ঢাকা ০২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ইজতেমার উদ্দেশে যাওয়ার পথে কুড়িগ্রাম ব্রহ্মপুত্রে নৌ-ডাকাতি ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বাসায় দুর্ধষ চুরি ! ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত। 

আজ পবিত্র শবে মেরাজ।হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হবে পবিত্র এ রজনী। রাতটি মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যময় ও মহিমান্বিত। এ রাতে হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুজিজা মেরাজ সংঘটিত হয়। নবুয়তের দ্বাদশ বছর রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাত (আরবি ২৭ রজব) মহান আল্লাহর ইচ্ছায় নবীজি (সা.) ঊর্ধ্বাকাশে সফর করেন। আরশে আজিমে পৌঁছে মহান আল্লাহর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ও কথাবার্তা হয়। এ সময় উম্মতে মোহাম্মদির জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হাদিয়াস্বরূপ ফরজ করেন মহান আল্লাহ।

 

মেরাজের বিস্ময়কর সফরে হযরত আদম (আ.), হযরত মুসা (আ.) ও হযরত ইবরাহীম (আ.)সহ অন্য নবীদের সঙ্গে সালাম বিনিময় হয় মহানবী (সা.) এর। বাইতুল মুকাদ্দাসে সব নবী ও ফেরেশতাদের নামাজের ইমামতি করেন তিনি। এ ছাড়াও স্বচক্ষে জান্নাত-জাহান্নামের চিত্র দেখেন এবং আরশে আজিমে পৌঁছে আল্লাহর দিদার লাভ করেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তিনি সেই পবিত্র সত্তা, যিনি বান্দাকে তাঁর নিদর্শনগুলো দেখানোর জন্য রাত্রিকালে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার চতুর্পাশ বরকতময়, নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (বনি ইসরাইল:-আয়াত ১)

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মেরাজের রাতে রাসুল (সা.) মক্কায় উম্মে হানি বিনতে আবু তালিবের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। হঠাৎ হজরত জিবরাইল (আ.) এসে রাসুল (সা.)কে মসজিদে হারামে নিয়ে যান। যেখানে তাঁর বুক বিদীর্ণ করে জমজম কূপের পানি দিয়ে সিনা ধুয়ে পরিষ্কার ও শক্তিশালী করা হয়। তারপর সেখান থেকে তাকে বোরাকে করে প্রথমে বাইতুল মুকাদ্দাস ও সেখান থেকে রফরফে করে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

মেরাজের ঘটনা মুসলিম জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে। বিশেষ করে মেরাজের রাতে উম্মতে মোহাম্মদির ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান জারি হওয়ায় এই রাত চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা যেন বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র মেরাজের রাতের উছিলায় ক্ষমা করে দিন আমীন। লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আজ পবিত্র শবে মেরাজ।হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

আপডেট সময় : ১১:৪৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হবে পবিত্র এ রজনী। রাতটি মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যময় ও মহিমান্বিত। এ রাতে হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুজিজা মেরাজ সংঘটিত হয়। নবুয়তের দ্বাদশ বছর রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাত (আরবি ২৭ রজব) মহান আল্লাহর ইচ্ছায় নবীজি (সা.) ঊর্ধ্বাকাশে সফর করেন। আরশে আজিমে পৌঁছে মহান আল্লাহর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ও কথাবার্তা হয়। এ সময় উম্মতে মোহাম্মদির জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হাদিয়াস্বরূপ ফরজ করেন মহান আল্লাহ।

 

মেরাজের বিস্ময়কর সফরে হযরত আদম (আ.), হযরত মুসা (আ.) ও হযরত ইবরাহীম (আ.)সহ অন্য নবীদের সঙ্গে সালাম বিনিময় হয় মহানবী (সা.) এর। বাইতুল মুকাদ্দাসে সব নবী ও ফেরেশতাদের নামাজের ইমামতি করেন তিনি। এ ছাড়াও স্বচক্ষে জান্নাত-জাহান্নামের চিত্র দেখেন এবং আরশে আজিমে পৌঁছে আল্লাহর দিদার লাভ করেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তিনি সেই পবিত্র সত্তা, যিনি বান্দাকে তাঁর নিদর্শনগুলো দেখানোর জন্য রাত্রিকালে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার চতুর্পাশ বরকতময়, নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (বনি ইসরাইল:-আয়াত ১)

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মেরাজের রাতে রাসুল (সা.) মক্কায় উম্মে হানি বিনতে আবু তালিবের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। হঠাৎ হজরত জিবরাইল (আ.) এসে রাসুল (সা.)কে মসজিদে হারামে নিয়ে যান। যেখানে তাঁর বুক বিদীর্ণ করে জমজম কূপের পানি দিয়ে সিনা ধুয়ে পরিষ্কার ও শক্তিশালী করা হয়। তারপর সেখান থেকে তাকে বোরাকে করে প্রথমে বাইতুল মুকাদ্দাস ও সেখান থেকে রফরফে করে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়।

 

মেরাজের ঘটনা মুসলিম জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে। বিশেষ করে মেরাজের রাতে উম্মতে মোহাম্মদির ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান জারি হওয়ায় এই রাত চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা যেন বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র মেরাজের রাতের উছিলায় ক্ষমা করে দিন আমীন। লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

শেয়ার করুন