খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

- আপডেট সময় : ১০:৫৩:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার
বটিয়াঘাটা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ
খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মার্চ মাসের সভা গতকাল রবিবার সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে সড়ক-মহাসড়কে মানুষের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখতে সড়কগুলোয় যদি ভাঙ্গা অংশ বা গর্ত থাকে সেগুলো দ্রুততর সময়ের মধ্যে মেরামতের ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়ক যোগাযোগ সহজ না হলে গ্রামীন অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। রাস্তায় মুছে যাওয়া রোড সাইনগুলো পুনরায় দৃশ্যমান করতে হবে। খুলনার মানুষ যেন স্বস্তিকর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বর্ষা মৌসুমে খুলনার কয়েকটি উপজেলায় জলাবদ্ধতা তৈরির আংশকা থাকে। স্লুইসগেটগুলো সচল রাখা-সহ জলাবদ্ধতা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের এখনই সময়।
সভায় সিভিল সার্জন ডা. মোছাঃ মাজফুজা খাতুন জানান, খুলনার হাসপাতালগুলোয় ডাক্তারসহ অন্যান্য জনবলের সংকট রয়েছে। তা সত্ত্বেও সেবা প্রদান নির্বিঘ্নে রয়েছে। জেলায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ২৪ হাজার ৫৪২ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২৪ হাজার ২৬৬জনকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে সফলতার হার ৯৮.৮৮ শতাংশ। আবার ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের বেলায় সফলতার হার ৯৯.২৬শতাংশ।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) আনিসুজজামান বলেন, ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে খুলনা থেকে নাগরিকদের গ্রামের বাড়ি যাওয়া-আসার পথে ছিনতাই-সহ অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। যানজট প্রতিরোধে ট্রাফিক পুলিশ সজাগ রয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) শিহাব করিম জানান, রমজান ও আসন্ন ঈদের সময় বাণিজ্যিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তার বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। অধিক পরিমান নগদ টাকার পরিবহনের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রহরা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের জানানো হচ্ছে। দুপুরের পর থেকে তারাবিহ নামাজের শেষ সময় পর্যন্ত নগরীতে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে কেএমপি থেকে বিশেষ লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ শরিফুল ইসলাম সভায় জানান, মাহে রমজানে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মাধ্যমে দুধ ও ডিম বিক্রি চলমান রয়েছে। প্রতিলিটার দুধ ৭০ টাকা এবং প্রতিটি ডিম ৯টায় বিক্রি করা হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত মোট তিন হাজার ৫১ লিটার দুধ এবং ৯০ হাজার ৬৪১ টি ডিম বিক্রি হয়েছে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার-সহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিতি ছিলেন ।