মণিরামপুর প্রতিনিধি: মণিরামপুরে রোগাক্রান্ত গাভী জবাই করে পাইকারী হারে বিক্রির সময় খুচরা মাংস ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে পড়েছেন আলমগীর হোসেন নামে এক বিতর্কিত পাইকারী মাংস ব্যবসায়ীসহ তার চক্রের সদস্যরা। বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে অভিযোগ রয়েছে থানা পুলিশের নিকটবর্তী স্থানে একটি চক্রকে ম্যানেজ করে পাইকারী মাংস ব্যবসায়ী আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে এহেন কর্মকান্ড চালালেও কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে সংশিষ্ট কর্তৃপরে কোন মাথা ব্যাথা নেই। যে কারণে অস্বাস্থ্যকর রোগগ্রস্থ গরু বা গাভীর মাংস খেয়ে চরমভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন জনসাধারণ। দাবী উঠেছে জরুরী ভিত্তিতে এই অসাধ ব্যবসায়ী আলমগীরসহ চক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিলে তাদের প্রতারণার ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে সাথে ক্ষতিগ্রস্থ ও রোগগ্রস্থ হবে ক্রেতারা।

জানাযায়, আলমগীরের বাড়ী উপজেলার কুয়াদা এলাকায়। তার নিজ এলাকা কুয়াদা বাজারে এমন প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের কারণে তাকে এলাকা ছাড়তে হয়। ইতোপূর্বে সে চোরাই গরুর মাথাসহ যশোর কোতয়ালী থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। সে এলাকা থেকে চলে এসে মণিরামপুর পৌর শহরের মুরগীহাটা জামে মসজিদের পাশে একটি দোকান ঘর ভাড়া নেয়। অভিযোগ রয়েছে প্রতি রাত ৪টার দিকে পৌরসভার জয়নগর এলাকার পৌর কসাই খানায় অতি গোপনে ২/৩টি রোগগ্রস্থ এবং গাভী নিয়ে যাওয়া হয়। এক পর্যায় নির্ধারিত পশু জবাইকারী কোন ব্যাক্তি ছাড়াই নিজেরা ওই পশু জবাই করে ভ্যান যোগে মাংস নিয়ে আসে ভাড়া নেয়া ওই ঘরে। আর এমন কর্মকান্ড চালানো হয় এলাকার লোকজন ঘুম থেকে উঠার আগে। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার সকালে আলমগীরের পাইকারী দোকানের সামনে হাজির হন খুরচা মাংস বিক্রেতারা। এসময় খুচরা মাংস বিক্রেতা বাবর আলী বাবু ও রিজাউল ইসলামসহ অন্যান্যরা গাভীল মাংসসহ হাতে-নাতে ধরে আলমগীরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। এক প্রকার প্রতিবাদকারীরা তার দোকানের দরজা বন্ধ করার চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে খুচরা মাংস বিক্রেতা বাবর আলী বাবু চরম ােভের সাথে জানান, সাধারণ ক্রেতারা অন্ধ বিশ্বাসে তাদের নিকট থেকে মাংস কিনে খেয়ে থাকেন। অথচ প্রতিদিন ষাড় বা বলদ গরুর পরিবর্তে পাইকারী ব্যবসায়ী আলমগীর গাই এবং বকনা গরু জবাই করে তাদের কাছে খুচরা হারে বিক্রয় করে থাকে। এদিকে খুচরা মাংস বিক্রেতাদের মধ্যে অনেকে জানান, প্রয়োজনে আমরা আলমগীরের কাছ থেকে মাংস নিয়ে আর মানুষের কাছে বিক্রি করব না। তবে এ ঘটনায় পাইকারী আলমগীরের সাথে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।