ঢাকা ১০:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা, শীতে বিপর্যস্ত উপত্যকা কুড়িগ্রাম  মারধর ও চুরির মামলায় কুড়িগ্রামে যুবলীগ কর্মী গ্রেফতার  রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপনের শুভ উদ্বোধন  তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে কুড়িগ্রামে সমাবেশ জনস্বার্থে কতিপয় পণ্য ও সেবায় ভ্যাটের হার কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড Chief Adviser invited to attend World Governments Summit in UAE বটিয়াঘাটায় সরকারি জলমা-চক্রাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬৮ তম বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত । পড়ালেখার খরচ চালানোই শত দুশ্চিন্তার মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া মাজেদুলের পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা আগামী ২৪শে, জানুয়ারি থেকে ১লা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুয়ারে সরকার চালু  গভীর সুন্দর বন বিভাগের ক্যানিং পূর্ব বিদুৎ সমস্যা র সমাধানে এগিয়ে এসেছেন জননেতা বিধায়ক শওকত মোল্লা 

সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে চড়-ই পাখির অভয়ারণ্য!!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৭:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২ ৯১ বার পড়া হয়েছে

মিরু হাসান বাপ্পী বগুড়া জেলা সংবাদদাতা

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সূর্যান্তের সময় হলেই চড়-ই পাখিদের ঘরে ফেরা, চড়-ই পাখিদের মনোমুগ্ধকর ডাকে মুগ্ধ হয়ে উঠে অপেক্ষারত ট্রেন যাত্রী ও আশেপাশের মানুষজনদের।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অবস্থিত বিভিন্ন গাছে রয়েছে হাজার-হাজার চড়-ই পাখির বসবাস। প্লাটফর্ম ও ষ্টেশন এলাকায় প্রায় সবগুলো গাছেই রয়েছে এই পাখিগুলোর বসবাস।

 

পাখিদের কেউ শিকার বা বিরক্ত না করায় রেলওয়ে স্টেশনটি হয়ে উঠেছে তাদের অভয়ারণ্য। প্রভাতের প্রথম আলোর খাবারের খোঁজে বেরিয়ে যায় এসব চড়-ই পাখি এবং সারাদিন পরে সান্ধ্যায় গোধূলি লগ্নে এক সাথে কয়েক হাজার পাখির ঘরে ফেরে। সন্ধ্যার সময় পাখিদের এই গাছ গুলোতে ফেরার সময় তাদের মনোমুগ্ধকর ডাক এবং এক সাথে অনেকগুলো পাখির আগমন দেখার জন্য স্টেশনে আগমন হয় অনেক দর্শনার্থীর।

 

সান্তাহার পৌর শহরের বাসিন্ধা নেহাল আহম্মেদ প্রান্ত বলেন, সান্তাহার পৌর শহরের মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে রেল স্টেশনের কাছে এসে হঠাৎ করে পাখির কিচিরমিচির শব্দে থমকে যেতে হয়। সামান্য দূরেই বিভিন্ন গাছে চড়-ই পাখি তার বাসার ফাঁক দিয়ে উঁকিঝুঁকি মারছে এবং ওড়াউড়ি করছে। এতোগুলো চড়-ই পাখির সুললিত কলতানে উৎফুল্ল করে মন।

 

সান্তাহার নাগরিক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও সহকারী অধ্যাপক রবিউল ইসলাম রবিন বলেন, স্টেশন সংলগ্ন আমাদের অফিস কার্যালয় হওয়ায় প্রায় প্রতিদিন এই সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ হয়ে থাকে, বিশেষ করে রাতে ল্যাম্প পোস্টের আলোয় এসব গাছের দিকে তাকালে মনে হয় গাছে গাছে অসখ্যক ফল ধরে রয়েছে।

 

এসব পাখিদের যাতে কেউ বিরক্ত করতে না পারে সে বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্টেশনের আশপাশে অবস্থানকারী ব্যক্তিরা সব সময় লক্ষ্য রাখে। যার ফলে পাখিদের কেউ বিরক্ত না করায় দিন দিন স্টেশনের প্রতিটি গাছেই বৃদ্ধি পাঁচ্ছে চড়-ই পাখির সংখ্যা। সান্তাহার স্টেশন মাষ্টার রেজাউল করিম ডালিম বলেন, পাখিদের প্রতি রয়েছে আমার ভালোলাগা ও ভালোবাসা। স্টেশনে এত পাখি দেখতে আমার নিজেরও খুব ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি যাতে এই পাখিগুলো কেউ বিরক্ত বা শিকার করতে না পারে।

 

এ বিষয়ে সান্তাহার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিদর্শক নুর এ নবী বলেন, পাখি ভালো লাগে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমি ও আমার নিরাপত্তা বাহিনীর সকল সদস্যরা সার্বিক দৃষ্টি রাখে যাতে এই সৌন্দর্য কেউ নষ্ট করতে না পারে। কারণ একসময় চড়-ই পাখি সর্বত্র দেখা যেত, এখন অস্তিত্ব লোপ পাওয়ার কারণে তার কদর বেড়ে গেছে৷ অথচ পাখিই মানুষের সবচেয়ে পুরানো বন্ধুদের মধ্যে পড়ে৷

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে চড়-ই পাখির অভয়ারণ্য!!

