“উড়হাজাজ- শতাধিক গাড়ির শোডাউন” সারজিসের কাছে ব্যাখ্যা চাইলেন ডা.জারা

- আপডেট সময় : ১১:৪০:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে

জাহাঙ্গীর রাজীব রাজু –
এবিসি ন্যাশনাল নিউজ:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম
গতকাল (২৪ মার্চ) শতাধিক গাড়ির (কার-মাইক্রোবাস) বহর নিয়ে পঞ্চগড়ের পাঁচটি উপজেলা সফর করেছেন এবং তিনি ঢাকা থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত গিয়েছেন উড়োজাহাজে চড়ে – সারজিসের এই শতাধিক গাড়ি বহরের ‘শোডাউন’ এবং উড়োজাহাজ -নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
গাড়ি বহরের ‘শোডাউন’ এবং উড়োজাহাজ -নিয়ে
নিয়ে এনসিপি’র একজন নেত্রী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে সারজিস আলমের উদ্দেশে পত্র লিখেছেন তিনি। এত বড় কর্মসূচি কীভাবে আয়োজন করেছেন, অর্থের উৎস কী ?
এসব বিষয়ে সাধারণ জনগণের কাছে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে সারজিসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।
এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম উদ্দেশে লেখা ডা. তাসনিম জারার চিঠিটি হুবহু এবিসি ন্যাশনাল নিউজ এর পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো-
🫂
প্রিয় সারজিস,
আমি এই চিঠিটি লিখছি আমাদের দলের একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, দলের নীতিগত অবস্থান ও স্বচ্ছতার প্রশ্ন থেকে। সম্প্রতি তোমার নিজ জেলায় শতাধিক গাড়ির একটি বড় বহর নিয়ে প্রবেশ করায় জনগণের মনে যৌক্তিকভাবেই কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
তুমি কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে বলেছিলে, “আমার আসলে এই মুহূর্তে কোন টাকা নাই। ধার করে চলতেছি। এইটাই হচ্ছে রিয়্যালিটি। আমার পকেটে মানিব্যাগও নেই।” তোমার এই সাদাসিধে জীবনযাত্রার কথা আমাদেরকে অভিভূত করেছিলো এবং জনগণের কাছে আমাদের সংগ্রামকে আরও গ্রহণযোগ্য করেছে।
কিন্তু সেই প্রেক্ষাপটে এত বড় একটি আয়োজন কীভাবে সম্ভব হলো — এর অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনা কীভাবে হয়েছে, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। আমাদের দল স্বচ্ছতা, সততা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সে জায়গা থেকে এসব প্রশ্নের স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য উত্তর দেওয়া আমাদের সবারই দায়িত্ব।
আমি আশা করি, বিষয়টি তুমি আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করবে এবং জনগণের সামনে একটি গ্রহণযোগ্য ও পরিষ্কার ব্যাখ্যা তুলে ধরবে। এতে জনগণের কাছে দলের ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী হবে বলেই আমার বিশ্বাস।