপি সহ ডেল্টা লাইফের কিছু সংখ্যক পরিচালক গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ থেকে শুরু করে ১০০ জনের উপরে কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে শ্রম আইনের ২৬ ধারায় চাকুরীচ্যুত ও জোরপূর্বক চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছে এবং যাদের মধ্যে জনাব কামরুল ইসলাম বাবলু খুলনা বিভাগীয় শ্রম আদালতে সংক্ষুদ্ধ হয়ে মামলা করেন যার নং শ্রম ২৭/২৪। কোম্পানী দেওলিয়া নয়, তারপরও নিরীহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শ্রম আইনের ২৬ ধারা চাকুরীচ্যুত করে, অসংখ্য নতুন নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা স্যারের কাছে শ্রম আইনের ২৬ ধারা চাকুরীচ্যুত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চাই।

এইভাবে আইন ভেঙ্গে জনাব মঞ্জুরুর রহমান ডেল্টা লাইফে দখল ও আদিপত্যের দ্বারা একটি “পরিবার বোর্ড” গঠন করার কারণে, ক্ষমতাধর কিছু মৌসুমী মালিকের আগমন ঘটে এবং কিছু দিন ভোগ বিলাস করে চলে যায়। যখনই কোন মৌসুমী মালিক ডেল্টা লাইফে আর্বিভাব হয়, তখনই এই সুবিধাভুগী কর্মকর্তারা (উত্তম কুমার সাধু, আনোয়ারুল হক, মিল্টন বেপারী, আসাদুজ্জামান মল্লিক, মাকসুদ, পল্লব ভৌমিক ও কাজী এহতেশাম ফয়সাল) তাদের অপকর্মের কর্মকান্ড আড়াল করতে নিরীহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি ছাড়তে বাধ্য করে, না করলে শ্রম আইনের ২৬ ধারা চাকুরীচ্যুত করে।

ইতিমধ্যে আমরা বিচারের দাবিতে, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর, অর্থ মন্ত্রনালয়, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ ও আইডিআরএর’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি।

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর সর্বাধিক মঙ্গলের জন্য শেয়ার হোল্ডার, বীমাগ্রাহক, বৈষ্যম্যের স্বীকার কর্মকর্তা কর্মচারীদের কথা বিবেচনা করে, ডেল্টা লাইফের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে কোম্পানীর মূল পৃষ্ঠপোষক পরিচালকদের নিয়ে নতুন নিরপেক্ষ পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা এবং অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের পরিবারবর্গের কথা বিবেচনা করে পুনরায় চাকরিতে বহালের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ ইউনুস স্যারের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর বৈষম্যের স্বীকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষে

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিঃ এর বিভিন্ন দুর্নীতি ও আত্মিক অনিয়ম

আপডেট সময় : ০১:০৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

মোঃ মাহবুব আলম
রিপোর্টার

ডেল্টা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিঃ এর বিভিন্ন দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ তারিখে আইডিআরএ প্রশাসক নিয়োগ করেন। প্রশাসকগণ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে কয়েকটি অডিট ফার্মকে নিয়োগ প্রদান করেন। অডিট চলাকালিন আইটির দুইজন কর্মকর্তা বীমা গ্রাহকের ডাটা আপডেট ও ডিলিট করে কোটি কোটি টাকা কম্পিউটার সার্ভার থেকে মুছে দেয়। প্রশাসকের তদন্তে ডাটা ডিলিট প্রমাণিত হওয়ায় আইডিআরএ’র একজন কর্মকর্তা জনাব ইমদাদ হোসেন বাদি হয়ে গুলশান থানা ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যক্ট একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং ১০ (আমরা এ সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি)। এরই মধ্যে ডেল্টা লাইফ সাসপেন্ড পরিচালনা পর্যদ আইডিআরএ’র বিরুদ্ধে প্রশাসক নিয়োগ অবৈধ এই মর্মে মহামান্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। আপিল বিভাগের শুনানি একপর্যায়ে তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ মধ্যস্তায় রীট মহামান্য আপিল বিভাগে নিষ্পতি না হয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি সম্পাদিত হয়। যার নামকরণ করা হয় “সমঝোতা বোর্ড”।

