ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ইজতেমার উদ্দেশে যাওয়ার পথে কুড়িগ্রাম ব্রহ্মপুত্রে নৌ-ডাকাতি ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দুর্ধষ চুরি ! ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত। 

চোরাগলির পথে প্রান্তরে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, কোচিং বাণিজ্যের পোয়াবারো

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ২৫৮ বার পড়া হয়েছে

 

এবিসি ন্যাশনাল নিউজঃ

একাদশ শ্রেণির ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে। সারা বাংলাদেশে কলেজ গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশনও শেষ। অনেক কলেজে ক্লাসও শুরু হয়ে গেছে।
নতুন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা।
কিন্তু আমি একটা ভিন্ন বিষয় সবার সামনে আনতে চাই। জেলা শহরের প্রধান কলেজ গুলোতে শিক্ষার্থী উপচে পড়ছে কিন্তু গ্রামের কলেজ গুলোতে শিক্ষার্থী সংকট প্রচুর।
কীসের আশায় অসংখ্য শিক্ষার্থী শহরের নামি-দামি কলেজ এ ভর্তি হচ্ছে?
কী আছে এসব কলেজে?
প্রচুর শিক্ষক? শিক্ষা উপকরণ? মানসম্মত ক্লাসের সুযোগ সুবিধা?
না নেই। একেবারে হাতেগোনা কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এইসব সুযোগ সুবিধা আছে। বেশিরভাগ কলেজ তাদের সক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে। প্রতিটি সেকশনে ১৫০ থেকে ২৫০ পর্যন্ত শিক্ষার্থী। একটা সেকশনে এতো শিক্ষার্থী বসার যায়গা অনেক কলেজে নেই। এইসব ছেলেমেয়েরা প্রথম দিনই বুঝে যাবে আসলে তাদের কলেজে শেখার কিছুই নেই।
সুতরাং তারা বাধ্য হয়ে বাইরে কোচিং সেন্টারের শরণাপন্ন হবে। কোচিং সেন্টার গুলোও একধাপ এগিয়ে। তারা এসএসসি পরীক্ষার পরপরই শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে গেছে।
তাহলে আমার প্রশ্ন, এই স্কুল কলেজ এইসব প্রতিষ্ঠান কোন কাজে আসছে? এগুলো কি শুধুই পরীক্ষা কেন্দ্র?
এইসব সমস্যা সমাধানের কোনো উপায় কি নেই?
চরম অব্যবস্থাপনা -নৈরাজ্য নিয়েই কি শিক্ষা ব্যবস্থা চলতে থাকবে?
অথচ উপজেলা এবং গ্রামের অনেক কলেজে শিক্ষার্থী সংকট চলছে। ২০ জন বিজ্ঞানের শিক্ষকের বিপরীতে ২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা বড়ো আশা করে নামকরা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ভর্তি হয়ে বুঝতে পারছে যে তারা ফাঁদে আটকা পড়ে গেছে।
বোর্ড গুলোর উচিত হবে আসনসংখ্যার পুনর্বিন্যাস করা। প্রকৃত সক্ষমতার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হলে গ্রামের কলেজ গুলো যেমন প্রাণ ফিরে পাবে, তেমনি শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ ভালো হবে আশা করা যায়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠুক শিক্ষার জন্য একমাত্র ক্ষেত্র এবং তীর্থ স্থান । শিক্ষার্থী শুন্য শ্রেণিকক্ষ একজন শিক্ষকের জন্য অত্যন্ত কষ্টের,বেদনার । তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমার এই লেখার মাধ্যমে।
লেখকঃ মোঃ মাসুদ রানা
সহকারী অধ্যাপক, রসায়ন
৩৩ তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা।
বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চোরাগলির পথে প্রান্তরে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, কোচিং বাণিজ্যের পোয়াবারো

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

 

এবিসি ন্যাশনাল নিউজঃ

একাদশ শ্রেণির ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে। সারা বাংলাদেশে কলেজ গুলোতে ছাত্রছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশনও শেষ। অনেক কলেজে ক্লাসও শুরু হয়ে গেছে।
নতুন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা।
কিন্তু আমি একটা ভিন্ন বিষয় সবার সামনে আনতে চাই। জেলা শহরের প্রধান কলেজ গুলোতে শিক্ষার্থী উপচে পড়ছে কিন্তু গ্রামের কলেজ গুলোতে শিক্ষার্থী সংকট প্রচুর।
কীসের আশায় অসংখ্য শিক্ষার্থী শহরের নামি-দামি কলেজ এ ভর্তি হচ্ছে?
কী আছে এসব কলেজে?
প্রচুর শিক্ষক? শিক্ষা উপকরণ? মানসম্মত ক্লাসের সুযোগ সুবিধা?
না নেই। একেবারে হাতেগোনা কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এইসব সুযোগ সুবিধা আছে। বেশিরভাগ কলেজ তাদের সক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে। প্রতিটি সেকশনে ১৫০ থেকে ২৫০ পর্যন্ত শিক্ষার্থী। একটা সেকশনে এতো শিক্ষার্থী বসার যায়গা অনেক কলেজে নেই। এইসব ছেলেমেয়েরা প্রথম দিনই বুঝে যাবে আসলে তাদের কলেজে শেখার কিছুই নেই।
সুতরাং তারা বাধ্য হয়ে বাইরে কোচিং সেন্টারের শরণাপন্ন হবে। কোচিং সেন্টার গুলোও একধাপ এগিয়ে। তারা এসএসসি পরীক্ষার পরপরই শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে গেছে।
তাহলে আমার প্রশ্ন, এই স্কুল কলেজ এইসব প্রতিষ্ঠান কোন কাজে আসছে? এগুলো কি শুধুই পরীক্ষা কেন্দ্র?
এইসব সমস্যা সমাধানের কোনো উপায় কি নেই?
চরম অব্যবস্থাপনা -নৈরাজ্য নিয়েই কি শিক্ষা ব্যবস্থা চলতে থাকবে?
অথচ উপজেলা এবং গ্রামের অনেক কলেজে শিক্ষার্থী সংকট চলছে। ২০ জন বিজ্ঞানের শিক্ষকের বিপরীতে ২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা বড়ো আশা করে নামকরা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ভর্তি হয়ে বুঝতে পারছে যে তারা ফাঁদে আটকা পড়ে গেছে।
বোর্ড গুলোর উচিত হবে আসনসংখ্যার পুনর্বিন্যাস করা। প্রকৃত সক্ষমতার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হলে গ্রামের কলেজ গুলো যেমন প্রাণ ফিরে পাবে, তেমনি শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ ভালো হবে আশা করা যায়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠুক শিক্ষার জন্য একমাত্র ক্ষেত্র এবং তীর্থ স্থান । শিক্ষার্থী শুন্য শ্রেণিকক্ষ একজন শিক্ষকের জন্য অত্যন্ত কষ্টের,বেদনার । তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমার এই লেখার মাধ্যমে।
লেখকঃ মোঃ মাসুদ রানা
সহকারী অধ্যাপক, রসায়ন
৩৩ তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা।
বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা।

শেয়ার করুন