ঢাকা ১২:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈলে প্রাইভেট কার উল্টে নিহত-১, আহত-৭ জন । আ’লীগের আমলে ঘরে কোরআন-হাদিস রাখা যায়নি– ঠাকুরগাঁওয়ে বক্তব্যে বললেন –জামায়াত নেতা দেলাওয়ার, পঞ্চগড়ে যুব অধিকার পরিষদের মানববন্ধন পালিত বটিয়াঘাটায় কচুবুনিয়ায় শহররক্ষা বেড়ীবাঁধে ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু । রাজশাাহী দলকে ২-১ গোল ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পার্বতীপুর বায়তুল মোকাররমে সৃষ্ট ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সংকট সমাধানে পদক্ষেপ নিন__ মুফতি আশরাফুল ইসলাম নওগাঁর বালুভরা গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে ইয়ামিন নামে এক শিশুর মৃত্যু বটিয়াঘাটায় ৩’শ গ্ৰাম গাঁজা সহ একজন আটক । ডোমার সদর ইউনিয়নে বিএনপির জনসমাবেশ মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা দুর্নীতি,স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে কর্মচারীদের মানববন্ধন

রংপুর বিভাগের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরু মহিষের গাড়ি আজ বিলুপ্তির পথে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:১৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে

রংপুর বিভাগের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরু মহিষের গাড়ি আজ বিলুপ্তির পথে

মোঃ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী:- এক সময় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় একমাত্র বাহন ছিল গরু কিংবা মহিষের গাড়ি। রংপুর বিভাগের মানুষ ধান-চাল, পাটসহ সব ধরনের কৃষিপণ্য পরিবহনে মহিষের গাড়ি ব্যবহার করতো। কিন্তু এখন আর রংপুর বিভাগের ৮টি জেলা (রংপুর, দিনাজপুর,নীলফামারী,
পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও,গাইবান্ধা,লালমনিরহাট , কুড়িগ্রাম ,,) জেলার বাথান (গো-চারণ ভূমি) ও পাথার (নিচু জমি) আগের মতো আর মহিষের গাড়ি চোখে পড়ে না!

এখন মহিষের গাড়ির জায়গা দখল করে নিয়েছে- শ্যালোইঞ্জিন ও ব্যাটারি চালিত ভটভটি, করিমন, নছিমন, অটোভ্যান, পিকাপভ্যানসহ নানা যান্ত্রিক পরিবহন। ফলে বিল, বাথান পাথার উত্তরবঙ্গ এলাকায় গরু মহিষের গাড়ি আর চোখে পড়ে না তেমন। মাঝে মধ্যে ২-১টা দেখা গেলেও তা আসে অন্য কোনো স্থান থেকে। ফলে রংপুর বিভাগে মহিষের গাড়ি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মহিষের গাড়িয়াল বলেন, আগে সারা বছর গাড়ি চালাতাম। এখন শুধু মাঝে মাঝে ডাক পড়লে কাজ করি। আর সারা বছর বেকার বসে থাকি। এখন সবাই ভটভটি, করিমন, নছিমন দিয়ে এ কাজ করায়। ফলে আমাদের চাহিদা কমে গেছে। এতে আমরা চরম অভাবের মধ্যে দিন যাপন করছি। অন্য পেশা বেছে নিচ্ছি।

কৃষকরা বলেন, যান্ত্রিক পরিবহনে খরচ বেশি। তাছাড়া যে সকল স্থানে যান্ত্রিক পরিবহন ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। সেখানে মহিষের গাড়ি সহজে ব্যবহার করা যায়। ফলে এখনও ২-১টি মহিষের গাড়ী এ অঞ্চলে দেখা যায়। হয়তো এক সময় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাহনটা আর চোখে পড়বে না।

লালমনিরহাট, কোদালখাতা গ্রামের কমল কান্তি বর্মণ বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে যান্ত্রিক পরিবহনে কৃষিপণ্য এক স্থান থেকে আরেক স্থানে সহজে পরিবহন করা যায়। তাই এই এলাকা থেকে মহিষের গাড়ি, গরুর গাড়ি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যারা এখন এ পেশা বদলায়নি, তারা বাপ-দাদার পেশা হিসেবে ধরে রেখে কাজের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

