ঋন দেওয়ার নামে প্রতারণা,ক্ষোভে গ্রাহকের আত্মহত্যার চেষ্টা

- আপডেট সময় : ০৯:৪১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে

আশরাফুল ইসলাম :
রাজশাহীতে এক এনজিও সংস্থার প্রতারণা সইতে না পেরে হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সাথি নামে এক অসহায় গ্রাহক। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার (২৪ মার্চ) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর মৌগাছি এলাকায় প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই নারী পুঠিয়া উপজেলার কান্দ্রা সাহাবাজপুর গ্রামের রনি ইসলামের স্ত্রী।
ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঋন দেওয়ার নামে দীর্ঘদিন ধরে সাথিকে ঘুরাচ্ছেন আর আর এফ নামে নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। গত সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে ঋন দেওয়ার কথা বলে বানেশ্বর অফিসে ডেকে আনে তাকে কিন্তু ঋন দেওয়ার পরিবর্তে উল্টো অপমান করে। পরে অপমান সইতে না পেরে অফিসের বাথরুমে থাকা হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সুমি। পরে তার অবস্থা খারাপের দিকে গেলে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করে।
ভুক্তভোগী সুমি কিছুটা সুস্থ্য হওয়ার পর তার সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আর আর এফ এনজিওতে আমি দীর্ঘদিন ধরে কিস্তি চালাই। ওই এনজিওর মাঠকর্মী মার্জিয়া খাতুন এবং ম্যানাজার সুবিদ কুমার দাস আমাকে বেশি টাকা লোন দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে বলে এবং ৩৭ হাজার টাকা সঞ্চয় জমা দিতে বলে। আমি মানুষের কাছে ধারদেনা এবং আমার সোনার গহনা বন্ধক রেখে ১লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা অফিসে জমা দিই। অনেক কষ্ট করে টাকা গুলো জমা দেওয়ার পর তারা আমাকে লোন না দিয়ে লাঞ্ছিত করছে। পরে আমি অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। আমি ওই এনজিওর ম্যানেজার এবং মাঠ কর্মীর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি যেন আর কোন গ্রাহককে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে না হয়। আর আর এফ বানেশ্বর শাখার ব্যবস্থাপক সুবিদ কুমার দাস এবং মাঠকর্মী মার্জিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান ভুক্তভোগী সুমি।