ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ হলে পাহাড় পর্বত অতিক্রম করতে পারে : ইঞ্জিঃ ইশরাক হোসেন

- আপডেট সময় : ১১:২২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে

মীরু হাসান, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ হলে পাহাড় পর্বত অতিক্রম করতে পারে। জুলাই আগস্ট গণআন্দোলনে ছাত্ররা নিজেদের জীবন বিলীন করে, তাজা রক্ত দিয়ে, বুলেট গায়ে নিয়ে তারা বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব খুনি হাসিনার আমুলে খর্ব হয়েছিল। বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা কে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে লুটপাটের মহা রাজ্যে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশকে শেখ পরিবারের কাছে দাসত্বে পরিণত করা হয়েছিল। ইশরাক বলেন, ছাত্র জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। জনগণের যে প্রত্যাশা তার সাথে তাল মিলিয়ে এবং জুলাই আগস্টে যে বিপ্লব হয়েছে, গণঅভ্যন্তর হয়েছে সেই স্পিড বুকে ধারণ করতে হবে। আগামী দিনে বাংলাদেশের রাজনীতি অনেক কঠিন হবে। বিএনপি’র প্রতি জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আগামী নির্বাচন অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। জনগণের সমর্থন ও মনকে জয় করে তাদের ভোট নিয়ে আমাদের দলকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
তিনি শনিবার বগুড়া জেলা ছাত্রদল আয়োজিত সরকারি আজিজুল হক কলেজ মাঠে উন্মুক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। ৩১ দফা কর্মসূচি বিএনপি’র এককভাবে নয়, ৬০টির অধিক রাজনৈতিক দলের সাথে কনসালটেশনের মাধ্যমে এটি তৈরি করা হয়েছে। ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার দেড় বছর পূর্বে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এখন যেই সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, সেই সংস্কারের কথা সর্বপ্রথম বিএনপি প্রস্তাব করেছে। একদলীয় বাকশালকে বাতিল করে বাংলাদেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, এর চাইতে বড় সংস্কার বাংলাদেশের ইতিহাসে আর নেই। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে নেতারা ছিলেন মুখপাত্ররা ছিলেন তারা এক নতুন দল গঠন করেছে, আমরা তাদেরকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানাই। একটা পক্ষ বিভিন্নভাবে সরকারের ভিতর থেকে ষড়যন্ত্র করছে নির্বাচনকে পিছিয়ে দিতে। কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সেটাকে স্থায়ী করা হোক, বাংলাদেশের নির্বাচন যেন আর কোনদিনও লুট করতে না পারে, সেটার জন্য যা যা সংস্কার করার দরকার দ্রুত করতে হবে। খুনি হাসিনার বিচার আর কেউ করুক আর না করুক বিএনপি করবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিশুথেকে নারী কেও রক্ষা পায়নি হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে। দেশের মানুষ কোনদিনও এগুলো ভুলবে না। বহু ছাত্র ভাইদেরকে গুম করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত অনেক গুম হওয়া নেতাকর্মীর খোঁজ নেই। তাদের পরিবার এখনো জানেনা তারা কোথায় আছে।
বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, আলী আজগর তালুকদার হেনা, শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন।
আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উন নবী সালাম, কেএম খায়রুল বাশার, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম প্রমুখ সার্বিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ।