লালমনিরহাটে স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা তার মরদেহ উদ্ধার একটি নালা থেকে
- আপডেট সময় : ০৭:১৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলায় মোটরসাইকেল বিক্রির টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এক স্কুল ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মধু চন্দ্র (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন
আদিতমারী থানা পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের বড়াবাড়ি রুহানী নগরে একটি নালা থেকে স্কুল ছাত্র ফরহাদ আলী (১৬)নামের এক জনের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।
আটক মধু চন্দ্র ভাদাই ইউনিয়নের বড়াবাড়ি রুহানীনগর এলাকার মৃত সুবাশ চন্দ্রের পুত্র।
ফরহাদ একই ইউনিয়নের শীববাড়ি এলাকার গরু ব্যবসায়ী শাহাজান আলীর পুত্র সে সারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ জানায়,মধু ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছেন এবং মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়েছে।
এরপর চাচার বাড়িতে বড় হয় কিশোর বয়স থেকে নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায় কাজ করতেন।
মাঝে মাঝে বাড়ি আসতেন এসেই বিভিন্ন জায়গায় চুরি করে আবার চলে যেতেন।
কিছু দিন আগে বাড়ি ফিরে একটি মোটরসাইকেল
কেনেন মধু সেই মোটরসাইকেল টি পাশের গ্রাম শীববাড়ির শাহাজান আলীর পুত্র ফরহাদের কাছে বিক্রি করেন।
মোটরসাইকেল বিক্রির টাকা লেনদেন নিয়ে দুজনের মাঝে মনোমালিন্য হয়।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি স্কুলছাত্র ফরহাদ।
ছেলের সন্ধান না পেয়ে আদিতমারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ফরহাদের বাবা।
জিডির সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। প্রথমদিকে ফরহাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি মধুর কাছে পাওয়া যায় এসময় তাকে আটক করেন আদিতমারী থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মধুর দেয়া তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে অস্ত্র ও পাশের নালা থেকে ফরহাদের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সুবল চন্দ্র বর্মন বলেন, ছোট বেলায় বেশ ভালোই ছিল মধু চন্দ্র।
নারায়ণগঞ্জে কাজে গিয়ে সে উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠেছে।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ফরহাদকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন মধু। তবে মোটরসাইকেলটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় করা জিডিটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হচ্ছে।
এ মামলায় মধুকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।