আপডেট সময় : ১২:২৭:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২

মিরু হাসান বাপ্পী বগুড়া জেলা সংবাদদাতা

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সূর্যান্তের সময় হলেই চড়-ই পাখিদের ঘরে ফেরা, চড়-ই পাখিদের মনোমুগ্ধকর ডাকে মুগ্ধ হয়ে উঠে অপেক্ষারত ট্রেন যাত্রী ও আশেপাশের মানুষজনদের।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অবস্থিত বিভিন্ন গাছে রয়েছে হাজার-হাজার চড়-ই পাখির বসবাস। প্লাটফর্ম ও ষ্টেশন এলাকায় প্রায় সবগুলো গাছেই রয়েছে এই পাখিগুলোর বসবাস।

 

পাখিদের কেউ শিকার বা বিরক্ত না করায় রেলওয়ে স্টেশনটি হয়ে উঠেছে তাদের অভয়ারণ্য। প্রভাতের প্রথম আলোর খাবারের খোঁজে বেরিয়ে যায় এসব চড়-ই পাখি এবং সারাদিন পরে সান্ধ্যায় গোধূলি লগ্নে এক সাথে কয়েক হাজার পাখির ঘরে ফেরে। সন্ধ্যার সময় পাখিদের এই গাছ গুলোতে ফেরার সময় তাদের মনোমুগ্ধকর ডাক এবং এক সাথে অনেকগুলো পাখির আগমন দেখার জন্য স্টেশনে আগমন হয় অনেক দর্শনার্থীর।

 

সান্তাহার পৌর শহরের বাসিন্ধা নেহাল আহম্মেদ প্রান্ত বলেন, সান্তাহার পৌর শহরের মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে রেল স্টেশনের কাছে এসে হঠাৎ করে পাখির কিচিরমিচির শব্দে থমকে যেতে হয়। সামান্য দূরেই বিভিন্ন গাছে চড়-ই পাখি তার বাসার ফাঁক দিয়ে উঁকিঝুঁকি মারছে এবং ওড়াউড়ি করছে। এতোগুলো চড়-ই পাখির সুললিত কলতানে উৎফুল্ল করে মন।

 

সান্তাহার নাগরিক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও সহকারী অধ্যাপক রবিউল ইসলাম রবিন বলেন, স্টেশন সংলগ্ন আমাদের অফিস কার্যালয় হওয়ায় প্রায় প্রতিদিন এই সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ হয়ে থাকে, বিশেষ করে রাতে ল্যাম্প পোস্টের আলোয় এসব গাছের দিকে তাকালে মনে হয় গাছে গাছে অসখ্যক ফল ধরে রয়েছে।

 

এসব পাখিদের যাতে কেউ বিরক্ত করতে না পারে সে বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্টেশনের আশপাশে অবস্থানকারী ব্যক্তিরা সব সময় লক্ষ্য রাখে। যার ফলে পাখিদের কেউ বিরক্ত না করায় দিন দিন স্টেশনের প্রতিটি গাছেই বৃদ্ধি পাঁচ্ছে চড়-ই পাখির সংখ্যা। সান্তাহার স্টেশন মাষ্টার রেজাউল করিম ডালিম বলেন, পাখিদের প্রতি রয়েছে আমার ভালোলাগা ও ভালোবাসা। স্টেশনে এত পাখি দেখতে আমার নিজেরও খুব ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি যাতে এই পাখিগুলো কেউ বিরক্ত বা শিকার করতে না পারে।

 

এ বিষয়ে সান্তাহার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিদর্শক নুর এ নবী বলেন, পাখি ভালো লাগে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমি ও আমার নিরাপত্তা বাহিনীর সকল সদস্যরা সার্বিক দৃষ্টি রাখে যাতে এই সৌন্দর্য কেউ নষ্ট করতে না পারে। কারণ একসময় চড়-ই পাখি সর্বত্র দেখা যেত, এখন অস্তিত্ব লোপ পাওয়ার কারণে তার কদর বেড়ে গেছে৷ অথচ পাখিই মানুষের সবচেয়ে পুরানো বন্ধুদের মধ্যে পড়ে৷

শেয়ার করুন