কুড়িগ্রামে অপসাংবাদিকতার বলী সমকাল প্রতিনিধি, হাসপাতালে ভর্তি

- আপডেট সময় : ১১:২৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫ ৩১ বার পড়া হয়েছে

আনোয়ার সাঈদ তিতু,
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রাম জেলা প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটি ভেঙে প্রেসক্লাব দখল ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি সুজন মোহন্তকে গালিগালাজ ও ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়েছে।
বর্তমান কমিটি ভেঙে প্রেসক্লাব দখল ও তাকে সদস্য হিসেবে নতুন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কালবেলার জেলা প্রতিনিধি সাঈয়েদ আহমেদ বাবু। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সুজনকে গালিগালাজ ও মারধর করেন বাবু। শনিবার রাত ১১টার দিকে কুড়িগ্রাম পৌরসভা সংলগ্ন একটি মোটরসাইকেল শোরুমের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রেসক্লাব সদস্যরা জানান, এক সপ্তাহ আগে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের বাইরে থাকা সাংবাদিকরা প্রেসক্লাব দখল করতে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। সুজন মোহন্ত এতে একমত না হলে শনিবার রাতে সাইয়েদ আহমেদ বাবু ফোনে তাকে গালিগালাজ করেন। এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে সুজনকে মারপিট করেন সাঈয়েদ আহমেদ।
সুজন মোহন্ত বলেন, ‘আমি কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য নই। তবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সেখানে সদস্য হওয়ার ইচ্ছা আছে। এরই মধ্যে প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটি ভেঙে ক্লাব দখল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে কিছু অপসাংবাদিক। সেখানে তারা আমাকে থাকার প্রস্তাব দিলে আমি তা প্রত্যাখান করি ও প্রতিবাদ জানাই। সে কারণে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কালবেলার সাংবাদিক সাঈয়েদ আহমেদ বাবু আমাকে প্রথমে ফোনে গালিগালাজ ও পরে মারধর করেন।’
মারধরে আহত সুজন মোহন্তকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে সঙ্গে রয়েছেন তার বন্ধু অমিত চন্দ্র পাল। তিনি জানান, অভিযুক্ত সাঈয়েদ আহমেদ বাবু এখন মারধর করার কথা অস্বীকার করছেন। তবে তিনি যে ফোনে গালিগালাজ করেছেন তার প্রমাণ আছে। এছাড়া, মারধরের পর তিনি বিষয়টির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এখন তার গ্রুপের মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘মারধরের ঘটনাটি হঠাৎ ঘটেছে, আমার করার কিছু ছিল না।’
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রেসক্লাব ভাঙার ষড়যন্ত্রে সুজন লিপ্ত না হওয়ায় পেশিশক্তি দেখিয়েছেন অপসাংবাদিকরা।’ কুড়িগ্রামে টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সদস্য মো. বাদশা সৈকত বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে যোগগাযোগ করা হলে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কালবেলার জেলা প্রতিনিধি সাঈয়েদ আহমেদ বাবু বলেন, ‘সুজন ভালো ছেলে, আমি তাকে খুব পছন্দ করি। রোজার দিনে কাকতালীয়ভাবে ঘটনাটি ঘটেছে।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’