ঢাকা ০৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ইজতেমার উদ্দেশে যাওয়ার পথে কুড়িগ্রাম ব্রহ্মপুত্রে নৌ-ডাকাতি ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দুর্ধষ চুরি ! ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত। 

উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনা এবং সমস্যা সমূহ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৬:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩ ৩৯২ বার পড়া হয়েছে

 

একটা দেশের মূল সম্পদ তাদের দক্ষ জনগোষ্ঠী। পৃথিবীর যে সকল দেশ এখন উন্নতির শীর্ষে অবস্থান করছে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ মূল ভূমিকা রাখেনি বরং দক্ষ এবং কর্মঠ জনগোষ্ঠী মূল শক্তি হিসাবে কাজ করেছে।

এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে মিলেনিয়াল জেনারেশন। মিলেনিয়াল জেনারেশন বলতে তরুণ প্রজন্মকে বোঝায়। এদের বয়স হয় ১৯- ৩৫ বছর। এই প্রজন্ম একটা দেশের গতিপ্রকৃতিই বদলে দিতে পারে।

ভবিষ্যতে বিশ্বকে নেতৃত্ব সেই সকল দেশ দিতে পারে যাদের মিলেনিয়াল জেনারেশন রেট বেশি। অবাক করা বিষয় বাংলাদেশ শীর্ষ ১০ টি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে। তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা নয় বরং মোট জনসংখ্যার তুলনায় এর শতকরা হার বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রেও বাংলাদেশ অবস্থান প্রথম দিকে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে মিলেনিয়াল জেনারেশন এর শতকরা হার ৩১%।

বর্তমানে যে সকল দেশ অর্থনীতিতে শীর্ষ অবস্থান করছে তাদের অনেকেই তাদের অবস্থান হারাবে। ইউরোপ আমেরিকার অনেক দেশ যৌবনকাল পেরিয়ে এসেছে, মধ্যবয়সও যায়যায়।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম থাকলেই কি আসলে উন্নতি সম্ভব?উত্তর হচ্ছে, না। কারণ এই প্রজন্মকে সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ দিতে হবে। দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের কাজে লাগাতে হবে।

ভবিষ্যত প্রজন্মের উপযোগী কাজের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে।কিন্তু বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুতি নিচ্ছে এই অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে?

বাংলাদেশের প্রস্তুতি এক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ। বরং তরুণ প্রজন্মের সামনে কাঁটা বিছিয়ে রেখেছি আমরা।

কাঁটাগুলো আসলে কী কী?

১. আমাদের তরুণ প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের সবচেয়ে বড়ো ক্ষতি করছে ফেসবুক, টিকটক, গেমস এবং ইন্টারনেটের মায়াজাল। তাদের সময় গুলো খেয়ে ফেলছে। যে তরুণ প্রজন্ম নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিজেদের তৈরি করবে, শিক্ষা দীক্ষায় নিজেকে আলোকিত করে দেশ গড়বে তারা ইন্টারনেটের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। তারা ক্রমশ জ্ঞানার্জন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আসলে তারা ওয়ার্ল্ড রেস থেকে শুধু পিছিয়েই পড়বে না বরং ছিটকে যাবে।

২. তরুণ প্রজন্মের সামনে আরও একটা বড়ো বাঁধামাদক। মাদকের সিংহভাগ ক্রেতা এবং ব্যবহারকারী তরুণ প্রজন্ম। লক্ষ লক্ষ ছেলে মেয়ে মাদকের ভয়াবহ করাল গ্রাসে নিপতিত হচ্ছে। পরিবার এবং দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খুব পরিকল্পিত ভাবেই এদেশের তরুণ প্রজন্মকে ধংস করতে এই মারণাস্ত্র প্রয়োগ করা হচ্ছে।সামাজিক অবক্ষয় রীতিমতো বিষ ফোঁড়া হয়ে তরুণ প্রজন্মকে তিলেতিলে শেষ করে দিচ্ছে। মৌলিক এবং নৈতিক শিক্ষা নেই বললেই চলে।শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেই, শিক্ষার্থীদের শাসন করার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের শারীরিক মানসিক উন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ব্যবস্থা নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

