এবিসি ন্যাশনাল ডেক্স নিউজ, ঢাকা

স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আজ ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৯তম দিনের আলোচনার পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পুলিশের পেশাদারিত্ব নিশ্চিতকরণ, আইনানুগ ও নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র তৈরি এবং পুলিশের সদস্য বা নাগরিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের প্রস্তাবে অংশগ্রহণকারী দলসমূহ একমত হয়েছে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় ১২টি বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং আরও ৭টি বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে।

কমিশনের প্রস্তাবিত কাঠামো: অধ্যাপক রীয়াজ জানান, ৯ সদস্যের এই কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি (৭৫ বছরের কম বয়সী)। সদস্যসচিব হবেন অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার নিচে নন এমন ৬২ বছরের কম বয়সী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা।

অন্য সদস্যরা হবেন—

সংসদ নেতা ও বিরোধীদলীয় নেতার একজন করে প্রতিনিধি

স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের একজন করে প্রতিনিধি

অবসরপ্রাপ্ত সচিব (জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে অভিজ্ঞ)

জেলা জজ বা ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হাইকোর্টের তালিকাভুক্ত আইনজীবী

একজন অভিজ্ঞ মানবাধিকার কর্মী (দেশি বা আন্তর্জাতিক সংস্থায় কমপক্ষে ১০ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা)

কমিশনের কমপক্ষে দুইজন নারী সদস্য থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণে ঐকমত্য:

প্রধানমন্ত্রীর পদে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন— এই প্রস্তাবেও আজ রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক রীয়াজ। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হবে এবং আগামীকাল থেকেই খসড়া জাতীয় সনদ তাদের কাছে পাঠানো হবে।

আজকের আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দলসমূহ:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, সিপিবি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি আজকের আলোচনায় অংশ নেন।

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে — সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন