ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
আগামীকাল এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ যেভাবে জানা যাবে মানবিক ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রী মিতুন কুমার দে দুর্নীতি থেকে দেশ উত্তরণের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে নওগাঁ চিত্তরঞ্জন চক্রবর্তী দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময় যমুনা নদীতে পড়ে নিখোঁজ কুড়িগ্রামে মহানবীকে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তি, যুবক গ্রেপ্তার ১২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিক কেন্দ্রীয় কাব্য কথা সাহিত্য পরিষদ এর অনুষ্ঠানের আয়োজন রংপুর জেলা ডিবি’র অভিযানে ২৯ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন আটক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায়  শারদীয় দুর্গা পূজা পরিদর্শন করেন – রফিকুল ইসলাম  রাণীশংকৈলে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত  নওগাঁসহ সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার আজ বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের ধুম

শীতের আগমনী বার্তায় খেজুর গাছের সুমিষ্ট রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা!!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২ ৬৫ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক নিউজ

শীত এসে দরজায় কড়া নাড়ছে। শরৎ ঋতুকে বিদায় দিয়ে হেমন্ত্মকে বরণ করেছে প্রকৃতি। বৈচিত্রপূর্ণ ছয়টি ঋতুর দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এক একটি ঋতুর রয়েছে এক একটি বৈশিষ্ট্য। ঋতু বৈচিত্রে এখন দিন শেষে একটু একটু কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা।

 

এদিকে উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন, খেজুর গাছ আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সাহিত্য তথা জীবনধারায় মিশে আছে। এই ঐতিহ্যকে যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করতে হবে।

 

আর প্রতিটি ঋতুর রয়েছে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য। আর শীতকালের অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শত বছরের ঐতিহ্য খেজুর গাছের রস। শীতের সকালে খেজুর গাছের সুমিষ্ট রসের সঙ্গে হাতে ভাজা মুড়ি কিংবা চাল ভাজা খাওয়ার মজাই আলাদা। যার কারণে আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস সংগ্রহে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য গাছিরা খেজুর গাছ কাটার কাজে এখন ব্যস্ত্ম সময় পার করছেন।

 

পুবালি বাতাসে অপরম্নপ সৌন্দর্যে সকলের মন মাতিয়ে তুলছে মিষ্টি খেজুর রসের ঘ্রাণ। কাক ডাকা ভোরে রস সংগ্রহ ও সন্ধ্যায় চলছে গাছ পরিচর্যার কার্যক্রম। এবার কিছুটা আগেই উপজেলার প্রান্ত্মিক জনপদের গ্রামে গ্রামে সকালের শিশিরের সাথে অনুভূত হচ্ছে মৃদু শীত।

 

আর মাত্র কয়েক দিন পর রস সংগ্রহ করে রস থেকে লালি ও গুড় তৈরির পর্ব শুরম্ন হয়ে চলবে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত্ম। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের প্রস্তুতি উপজেলার প্রতিটি গ্রামে চোখে পড়ছে। খেজুর রস ও গুড়ের জন্য আত্রাই উপজেলা এক সময় খ্যাতি ছিল। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়। কিছুদিন আগেও বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে, ক্ষেতের আইলে, ঝোপ-ঝাড়ের পাশে ও রাস্ত্মার দুই ধার দিয়ে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ। কিন্তু বর্তমান সময়ে আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরম্ন করেছে খেজুর গাছ। যার কারণে রসের উৎপাদনও কমেছে অনেক।

 

কোন পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃৃতিক ভাবে বেড়ে উঠতো এসব খেজুর গাছ। প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরন করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো সুস্বাদু খেজুরের গুড়। গ্রামীন জনপদে সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে পুকুরের পাড়ে রাস্ত্মার ধারে পরিবেশ বান্ধব খেজুর গাছ এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ইট ভাটার রাহু গ্রাসে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে যে পরিমাণ গাছ চোখে পড়ে তা নির্বিচারে নিধন করায় দিনদিন খেজুর গাছ কমছেই।