৩. আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো বেকার তৈরির কারখানা হিসেবে কাজ করছে। যুগোপযোগী আধুনিক এবং কারিগরি শিক্ষা থেকে এখনো আমরা অনেক দূরে। প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান চর্চা, গবেষণায় তরুণদের আগ্রহী করে তুলতে না পারলে তরুণ প্রজন্মের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো অসম্ভব।ছাত্র রাজনীতি আরও একটা বড়ো সমস্যা। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্ যাপন করেছি আমরা খুব সম্প্রতি কিন্তু ছাত্র রাজনীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর শিক্ষা ব্যবস্থাকে পেছন থেকে টেনে ধরছে। আদর্শহীন ছাত্র রাজনীতি অসংখ্য তরুণদের ভুল পথে পরিচালিত করছে।

৪. ছাত্র রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করা বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী মূলত অদক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে উঠছে।বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে নিজেদের উন্নীত করা।কিন্তু তা অর্জন করতে আমাদের সামনে অসংখ্য সমস্যা চোখ রাঙাচ্ছে। আমাদের মিলেনিয়াল জেনারেশনকে যদি সঠিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ দিতে পারি তবেই আমাদের দেশের মূল্যবান সম্পদ হবে তরুণ প্রজন্ম। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলতে হলে তরুণদের জন্য আলোকিত সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করতেই হবে।সেই দায়িত্ব আপনার আমার সকলের।

 

পরিবার,সমাজ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং রাস্ট্রকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।অবহেলা এবং পরিকল্পনার অভাবে মিলেনিয়াল জেনারেশন এর অমিত সম্ভাবনাকে যেন অপচয় না করি।উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে তরুণ প্রজন্মের পথচলা সুন্দর এবং নিরাপদ হোক।

 

মাসুদ রানা সাইফুল

সহকারী অধ্যাপক, রসায়ন

৩৩ তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা।

বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা।

শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজ, পাবনা ( সংযুক্ত)

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনা এবং সমস্যা সমূহ

আপডেট সময় : ১০:২৬:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

 

একটা দেশের মূল সম্পদ তাদের দক্ষ জনগোষ্ঠী। পৃথিবীর যে সকল দেশ এখন উন্নতির শীর্ষে অবস্থান করছে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ মূল ভূমিকা রাখেনি বরং দক্ষ এবং কর্মঠ জনগোষ্ঠী মূল শক্তি হিসাবে কাজ করেছে।

এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে মিলেনিয়াল জেনারেশন। মিলেনিয়াল জেনারেশন বলতে তরুণ প্রজন্মকে বোঝায়। এদের বয়স হয় ১৯- ৩৫ বছর। এই প্রজন্ম একটা দেশের গতিপ্রকৃতিই বদলে দিতে পারে।

ভবিষ্যতে বিশ্বকে নেতৃত্ব সেই সকল দেশ দিতে পারে যাদের মিলেনিয়াল জেনারেশন রেট বেশি। অবাক করা বিষয় বাংলাদেশ শীর্ষ ১০ টি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে। তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা নয় বরং মোট জনসংখ্যার তুলনায় এর শতকরা হার বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রেও বাংলাদেশ অবস্থান প্রথম দিকে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে মিলেনিয়াল জেনারেশন এর শতকরা হার ৩১%।

বর্তমানে যে সকল দেশ অর্থনীতিতে শীর্ষ অবস্থান করছে তাদের অনেকেই তাদের অবস্থান হারাবে। ইউরোপ আমেরিকার অনেক দেশ যৌবনকাল পেরিয়ে এসেছে, মধ্যবয়সও যায়যায়।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম থাকলেই কি আসলে উন্নতি সম্ভব?উত্তর হচ্ছে, না। কারণ এই প্রজন্মকে সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ দিতে হবে। দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের কাজে লাগাতে হবে।

ভবিষ্যত প্রজন্মের উপযোগী কাজের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে।কিন্তু বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুতি নিচ্ছে এই অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে?

