ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলের খুনিয়াদীঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের উপর জুতা পরে হিরো আলমের টিকটক, ভিডিও সমালোচনার ঝড় ! ঠাকুরগাঁওয়ে ইএসডিও’র ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা — অংশীজনের প্রত্যাশা শীর্ষক সভা । চিলাহাটিতে নতুন রুপে যাত্রা শুরু করল ডিভাইন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইপিল গাছ থেকে ডোমারে গৃহবধু দিশার মরদেহ উদ্ধার  নওহাটা পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলে সভাপতি রফিক সম্পাদক পিটার নির্বাচিত তেঁতুলিয়ায় তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরবীক্ষণ কমিটির সাথে তথ্য কমিশন বাংলাদেশের পরিচালকের মতবিনিময় সভা নিউজ পোর্টাল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সাংবাদিক আরিফ মিরগন্জ ইউনিয়ন বিএনপির জনসসভা অনুষ্ঠিত।  ঈমানের অগ্নিপরীক্ষা! হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।  আদমদীঘিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ, প্রশাসন নীরব

আগাম আলু উঠতে শুরু করলেও ডোমারের স্থানীয় বাজারে মিলছে না সেই আলু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৬:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

 

মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,স্টাফ রিপোর্টার ডোমার (নীলফামারী)

নীলফামারীর ডোমারে আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করলেও স্থানীয় বাজারে মিলছে না সেই নতুন আলু। পাইকারি দামে সহনশীলতা থাকলেও হাত ঘুরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা বাজারগুলোতে কয়েকগুণ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সেই আলু।
বৃহস্পতিবার উত্তোলনকৃত আলু ক্ষেত পরিদর্শনে আসেন উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম। এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম।
এসময় তারা আলু চাষীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং আগাম ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করেন।
ডোমার উপজেলায় আগাম জাতের আলু প্রথম উত্তোলন করা হয়েছে গত ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার উপজেলার ০১ নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের গোসাইগঞ্জ ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। ওই গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বারের ছেলে জুয়েল ইসলাম তিন বিঘা জমিতে আগাম রুমানা জাতের আলু চাষ করেন। তিনি জানান, আলুর ফলন এবং দাম দুটোই ভালো। ক্ষেতেই তিনি তার আলু বিক্রি করে দেন। প্রতি বিঘা জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছে ২০ থেকে ২১মন। প্রতি মন আলু পাইকারি দামে ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছেন।তবে আলুগুলো উত্তোলন করে ক্ষেতেই ট্রাকে লোড দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একই এলাকার আলু চাষী জহুরুল ইসলাম ১০বিঘা জমিতে আগাম আলু লাগিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি নতুন আলু উত্তোলন করেন। পাইকারি ১শত ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন জামালপুরের এক ব্যাবসায়ীর কাছে। ফলে স্থানীয় হাট বাজারে এখনো দেখা মিলছে না নতুন আলুর।
গোসাইগঞ্জ এলাকার দায়িত্বে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লিটন মোহন্ত জানান, আগাম আলু উত্তোলন হলেও সেগুলো এখানকার স্থানীয় বাজারে সরবরাহ হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম জানান, এবারে ডোমার উপজেলায় আগাম জাতের আলু বপন করা হয়েছে ২ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। বপন শুরু করা হয় ২১সেপ্টেম্বর। মাত্র ৫৮দিনেই ফসল ঘরে উঠেছে। তিনি আরো জানান, সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যমে জানতে পারেন দেশের বিভিন্ন এলাকায় নতুন আলু বিক্রি করা হচ্ছে ৪শত টাকা কেজি দরে। যাহা পাইকারি দামের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এছাড়া ডোমার উপজেলায় এবার আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫শত ৩৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ৭শত ৩০ হেক্টর জমিতে আলু লাগানো হয়েছে। নতুন আলু উত্তোলন হলেও জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এখন পর্যন্ত এই নতুন আলুর দেখা মেলেনি। পুরাতন আলু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।

 

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আগাম আলু উঠতে শুরু করলেও ডোমারের স্থানীয় বাজারে মিলছে না সেই আলু

আপডেট সময় : ০৯:১৬:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

 

মোসাদ্দেকুর রহমান সাজু,স্টাফ রিপোর্টার ডোমার (নীলফামারী)

নীলফামারীর ডোমারে আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করলেও স্থানীয় বাজারে মিলছে না সেই নতুন আলু। পাইকারি দামে সহনশীলতা থাকলেও হাত ঘুরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা বাজারগুলোতে কয়েকগুণ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সেই আলু।
বৃহস্পতিবার উত্তোলনকৃত আলু ক্ষেত পরিদর্শনে আসেন উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম। এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম।
এসময় তারা আলু চাষীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং আগাম ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করেন।
ডোমার উপজেলায় আগাম জাতের আলু প্রথম উত্তোলন করা হয়েছে গত ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার উপজেলার ০১ নং ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের গোসাইগঞ্জ ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। ওই গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বারের ছেলে জুয়েল ইসলাম তিন বিঘা জমিতে আগাম রুমানা জাতের আলু চাষ করেন। তিনি জানান, আলুর ফলন এবং দাম দুটোই ভালো। ক্ষেতেই তিনি তার আলু বিক্রি করে দেন। প্রতি বিঘা জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছে ২০ থেকে ২১মন। প্রতি মন আলু পাইকারি দামে ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছেন।তবে আলুগুলো উত্তোলন করে ক্ষেতেই ট্রাকে লোড দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একই এলাকার আলু চাষী জহুরুল ইসলাম ১০বিঘা জমিতে আগাম আলু লাগিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি নতুন আলু উত্তোলন করেন। পাইকারি ১শত ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন জামালপুরের এক ব্যাবসায়ীর কাছে। ফলে স্থানীয় হাট বাজারে এখনো দেখা মিলছে না নতুন আলুর।
গোসাইগঞ্জ এলাকার দায়িত্বে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লিটন মোহন্ত জানান, আগাম আলু উত্তোলন হলেও সেগুলো এখানকার স্থানীয় বাজারে সরবরাহ হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম জানান, এবারে ডোমার উপজেলায় আগাম জাতের আলু বপন করা হয়েছে ২ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। বপন শুরু করা হয় ২১সেপ্টেম্বর। মাত্র ৫৮দিনেই ফসল ঘরে উঠেছে। তিনি আরো জানান, সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যমে জানতে পারেন দেশের বিভিন্ন এলাকায় নতুন আলু বিক্রি করা হচ্ছে ৪শত টাকা কেজি দরে। যাহা পাইকারি দামের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এছাড়া ডোমার উপজেলায় এবার আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫শত ৩৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ৭শত ৩০ হেক্টর জমিতে আলু লাগানো হয়েছে। নতুন আলু উত্তোলন হলেও জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এখন পর্যন্ত এই নতুন আলুর দেখা মেলেনি। পুরাতন আলু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।

 

শেয়ার করুন