মোরেলগঞ্জ ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারনার মাধ্যমে মায়ের জমি লিখে নেয়ার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ১২:২৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২ ৬১ বার পড়া হয়েছে
মোঃ ইকরামুল হক রাজিব, নিজস্ব প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারনার মাধ্যমে মায়ের জামি লিখে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৫ ভাই বোনকে বাদ দিয়ে বড় ভাইয়ের স্ত্রী নামে মায়ের জমি লিখে নেয়ার অভিযোগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন অপর দুই ভাই।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ১৪নং বারইখালী ইউনিয়নের বাসান্ডা গ্রামে মৃত: কাজল খান এর স্ত্রী গোলবানু বিবি ১১৩ নং দক্ষিন সুতালড়ী মৌজার এসএ ১২৬৪-১২৬৬ নং খতিয়ানে স্বামীর সূত্রে প্রাপ্ত ৩১ শতাশং জমির মালিক থাকেন। তার প্রাপ্ত জমিতে দীঘদিন যাবৎ ৩ পুত্র আ: রশিদ খান, জয়নাল খান ও লতিফ খান ভোগদখলে এমন কি বসত ঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছেন। এরিমধ্যে বৃদ্ধা মাতা গোলবানু বিবিকে দেখাশুনা ও চিকিৎসার কথা বলে কৌশালে পুত্র আব্দুল লতিফ খান তার বাড়ীতে নিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে লতিফ খান মাতা গোলবানুকে সুকৌশালে মোরেলগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে তার স্ত্রী রাশিদা বেগমের নামে গত ২৬/০৭/২০২২ ইং তারিখ ৪০৬৯ নং দলিলে সমুদয় ৩১ শতাশং জমি মায়ের নিকট থেকে কবলা রেজিষ্ট্রি করে নেন। এর কিছুদিন পর সুচতুর লতিফ খান অপর দুই ভাই রশিদ ও জয়নাল খানকে বসত বাড়ী ছেড়ে দেয়ার জন্য নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। পরবর্তীতে ভূক্তভোগী দুই ভাই রশিদ ও জয়নাল খান বাদী হয়ে লতিফ খান ও তার স্ত্রী রাশিদা বেগমকে বিবাদী করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। চেয়ারম্যান সংশ্লিস্টি ওয়ার্ড মেম্বর ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদেরকে নিয়ে
ঘটনা স্থালে উপস্থিত হয়ে তদন্ত পূর্বক মিমাংশা করে দেবার জন্য শালিশগণ পক্ষদয়ের উপস্থিতে কাগজপত্র পর্যালচানা করে মূল মালিক গোলবানু বিবির নামিয় ৩১ শতাশং জমি মাতার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ততা বুঝে নিয়ে বাকী জমি অন্য ওয়ারিশ রশিদ ও জয়নাল খানকে বিবাদী পক্ষ দ্বারা ফেরত রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। মর্মে ১৫ জন শালিশ গনের স্বাক্ষ প্রদান সহ লিখিত রোয়েদাত প্রদান করে আইন আনুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শুপারিশ প্রদান করেন।
বিবাদী পক্ষ শালিশগনের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বাদী পক্ষকে বসত ঘরবাড়ী ভেঙ্গে নিয়ে জমি ছেড়ে দেবার জন্য বিভিন্ন প্রকার চাপ প্রয়োগ করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে রাশিদা বেগম এর সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আমার শ্বাশুরির ভরন পোশনের দায়িত্ব নিয়েছি তাই সে আমাকে তার নামের জমি
দিয়ে দিয়েছে। তাও আবার কবলা রেজিষ্ট্রি করে।