 

এখনও শীতকালে শহর থেকে মানুষ দলে দলে ছুটে আসে গ্রাম বাংলার খেজুর রস খেতে। এক সময় সন্ধ্যাকালীন সময়ে গ্রামীন পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে উঠতো। রস আহরণকারী গাছিদের প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যেত সে সময়ে। রস জ্বালিয়ে পাতলা ঝোলা, দানা গুড় ও পাটালী তৈরি করতেন।

 

যার সাধ ও ঘ্রাণ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন অবশ্যই সে কথা নতুন প্রজন্মের কাছে রূপকথা মনে হলেও বাস্ত্মব। যত বেশি শীত পড়বে তত বেশি মিষ্টি রস দেবে খেজুর গাছ। এক গাছ ৮থেকে ১০ বছর পর্যন্ত্ম রস দেয়। এটাই তার বৈশিষ্ট্য। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা। এ ছাড়া খেজুরর পাতা দিয়ে আর্কষনীয় ও মজবুত পাটি তৈরী হয়। এমনকি জ্বালানি কাজেও ব্যাপক ব্যবহার হয়। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তন, কালের বির্বতনসহ বন বিভাগের নজরদারী না থাকায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ এখন উপজেলা জুড়ে বিলুপ্তির পথে।

 

গাছি আবুল কালাম জানান, আমরা পেশাগত কারণে প্রায় প্রতি বছরেই উপজেলার রেললাইনের পাশের চকবলারাম গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় জমিতে তাবু গেড়ে ওই এলাকার খেজুর গাছ মালিকদের কাছ থেকে ৪মাসের জন্য গাছ ভেদে ৫থেকে ৭কেজি করে খেজুরের গুড়ের বিনিময়ে আমরা গাছগুলো থেকে রস সংগ্রহ করি।

 

কিন্তু বর্তমানে চাহিদা মত খেজুর গাছ না পাওয়ার কারণে রস কম হওয়ায় আশানুরম্নপ গুড় তৈরি করতে পারি না। তারপরও এবছর প্রায় ২শ’টির বেশি খেজুর গাছের মালিকদের সাথে চুক্তি করেছি। বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে না দিয়ে জীবন-জীবিকার জন্য এই পেশা ধরে রেখেছি।

 

তবে যে ভাবে খেজুর গাছ কাটা হচ্ছে অল্প দিনের মধ্যেই এই এলাকায় আর আমাদের ব্যবসা হবে না। বর্তমান বাজারে আখের গুড় আর চিনি যে মূল্যে বেচাকেনা হচ্ছে তার চেয়ে মানসম্পন্ন খেজুরের গুড়ের দাম এবছর কিছুটা বেশি হবে এমনটাই আসা করছেন গাছিরা। শীত একটু বেশি পড়তে শুরম্ন করলে আত্মীয়-স্বজন আনা নেয়া ও পিঠা-পুলির উৎসবে খেজুর গুড়ের দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সে সময় আমাদের লাভও একটু বেশি হয়। যে পরিমাণে শ্রম দিতে হয় সে পরিমাণে আমরা লাভ করতে পারি না। তবুও পেশাগত কারণে চালিয়ে যাচ্ছি এই ব্যবসা।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম জানান, খেজুর গাছের অনেক উপকারিতা রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। গাছিদের খেজুর গাছ কাটার কাজটি শিল্প আর দক্ষতায় ভরা। ডাল কেটে গাছের শুভ্র বুক বের করার মধ্যে রয়েছে কৌশল, রয়েছে ধৈর্য ও অপেক্ষার পালা। এ জন্য মৌসুমে আসার সাথে সাথে দক্ষ গাছিদের কদর বাড়ে। তবে আমরা যদি আমাদের পরিত্যাক্ত জায়গাগুলোতে খেজুর গাছ নতুন করে রোপন করে একটু যত্ন নিই তাহলে আমাদের মতো আগামী প্রজন্মরাও শীতের আকর্ষন সুমিষ্ট এই খেজুর রস খেতে পারবে। তাই আমাদের সবারই উচিত বাণিজ্যিক ভাবে না হলেও অন্যান্য গাছের মতো দু-একটি খেজুর গাছ রোপন করা।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শীতের আগমনী বার্তায় খেজুর গাছের সুমিষ্ট রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা!!

