রেলগেট স্থাপনের দাবীতে ঈশ্বরদীতে ট্রেন আটকিয়ে অবরোধ
- আপডেট সময় : ০৩:৫৪:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনের পার্শ্ববর্তী ডহরশৈলা গ্রামের সাধারণ মানুষ রেলগেট স্থাপন ও গেটম্যান নিয়োগের দাবিতে ট্রেন আটকে রেখে অবরোধ করেছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী থেকে গোপালগঞ্জগামী ‘টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস’ ট্রেনের যাত্রা অবরোধ করে তারা এ দাবি জানান। ডহরশৈলা গ্রামের শতশত নারী-পুরুষ এসময় রেললাইনের ওপর অবস্থান নিয়ে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে প্রায় ১০ মিনিট আটকে রাখেন।
রেলপথ অবরোধের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, লালপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্যরা উপস্থিত হন।
গ্রামবাসীরা জানান, তিন দিনের মধ্যে কোন দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আমরা উত্তরাঞ্চলের সাথে সকল রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরআগে, গত ১৮ অক্টোবর সকালে ঈশ্বরদী উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকা অভিমুখী রেললাইনের উপর অবস্থান নিয়ে রেলগেট স্থাপন ও গেটম্যান নিয়োগের দাবি জানান গ্রামবাসী।
ডহরশৈলা গ্রামের বাসিন্দা ও এবি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহবুল আলম বলেন, এখানে রেললাইন নির্মাণের সময় থেকেই আমরা দাবি জানিয়ে আসছি রেলগেট নির্মাণের। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমলে নিচ্ছে না, তাই বাধ্য হয়ে গ্রামবাসী রেলপথ অবরোধ করেছে। গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগ ও খরচে এখানে পাকা রাস্তা নির্মাণের পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা গ্রামবাসীকে উপেক্ষা করে আসছিল। রেলপথ অবরোধের পর ইউএনও সাহেবের মধ্যস্থতায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও গ্রামবাসীর সাথে আলোচনা করে সমাধানের পথ খুলবে বলে মনে হচ্ছে।
পরে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় গ্রামবাসীরা রেলপথ অবরোধ থেকে নিবৃত হয়ে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে দেন। ইউএনও মেহেদী হাসান জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ছিল। গ্রামবাসীর দাবিটি যৌক্তিক। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে এটি ঝুকিপূর্ণ, যেহেতু পাশেই রেলস্টেশন। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে বসবো বিষয়টি সমাধানের জন্য।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ্ সূফী নূর মোহাম্মদ জানান, জোর খাটিয়ে বেআইনি কর্মকান্ড চলছে। এবিষয়ে ইউএনও এর সাথে বসে আলোচনার কথা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডহরশৈলা গ্রামের চার শত পরিবার নিজ উদ্যোগ এবং নিজস্ব অর্থায়নে তাদের কষ্ট লাগবের জন্য সোহেলের বাড়ি থেকে রেললাইন পর্যন্ত নিজস্ব জমি ছেড়ে দিয়ে ১০ ফুট প্রশস্থ ১ হাজার ২০ ফুট দীর্ঘ পাকা রাস্তা নির্মাণ করছেন। এখন একটাই দাবি তাদের দূর্ভোগের কারণ রেললাইনের ওপর রেলগেট স্থাপন ও গেটম্যান নিয়োগ।