আমরা দেখেছি ১৩ মে, ২০১৭ সালে সমকাল পত্রিকা আইন ভেঙ্গে মঞ্জুরুর রহমান পূর্বালী ব্যাংকের পরিচালক একটি

শিরোনামে সত্য তথ্য নিউজ করেন। যার ফলস্বরূপ সমকালের মালিক জনাব একে আজাদ তার ছেলে জনাব সাকিব আজাদকে এই সমঝোতার পরিচালক করতে পেরেছেন। ডেল্টা লাইফের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার আওয়ামীলীগের ২০১৮ সালের এমপি। কোন শেয়ারের মালিক না হয়েও, তিনি চেয়ারম্যান পদে সম্মানিত হন এবং জনাব ফিদা এম কামাল মহামান্য আদালতের নির্দেশে এসেছেন সমঝোতার বোর্ডের দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অডিট পরীক্ষা করা জন্য, পরীক্ষা করতে এসে তিনিও ডেল্টা লাইফের মালিক হয়ে যান। প্রশাসক চলাকালিন যে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ডেলটা লাইফের প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এবং আইডিআরএ কর্তৃক পাঠানো

অডিটরদের সাথে দায়িত্বপালন করার কারণে বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার এমপি সহ ডেল্টা লাইফের কিছু সংখ্যক পরিচালক গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ থেকে শুরু করে ১০০ জনের উপরে কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে শ্রম আইনের ২৬ ধারায় চাকুরীচ্যুত ও জোরপূর্বক চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছে এবং যাদের মধ্যে জনাব কামরুল ইসলাম বাবলু খুলনা বিভাগীয় শ্রম আদালতে সংক্ষুদ্ধ হয়ে মামলা করেন যার নং শ্রম ২৭/২৪। কোম্পানী দেওলিয়া নয়, তারপরও নিরীহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শ্রম আইনের ২৬ ধারা চাকুরীচ্যুত করে, অসংখ্য নতুন নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা স্যারের কাছে শ্রম আইনের ২৬ ধারা চাকুরীচ্যুত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চাই।

এইভাবে আইন ভেঙ্গে জনাব মঞ্জুরুর রহমান ডেল্টা লাইফে দখল ও আদিপত্যের দ্বারা একটি “পরিবার বোর্ড” গঠন করার কারণে, ক্ষমতাধর কিছু মৌসুমী মালিকের আগমন ঘটে এবং কিছু দিন ভোগ বিলাস করে চলে যায়। যখনই কোন মৌসুমী মালিক ডেল্টা লাইফে আর্বিভাব হয়, তখনই এই সুবিধাভুগী কর্মকর্তারা (উত্তম কুমার সাধু, আনোয়ারুল হক, মিল্টন বেপারী, আসাদুজ্জামান মল্লিক, মাকসুদ, পল্লব ভৌমিক ও কাজী এহতেশাম ফয়সাল) তাদের অপকর্মের কর্মকান্ড আড়াল করতে নিরীহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি ছাড়তে বাধ্য করে, না করলে শ্রম আইনের ২৬ ধারা চাকুরীচ্যুত করে।

ইতিমধ্যে আমরা বিচারের দাবিতে, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর, অর্থ মন্ত্রনালয়, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ ও আইডিআরএর’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছি।

ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর সর্বাধিক মঙ্গলের জন্য শেয়ার হোল্ডার, বীমাগ্রাহক, বৈষ্যম্যের স্বীকার কর্মকর্তা কর্মচারীদের কথা বিবেচনা করে, ডেল্টা লাইফের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে কোম্পানীর মূল পৃষ্ঠপোষক পরিচালকদের নিয়ে নতুন নিরপেক্ষ পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা এবং অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের পরিবারবর্গের কথা বিবেচনা করে পুনরায় চাকরিতে বহালের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ ইউনুস স্যারের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর বৈষম্যের স্বীকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষে

শেয়ার করুন