আপডেট সময় : ১২:০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২

ডেস্ক নিউজ

শীত এসে দরজায় কড়া নাড়ছে। শরৎ ঋতুকে বিদায় দিয়ে হেমন্ত্মকে বরণ করেছে প্রকৃতি। বৈচিত্রপূর্ণ ছয়টি ঋতুর দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। এক একটি ঋতুর রয়েছে এক একটি বৈশিষ্ট্য। ঋতু বৈচিত্রে এখন দিন শেষে একটু একটু কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা।

 

এদিকে উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন, খেজুর গাছ আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সাহিত্য তথা জীবনধারায় মিশে আছে। এই ঐতিহ্যকে যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করতে হবে।

 

আর প্রতিটি ঋতুর রয়েছে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য। আর শীতকালের অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শত বছরের ঐতিহ্য খেজুর গাছের রস। শীতের সকালে খেজুর গাছের সুমিষ্ট রসের সঙ্গে হাতে ভাজা মুড়ি কিংবা চাল ভাজা খাওয়ার মজাই আলাদা। যার কারণে আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস সংগ্রহে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য গাছিরা খেজুর গাছ কাটার কাজে এখন ব্যস্ত্ম সময় পার করছেন।

 

পুবালি বাতাসে অপরম্নপ সৌন্দর্যে সকলের মন মাতিয়ে তুলছে মিষ্টি খেজুর রসের ঘ্রাণ। কাক ডাকা ভোরে রস সংগ্রহ ও সন্ধ্যায় চলছে গাছ পরিচর্যার কার্যক্রম। এবার কিছুটা আগেই উপজেলার প্রান্ত্মিক জনপদের গ্রামে গ্রামে সকালের শিশিরের সাথে অনুভূত হচ্ছে মৃদু শীত।

 

আর মাত্র কয়েক দিন পর রস সংগ্রহ করে রস থেকে লালি ও গুড় তৈরির পর্ব শুরম্ন হয়ে চলবে প্রায় মাঘ মাস পর্যন্ত্ম। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের প্রস্তুতি উপজেলার প্রতিটি গ্রামে চোখে পড়ছে। খেজুর রস ও গুড়ের জন্য আত্রাই উপজেলা এক সময় খ্যাতি ছিল। সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়। কিছুদিন আগেও বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে, ক্ষেতের আইলে, ঝোপ-ঝাড়ের পাশে ও রাস্ত্মার দুই ধার দিয়ে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ। কিন্তু বর্তমান সময়ে আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরম্ন করেছে খেজুর গাছ। যার কারণে রসের উৎপাদনও কমেছে অনেক।

 

কোন পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃৃতিক ভাবে বেড়ে উঠতো এসব খেজুর গাছ। প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরন করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো সুস্বাদু খেজুরের গুড়। গ্রামীন জনপদে সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে পুকুরের পাড়ে রাস্ত্মার ধারে পরিবেশ বান্ধব খেজুর গাছ এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ইট ভাটার রাহু গ্রাসে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে যে পরিমাণ গাছ চোখে পড়ে তা নির্বিচারে নিধন করায় দিনদিন খেজুর গাছ কমছেই।

 

এখনও শীতকালে শহর থেকে মানুষ দলে দলে ছুটে আসে গ্রাম বাংলার খেজুর রস খেতে। এক সময় সন্ধ্যাকালীন সময়ে গ্রামীন পরিবেশটা খেজুর রসে মধুর হয়ে উঠতো। রস আহরণকারী গাছিদের প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যেত সে সময়ে। রস জ্বালিয়ে পাতলা ঝোলা, দানা গুড় ও পাটালী তৈরি করতেন।