বাংলাদেশের প্রস্তুতি এক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ। বরং তরুণ প্রজন্মের সামনে কাঁটা বিছিয়ে রেখেছি আমরা।

কাঁটাগুলো আসলে কী কী?

১. আমাদের তরুণ প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের সবচেয়ে বড়ো ক্ষতি করছে ফেসবুক, টিকটক, গেমস এবং ইন্টারনেটের মায়াজাল। তাদের সময় গুলো খেয়ে ফেলছে। যে তরুণ প্রজন্ম নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিজেদের তৈরি করবে, শিক্ষা দীক্ষায় নিজেকে আলোকিত করে দেশ গড়বে তারা ইন্টারনেটের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। তারা ক্রমশ জ্ঞানার্জন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আসলে তারা ওয়ার্ল্ড রেস থেকে শুধু পিছিয়েই পড়বে না বরং ছিটকে যাবে।

২. তরুণ প্রজন্মের সামনে আরও একটা বড়ো বাঁধামাদক। মাদকের সিংহভাগ ক্রেতা এবং ব্যবহারকারী তরুণ প্রজন্ম। লক্ষ লক্ষ ছেলে মেয়ে মাদকের ভয়াবহ করাল গ্রাসে নিপতিত হচ্ছে। পরিবার এবং দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। খুব পরিকল্পিত ভাবেই এদেশের তরুণ প্রজন্মকে ধংস করতে এই মারণাস্ত্র প্রয়োগ করা হচ্ছে।সামাজিক অবক্ষয় রীতিমতো বিষ ফোঁড়া হয়ে তরুণ প্রজন্মকে তিলেতিলে শেষ করে দিচ্ছে। মৌলিক এবং নৈতিক শিক্ষা নেই বললেই চলে।শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেই, শিক্ষার্থীদের শাসন করার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের শারীরিক মানসিক উন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ব্যবস্থা নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

৩. আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো বেকার তৈরির কারখানা হিসেবে কাজ করছে। যুগোপযোগী আধুনিক এবং কারিগরি শিক্ষা থেকে এখনো আমরা অনেক দূরে। প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান চর্চা, গবেষণায় তরুণদের আগ্রহী করে তুলতে না পারলে তরুণ প্রজন্মের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো অসম্ভব।ছাত্র রাজনীতি আরও একটা বড়ো সমস্যা। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্ যাপন করেছি আমরা খুব সম্প্রতি কিন্তু ছাত্র রাজনীতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর শিক্ষা ব্যবস্থাকে পেছন থেকে টেনে ধরছে। আদর্শহীন ছাত্র রাজনীতি অসংখ্য তরুণদের ভুল পথে পরিচালিত করছে।

৪. ছাত্র রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করা বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী মূলত অদক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে উঠছে।বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে নিজেদের উন্নীত করা।কিন্তু তা অর্জন করতে আমাদের সামনে অসংখ্য সমস্যা চোখ রাঙাচ্ছে। আমাদের মিলেনিয়াল জেনারেশনকে যদি সঠিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ দিতে পারি তবেই আমাদের দেশের মূল্যবান সম্পদ হবে তরুণ প্রজন্ম। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলতে হলে তরুণদের জন্য আলোকিত সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করতেই হবে।সেই দায়িত্ব আপনার আমার সকলের।

 

পরিবার,সমাজ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং রাস্ট্রকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।অবহেলা এবং পরিকল্পনার অভাবে মিলেনিয়াল জেনারেশন এর অমিত সম্ভাবনাকে যেন অপচয় না করি।উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে তরুণ প্রজন্মের পথচলা সুন্দর এবং নিরাপদ হোক।

 

মাসুদ রানা সাইফুল

সহকারী অধ্যাপক, রসায়ন

৩৩ তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা।

বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা।

শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজ, পাবনা ( সংযুক্ত)

শেয়ার করুন