মোহাম্মদ আলী ও মহিউদ্দিন মুরাদ এর আচরণ বিধি লংঘন।
- আপডেট সময় : ০৭:১৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২ ৭৭ বার পড়া হয়েছে
কামরুল ইসলাম
মহা সড়কে যানজট সৃষ্টি করে জন চলাচলের বিঘ্ন ঘটায় গান বিধি লংঘন করছে কর্ণফুলী উপজেলার চ্যারম্যান প্রার্থী মোঃ আলি ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মহিউদ্দিন মুরাদ। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে গিয়ে জানাযায় কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে শোভাযাত্রা ও হাজারো মানুষ নিয়ে শো-ডাউন করেছেন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। এতে মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
গতকাল মঙ্গলবার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী (আনারস) ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন মুরাদ (উড়োজাহাজ) শত শত মোটরসাইকেল ও যানবাহন নিয়ে শো-ডাউন করেন। বিকেল ৪টায় নগরীর শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজা থেকে শোভাযাত্রাটি নিয়ে শিকলবাহা ওয়াই জংশন গিয়ে পুনরায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন মুরাদের শিকলবাহাস্থ বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর হাজারো সমর্থক হাতে আনারস ও উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে উল্লাস করতে দেখা যায়।
এছাড়াও সাউন্ড, মাইক নিয়ে আনারস ও উড়োজাহাজ প্রতীকে ভোট চেয়ে নেচে গেয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালায় তারা। শোভাযাত্রাটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বর ঘুরে শিকলবাহা চৌমুহনী এলাকার কলেজ বাজার নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় এসে সমাবেশে মিলিত হয়। শেষে নির্বাচনী প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। শোভাযাত্রায় উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সভাপতি ও শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বড়উঠান ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও জুলধা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নুরুল হকসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী (আনারস) বলেন, আমরা শো-ডাউন কিংবা শোভাযাত্রা করার জন্য কাউকে বলিনি। প্রতীক পাওয়ার পর হাজারো জনতা নিজ উদ্যোগে রাস্তায় নেমে আনন্দ উল্লাস করে। জনগণের চাপের মুখে পড়ে আমিসহ আরো অনেক আ.লীগ নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নিতে বাধ্য হই। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন মাঠে থাকা ৯ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের মিলনায়তনে সকল প্রার্থীদের উপস্থিতিতে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুর শুক্কুর।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান আমীর আহমদ (চশমা), আবদুল হালিম (তালা) ও মহিউদ্দিন মুরাদ (উড়ো জাহাজ) প্রতীক পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থীর মধ্যে মোমেনা আক্তার নয়ন (কলস), বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়াম্যান বানাজা বেগম নিশি (হাঁস), ডা. ফারহানা মমতাজ (ফুটবল) ও রানু আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা) প্রতীক পেয়েছেন। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পর তারাও কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল ও গণসংযোগ শুরু করেন।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল শুক্কুর বলেন, প্রতীক বরাদ্দকালে প্রার্থীদের সতর্ক করা হয়েছে যাতে আচরণবিধি লক্সঘন করা না হয়। কিন্তু কেউ কেউ আচরণবিধি না মেনে শোভাযাত্রা ও শো-ডাউন করেছে। তিনি আরও বলেন, বুধবার থেকে নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। আচরণবিধি লক্সঘনের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।