ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
প্রেমে বাধা, মহেশখালীতে খুন হলো নুরন্নবী নামের এক যুবক, আহত একাধিক বগুড়ায় ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ গ্রেফতার-০২ বিএনপির দুই নেতাসহ মদ্যপ অবস্থায় গ্রেফতার ৯, পরে জামিনে মুক্তি সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতে আগামীকাল কুড়িগ্রামে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ৭শ’ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হলেও ধান সংগ্রহ হয়নি এক ছটাকো লালমনিরহাটে বাস ছিনতাই  ডাঃ মনা ইয়োগা ওয়ার্ল্ড আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ বেজির সাথে মানুষের বন্ধুত্ব, শুক্কুর আলী করেছেন অনন্য সাধন  ‘সিলিকা জেল’কে মাদক ভেবে শিক্ষককে হাতকড়া পরিয়ে হয়রানি বিদ্যালয়ের মাঠের মাটি কেটে নির্মাণাধীন ভবনের ভিটি ভরাট

হাজীগঞ্জে ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৭:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃসিয়াম,চাঁদপুর : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় ১৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা।

শ্রেণিকক্ষের অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ক্লাস করছে শত শত ছাত্রছাত্রী। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।

জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবৎ বিদ্যালয় গুলোর সংস্কার না করায় ভবনগুলো ব্যবহারের অনোউপযোগী হয়ে যাওয়ার কারণে সেগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিগত দিনে জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান করতে গিয়ে একাধিক স্থানে দুর্ঘটনাও ঘটেছিল বলে জানা যায়। এ কারণে ছাত্র-শিক্ষকরা ভয়ে আতঙ্কিত রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করা হচ্ছে। তাই কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করার কারনে শ্রেনী কক্ষের সংকট দেখা দিয়েছে। শিক্ষকরা উপায়ান্তর না পেয়ে বিকল্প অন্য ভবনের কক্ষগুলো’কে ছোট করে কক্ষ সংখ্যা বৃদ্ধি করে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন।

এতে করে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে পাঠদান করতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

কয়েকটি বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, নতুন ভবন পাবার আশায় পুরোনো ভবন ভেঙে ফেলায় সে সব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঠিক ভাবে পাঠ দান করা যাচ্ছে না।

ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে, ১নং রাজারগাও ইউনিয়নের পশ্চিম রাজারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,২নং বাকিলা ইউনিয়নের গোগরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাকিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাধাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লোধপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর শ্রীপুর

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীপুর ১৬নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫নংসদর ইউনিয়নের মাতৈন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯ নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের মালিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০ নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের হোটনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অন্যতম।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, মহামারি কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবে দেশে প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েছে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন।

আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তারা আরো জানান, বিগত বছরগুলোতে করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম থাকায় ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। কিন্তু নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলে কিভাবে শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব তা নিয়ে এখন বিপাকে রয়েছে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, শ্রেণিকক্ষসহ পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বাড়লে শিক্ষার মান আরও ভালো হতো। তাই জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয় গুলোর নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জোর দাবী জানান সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হাজীগঞ্জে ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

আপডেট সময় : ১০:৪৭:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২

মোঃসিয়াম,চাঁদপুর : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় ১৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা।

শ্রেণিকক্ষের অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ক্লাস করছে শত শত ছাত্রছাত্রী। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।

জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবৎ বিদ্যালয় গুলোর সংস্কার না করায় ভবনগুলো ব্যবহারের অনোউপযোগী হয়ে যাওয়ার কারণে সেগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিগত দিনে জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান করতে গিয়ে একাধিক স্থানে দুর্ঘটনাও ঘটেছিল বলে জানা যায়। এ কারণে ছাত্র-শিক্ষকরা ভয়ে আতঙ্কিত রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করা হচ্ছে। তাই কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করার কারনে শ্রেনী কক্ষের সংকট দেখা দিয়েছে। শিক্ষকরা উপায়ান্তর না পেয়ে বিকল্প অন্য ভবনের কক্ষগুলো’কে ছোট করে কক্ষ সংখ্যা বৃদ্ধি করে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন।

এতে করে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে পাঠদান করতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

কয়েকটি বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, নতুন ভবন পাবার আশায় পুরোনো ভবন ভেঙে ফেলায় সে সব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঠিক ভাবে পাঠ দান করা যাচ্ছে না।

ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে, ১নং রাজারগাও ইউনিয়নের পশ্চিম রাজারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,২নং বাকিলা ইউনিয়নের গোগরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাকিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাধাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লোধপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর শ্রীপুর

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রীপুর ১৬নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫নংসদর ইউনিয়নের মাতৈন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯ নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের মালিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০ নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের হোটনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অন্যতম।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, মহামারি কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবে দেশে প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েছে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন।

আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তারা আরো জানান, বিগত বছরগুলোতে করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম থাকায় ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। কিন্তু নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলে কিভাবে শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব তা নিয়ে এখন বিপাকে রয়েছে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, শ্রেণিকক্ষসহ পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বাড়লে শিক্ষার মান আরও ভালো হতো। তাই জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয় গুলোর নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জোর দাবী জানান সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার করুন