ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত।  ঈমানের অগ্নিপরীক্ষা! হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।  আদমদীঘিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ, প্রশাসন নীরব

গো-খাদ্যের সংকট কাটাতে সড়কের দু’পাশে ঘাস চাষ

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
  • আপডেট সময় : ১২:২২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ইং ০৬:০১ পিএম.

কুড়িগ্রামে গবাদিপশুর গো-খাদ্যের অর্থনৈতিক চাপ কমাতে সড়কের দুপাশে নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষ করেছে অনেকে। ফলে একদিকে কমে আসছে গো-খাদ্য হিসেবে ফিডের নির্ভরতা, অন্যদিকে কমেছে খামারিদের গরু লালন-পালনের খরচও। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শে পরিত্যক্ত ও নিচু জমির পাশাপাশি বিভিন্ন সড়কের দুধারে উন্নত জাতের ঘাস চাষ করছে খামারিরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিভিন্ন সড়কের ৫৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দু’পাশে লাগানো হয়েছে নেপিয়ার জাতের ঘাস। এতে সড়কে শোভা বর্ধনের পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন গরুর খামারিরা। পরিত্যক্ত ২৫৫ একর জমির পাশাপাশি সড়কে লাগানো এসব ঘাস খুব বেশি যত্ন ছাড়াই বেড়ে উঠছে তাড়াতাড়ি। এই ঘাস গরুকে খাওয়ানোর পর আবারও গোড়া থেকেই গজায়

রাজারহাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে শুধু রাজারহাট উপজেলায় ১ হাজার ৭৬টি খামারে গরুর সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক। যা অন্যান্য উপজেলার তুলনায় অনেক।

রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশা ইউনিয়নের খামারি জামসেদ আলী বলেন, আমার ১৭টি গাভী আছে। আমি রাস্তার দু’ধারে ঘাস লাগিয়েছি। সেই ঘাস গরুকে খাওয়াই। এর কারণে আমার ফিডের প্রয়োজন খুব কম। এছাড়া পতিত জমিতে ঘাস লাগাইছি। এসব গরুর দুধ বিক্রি করে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ পরিবার চলছে। ফিড কিনে খাওয়ালে তো এতো কিছু করা যেতো না।

একই এলাকার কৃষক ছামাদ আলী বলেন, বর্তমান বাজারে দানাদার খাদ্যের দাম অনেক বেশি। তাই আমি ঘাষ চাষ করেছি। অনেকগুলো গরু পালন করছি। এই ঘাষ গরুকে খাওয়ার কারনে আমি অনেক উপকৃত হচ্ছি।

রাজারহাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহফুজার রহমান বলেন, গবাদিপশুর উৎপাদন খরচের ৭৫ ভাগ খরচ হয় খাদ্য খরচে। ঘাস জাতীয় কিন্তু গবাদিপশুর প্রধান খাদ্য।

তাই গো-খাদ্যের অর্থনৈতিক চাপ কমানো ও গবাদি পশুর প্রাকৃতির পুষ্টি বাড়াতে সড়কে নেপিয়ার, জারা ও নিচু জমিতে জার্মান জাতের ঘাষ লাগাতে খামারিদের সব সময় পরামর্শ দিচ্ছি।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গো-খাদ্যের সংকট কাটাতে সড়কের দু’পাশে ঘাস চাষ

আপডেট সময় : ১২:২২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ইং ০৬:০১ পিএম.

কুড়িগ্রামে গবাদিপশুর গো-খাদ্যের অর্থনৈতিক চাপ কমাতে সড়কের দুপাশে নেপিয়ার জাতের ঘাস চাষ করেছে অনেকে। ফলে একদিকে কমে আসছে গো-খাদ্য হিসেবে ফিডের নির্ভরতা, অন্যদিকে কমেছে খামারিদের গরু লালন-পালনের খরচও। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শে পরিত্যক্ত ও নিচু জমির পাশাপাশি বিভিন্ন সড়কের দুধারে উন্নত জাতের ঘাস চাষ করছে খামারিরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিভিন্ন সড়কের ৫৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দু’পাশে লাগানো হয়েছে নেপিয়ার জাতের ঘাস। এতে সড়কে শোভা বর্ধনের পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন গরুর খামারিরা। পরিত্যক্ত ২৫৫ একর জমির পাশাপাশি সড়কে লাগানো এসব ঘাস খুব বেশি যত্ন ছাড়াই বেড়ে উঠছে তাড়াতাড়ি। এই ঘাস গরুকে খাওয়ানোর পর আবারও গোড়া থেকেই গজায়

রাজারহাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে শুধু রাজারহাট উপজেলায় ১ হাজার ৭৬টি খামারে গরুর সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক। যা অন্যান্য উপজেলার তুলনায় অনেক।

রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশা ইউনিয়নের খামারি জামসেদ আলী বলেন, আমার ১৭টি গাভী আছে। আমি রাস্তার দু’ধারে ঘাস লাগিয়েছি। সেই ঘাস গরুকে খাওয়াই। এর কারণে আমার ফিডের প্রয়োজন খুব কম। এছাড়া পতিত জমিতে ঘাস লাগাইছি। এসব গরুর দুধ বিক্রি করে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ পরিবার চলছে। ফিড কিনে খাওয়ালে তো এতো কিছু করা যেতো না।

একই এলাকার কৃষক ছামাদ আলী বলেন, বর্তমান বাজারে দানাদার খাদ্যের দাম অনেক বেশি। তাই আমি ঘাষ চাষ করেছি। অনেকগুলো গরু পালন করছি। এই ঘাষ গরুকে খাওয়ার কারনে আমি অনেক উপকৃত হচ্ছি।

রাজারহাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহফুজার রহমান বলেন, গবাদিপশুর উৎপাদন খরচের ৭৫ ভাগ খরচ হয় খাদ্য খরচে। ঘাস জাতীয় কিন্তু গবাদিপশুর প্রধান খাদ্য।

তাই গো-খাদ্যের অর্থনৈতিক চাপ কমানো ও গবাদি পশুর প্রাকৃতির পুষ্টি বাড়াতে সড়কে নেপিয়ার, জারা ও নিচু জমিতে জার্মান জাতের ঘাষ লাগাতে খামারিদের সব সময় পরামর্শ দিচ্ছি।

শেয়ার করুন