লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান এর নেতৃত্বে বন্যপ্রাণী সহ প্রাচারকারি আটক
- আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
কামরুল ইসলাম চট্টগ্রাম
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতিকুর রহমান বলেন চট্টগ্রাম লোহাগাড়া থানায় অদ্য ২৭/১০/২০২২খ্রি: ১৯:৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদে জানতে পারেন বন্যপ্রাণী চক্রের কয়েকজন সদস্য বান্দরবান জেলার আলী কদম থানা এলাকার মুরং উপজাতী কর্তৃক গহীন অরন্য হতে ধৃত মহাবিপন্ন অতিবিরল প্রজাতির কয়েকটি বন্য প্রানী ক্রয় করতঃ ০১টি নাম্বার বিহীন মোটর সাইকেল যোগে বান্দরবানের লামা থানাধীন আজিজ নগর টু লোহাগাড়া থানাধীন দরবেশহাট সড়ক দিয়ে লোহাগাড়া বাস ষ্ট্যান্ড এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছে। উক্ত সংবাদটি পেয়ে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করত: সঙ্গীয় এসআই(নি:) মো: নুরুন নবী ও ফোর্সসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লোহাগাড়া থানাধীন সদর ইউনিয়নের বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় ওৎপেতে থাকেন। কাঙ্খিত মোটর সাইকেলটি লোহাগাড়া বাস ষ্ট্যান্ডের এসআলম কাউন্টারে পৌছা মাত্র তিনি সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ ০২টি বাজারের ব্যাগ ও বাশের বেতের খাচাসহ ০২জন ব্যক্তিকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ব্যক্তিদ্বয় তাদের নাম-ঠিকানা ১। মোঃ এমরান(২৪), পিতা-মোঃ বাবুল মিয়া, সাং-ফতেহাবাদ, পোষ্টঃ-মোকামবাড়ী, থানা-দেবীদ্ধার, জেলা-কুমিল্লা বর্তমানে-বালুঘাট, সাইকেল মৌলভীর কলোনী, সিএমপি চট্টগ্রাম এবং ২। মোঃ আলীম উদ্দিন(৩৭), পিতা-সামশুল আলম, সাং-নয়া পাড়া, ০৭নং ওয়ার্ড, থানা-আলী কদম, জেলা-বান্দরবান মর্মে জানায়। তল্লাশী করে ধৃত মোঃ আলীম উদ্দিনের হাতে থাকা বাজারের ব্যাগে ০১টি মথুয়া বা বন মোরগ এবং অপর ধৃত মোঃ এমরানের হাতে থাকা বাশের বেতের খাচার মধ্যে ০১টি চিতা বিড়াল এবং বাজারের ব্যাগের মধ্যে ০৩টি মেচো বিড়াল পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত মোঃ এমরান ও মোঃ আলীম উদ্দিন উপস্থিত লোকজনের সামনে স্বীকার করে যে, উদ্ধারকৃত চিতা বিড়াল ও মেচো বিড়াল এবং মথুয়া বা বন মোরগ তারা পরস্পর যোগসাজসে আলী কদমের মুরং উপজাতী সম্প্রাদায়ের লোকজন হতে ক্রয় করেছে। তারা বর্নিত বন্যপ্রানীগুলো পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মহানগরের রিয়াজ উদ্দিন বাজারে খদ্দদের কাছে বিক্রয় করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। তারা নিজেদের দখলে উল্লেখিত বন্যপ্রাণী গুলো রাখার স্বপক্ষে সদুত্তর দিতে পারে নাই। বন্যপ্রানী শিকার একটি অপরাধ। উক্ত অপরাধের দায়ে ধৃত ব্যক্তিদ্বয়ের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণীর সংরক্ষন ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর ৩৪(খ) ধারা মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।