 

যার সাধ ও ঘ্রাণ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন অবশ্যই সে কথা নতুন প্রজন্মের কাছে রূপকথা মনে হলেও বাস্ত্মব। যত বেশি শীত পড়বে তত বেশি মিষ্টি রস দেবে খেজুর গাছ। এক গাছ ৮থেকে ১০ বছর পর্যন্ত্ম রস দেয়। এটাই তার বৈশিষ্ট্য। শীতের পুরো মৌসুমে চলে রস, গুড়, পিঠা, পুলি ও পায়েস খাওয়ার পালা। এ ছাড়া খেজুরর পাতা দিয়ে আর্কষনীয় ও মজবুত পাটি তৈরী হয়। এমনকি জ্বালানি কাজেও ব্যাপক ব্যবহার হয়। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তন, কালের বির্বতনসহ বন বিভাগের নজরদারী না থাকায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছ এখন উপজেলা জুড়ে বিলুপ্তির পথে।

 

গাছি আবুল কালাম জানান, আমরা পেশাগত কারণে প্রায় প্রতি বছরেই উপজেলার রেললাইনের পাশের চকবলারাম গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় জমিতে তাবু গেড়ে ওই এলাকার খেজুর গাছ মালিকদের কাছ থেকে ৪মাসের জন্য গাছ ভেদে ৫থেকে ৭কেজি করে খেজুরের গুড়ের বিনিময়ে আমরা গাছগুলো থেকে রস সংগ্রহ করি।

 

কিন্তু বর্তমানে চাহিদা মত খেজুর গাছ না পাওয়ার কারণে রস কম হওয়ায় আশানুরম্নপ গুড় তৈরি করতে পারি না। তারপরও এবছর প্রায় ২শ’টির বেশি খেজুর গাছের মালিকদের সাথে চুক্তি করেছি। বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে না দিয়ে জীবন-জীবিকার জন্য এই পেশা ধরে রেখেছি।

 

তবে যে ভাবে খেজুর গাছ কাটা হচ্ছে অল্প দিনের মধ্যেই এই এলাকায় আর আমাদের ব্যবসা হবে না। বর্তমান বাজারে আখের গুড় আর চিনি যে মূল্যে বেচাকেনা হচ্ছে তার চেয়ে মানসম্পন্ন খেজুরের গুড়ের দাম এবছর কিছুটা বেশি হবে এমনটাই আসা করছেন গাছিরা। শীত একটু বেশি পড়তে শুরম্ন করলে আত্মীয়-স্বজন আনা নেয়া ও পিঠা-পুলির উৎসবে খেজুর গুড়ের দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সে সময় আমাদের লাভও একটু বেশি হয়। যে পরিমাণে শ্রম দিতে হয় সে পরিমাণে আমরা লাভ করতে পারি না। তবুও পেশাগত কারণে চালিয়ে যাচ্ছি এই ব্যবসা।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম জানান, খেজুর গাছের অনেক উপকারিতা রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলেই খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। গাছিদের খেজুর গাছ কাটার কাজটি শিল্প আর দক্ষতায় ভরা। ডাল কেটে গাছের শুভ্র বুক বের করার মধ্যে রয়েছে কৌশল, রয়েছে ধৈর্য ও অপেক্ষার পালা। এ জন্য মৌসুমে আসার সাথে সাথে দক্ষ গাছিদের কদর বাড়ে। তবে আমরা যদি আমাদের পরিত্যাক্ত জায়গাগুলোতে খেজুর গাছ নতুন করে রোপন করে একটু যত্ন নিই তাহলে আমাদের মতো আগামী প্রজন্মরাও শীতের আকর্ষন সুমিষ্ট এই খেজুর রস খেতে পারবে। তাই আমাদের সবারই উচিত বাণিজ্যিক ভাবে না হলেও অন্যান্য গাছের মতো দু-একটি খেজুর গাছ রোপন করা।

শেয়ার করুন