সরকারি সম্পদ ভেঙে পড়ছে অথচ সরকারের মাথা ব্যাতা নেই
- আপডেট সময় : ১১:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
কামরুল ইসলাম,রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের মূল ভবন দুটি জরাজীর্ণ হয়ে চরম ঝুকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে দীর্ঘ দিন পযন্ত অথচ সরকারের এই বিষয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই।এই বিষয়ে জানাযায় প্রায় প্রতিদিনই খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তরা। ছাদ ধসে পড়ার শংকার মাঝেই ঝুকিপূর্ণ ভবনেই চলছে সেবা কার্যক্রম। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে জরুরি বিভাগের কাছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ভবনের প্রবেশ পথেই বিকট শব্দে ভেঙে পড়েছে ছাদের পলেস্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ার বিকট শব্দে রাস্তা থেকে মানুষ দৌড়ে দেখতে এসেছে। ৩/৪ হাত প্রশস্ত পলেস্তরা খসে পড়েছে। ছাদের রড বেরিয়ে গেছে। যেকোনো সময় পুরো ছাদ খসে পড়ার শংকা রয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। বিকট শব্দে ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন জরুরি বিভাগে কর্মরত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার নাছির উদ্দীন।
এর আগে গত ৩ নভেম্বরও ভবনটির দ্বিতীয় তলায় উঠার সিড়ির কাছেও একইভাবে ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ২৩ আগস্ট বেলা ১১টায় ভবনের জরুরি বিভাগের সামনেও একইভাবে ছাদের পলেস্তরা খসে পড়েছে। ক্রমাগতভাবে ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ার ঘটনায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের মূল ভবনের যেখানে সেখানে ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে। ভবনের ভেতরে-বাইরে ফাটল দেখা দিয়েছে। দরজা-জানালার অবস্থাও বেহাল। ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনেই চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব প্রসাদ চক্রবর্তী ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভবনটি ১৯৬৫ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ ৫৭ বছরের পুরাতন ভবনটিতে হঠাৎ ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ার ঘটনা ঘটে চলেছে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনারও আশংকা রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন সময় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এটির এতটাই বেহাল অবস্থা হয়েছে যে পুনঃনির্মাণ ছাড়া ভবনটি সংস্কার করে লাভ হবে না। লিখিতভাবে জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন মহলে ফোনেও অবহিত করা হয়েছে, যেন নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।