লালমনিরহাট ফুলগাছ গ্রামের হরিপদ রায় হরি বলেন, গ্রাম বাংলার চিরায়ত এ ঐতিহ্যবাহী মহিষের গাড়ির চাহিদা এখনও একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। তাই যে সকল মশিয়ালরা এখনও টিকে আছেন তাদের বিভিন্ন সরকারি পরিবহন কাজে ব্যবহার করে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। যেমন- উপজেলা সদরের গুদাম থেকে ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ, ভিজিডির চাল পরিবহন, সরকারি ঠিকাদারি মালামাল গন্তব্যে পৌঁছানোসহ বিভিন্ন সরকারি কাজে মহিষের গাড়ি ব্যবহার করা সম্ভব। তাই সরকার এ দিকে দৃষ্টি দেবে বলে জোর দাবী করেন তিনি।
আমার সোনার বাংলা চাই।
ধর্ম বর্ন জাত জাতি বড়ো নই,
বড়ো হলো তুই ভাই মানুষ আমি মানুষ। আর জানতে হবে স্রোষ্ঠাকে।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রংপুর বিভাগের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরু মহিষের গাড়ি আজ বিলুপ্তির পথে

আপডেট সময় : ০৫:১৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

রংপুর বিভাগের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরু মহিষের গাড়ি আজ বিলুপ্তির পথে

মোঃ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী:- এক সময় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় একমাত্র বাহন ছিল গরু কিংবা মহিষের গাড়ি। রংপুর বিভাগের মানুষ ধান-চাল, পাটসহ সব ধরনের কৃষিপণ্য পরিবহনে মহিষের গাড়ি ব্যবহার করতো। কিন্তু এখন আর রংপুর বিভাগের ৮টি জেলা (রংপুর, দিনাজপুর,নীলফামারী,
পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও,গাইবান্ধা,লালমনিরহাট , কুড়িগ্রাম ,,) জেলার বাথান (গো-চারণ ভূমি) ও পাথার (নিচু জমি) আগের মতো আর মহিষের গাড়ি চোখে পড়ে না!

এখন মহিষের গাড়ির জায়গা দখল করে নিয়েছে- শ্যালোইঞ্জিন ও ব্যাটারি চালিত ভটভটি, করিমন, নছিমন, অটোভ্যান, পিকাপভ্যানসহ নানা যান্ত্রিক পরিবহন। ফলে বিল, বাথান পাথার উত্তরবঙ্গ এলাকায় গরু মহিষের গাড়ি আর চোখে পড়ে না তেমন। মাঝে মধ্যে ২-১টা দেখা গেলেও তা আসে অন্য কোনো স্থান থেকে। ফলে রংপুর বিভাগে মহিষের গাড়ি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মহিষের গাড়িয়াল বলেন, আগে সারা বছর গাড়ি চালাতাম। এখন শুধু মাঝে মাঝে ডাক পড়লে কাজ করি। আর সারা বছর বেকার বসে থাকি। এখন সবাই ভটভটি, করিমন, নছিমন দিয়ে এ কাজ করায়। ফলে আমাদের চাহিদা কমে গেছে। এতে আমরা চরম অভাবের মধ্যে দিন যাপন করছি। অন্য পেশা বেছে নিচ্ছি।

কৃষকরা বলেন, যান্ত্রিক পরিবহনে খরচ বেশি। তাছাড়া যে সকল স্থানে যান্ত্রিক পরিবহন ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। সেখানে মহিষের গাড়ি সহজে ব্যবহার করা যায়। ফলে এখনও ২-১টি মহিষের গাড়ী এ অঞ্চলে দেখা যায়। হয়তো এক সময় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাহনটা আর চোখে পড়বে না।

লালমনিরহাট, কোদালখাতা গ্রামের কমল কান্তি বর্মণ বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে যান্ত্রিক পরিবহনে কৃষিপণ্য এক স্থান থেকে আরেক স্থানে সহজে পরিবহন করা যায়। তাই এই এলাকা থেকে মহিষের গাড়ি, গরুর গাড়ি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যারা এখন এ পেশা বদলায়নি, তারা বাপ-দাদার পেশা হিসেবে ধরে রেখে কাজের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

লালমনিরহাট ফুলগাছ গ্রামের হরিপদ রায় হরি বলেন, গ্রাম বাংলার চিরায়ত এ ঐতিহ্যবাহী মহিষের গাড়ির চাহিদা এখনও একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। তাই যে সকল মশিয়ালরা এখনও টিকে আছেন তাদের বিভিন্ন সরকারি পরিবহন কাজে ব্যবহার করে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। যেমন- উপজেলা সদরের গুদাম থেকে ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ, ভিজিডির চাল পরিবহন, সরকারি ঠিকাদারি মালামাল গন্তব্যে পৌঁছানোসহ বিভিন্ন সরকারি কাজে মহিষের গাড়ি ব্যবহার করা সম্ভব। তাই সরকার এ দিকে দৃষ্টি দেবে বলে জোর দাবী করেন তিনি।
আমার সোনার বাংলা চাই।
ধর্ম বর্ন জাত জাতি বড়ো নই,
বড়ো হলো তুই ভাই মানুষ আমি মানুষ। আর জানতে হবে স্রোষ্ঠাকে।

শেয়ার করুন