ভেড়ামারায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মাহাবুল’র উপর হামলা এবং স্ত্রীকে শ্লীলতাহানী করার চেষ্টা! থনায় লিখিত অভিযোগ
- আপডেট সময় : ১২:০০:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে
আফতাব পারভেজ, ডেস্ক নিউজ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ধরমপুর ইউনিয়ন এ পূর্ব শত্রুতার জেরে মাহাবুল’র উপর হামলা এবং স্ত্রীর শ্লীলতাহানী করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মাহাবুল বাদী হয়ে ভেড়ামারা থনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ নিম্নরূপ – আমি মোঃ মাহাবুল ইসলাম (৪৫), পিতা-মোঃ জালাল উদ্দীন, সাং-উত্তর ভবানীপুর, সাতবাড়িয়া, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়া আমার স্ত্রী ধরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ০৪, ০৫, ০৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান মহিলা মেম্বার মোছাঃ সুলতানা রেখা (৪১), জং-মোঃ মাহাবুল ইসলাম এর মাধ্যমে অত্র থানায় আসামী-০১। মোঃ হাসেম (৫২), পিতা-মৃত নিফাজ আলী, সাং-উত্তরভবানীপুর, সাতবাড়িয়া, ০২। মোঃ রানা (৪০), পিতা-মৃত মুছা, সাং-নবগঙ্গা, সাতবাড়িয়া, ০৩। মোঃ কাদের (৪৪), পিতা-মোঃ ওম্বর আলী, ধরমপুর (রশিদিপাড়া), ০৪। মোঃ মাসুম আলী (৪০), পিতা-মৃত ইদ্্িরস আলী, সাং-উত্তরভবানীপুর, সাতবাড়িয়া, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়াগণের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করছি যে, পূর্বশত্রæতার জের ধরে, গত ইং-০৪/০১/২০২৩ তারিখ রোজ বুধবার রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় ভেড়ামারা থানাধীন নবগঙ্গা গোরস্থানের সামনে দিয়ে আসার সময় আসামীগণ আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো রামদা, চাপাতী, হাসুয়া, লোহার রড নিয়ে ওৎ পেতে থাকে। আমার স্ত্রীকে নিয়ে আসার সময় ০১নং আসামী হাসেম রাস্তার উপরে এসে বলে যে, শুয়োরের বাচ্চাকে জীবনের মত শেষ করে ফেল, বলার সাথে সাথে আসামীগণ যোগসাজসে আমার ও আমার স্ত্রীর পথরোধ করে। উক্ত সময়ে ০১নং আসামী হাসেম তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে আমার মাথার বাম অংশে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত ও ফাঁটা জখম করে। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য আসামী হাসেম তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে মাথার বাম অংশে কোপ দিয়ে পুনরায় রক্তাক্ত জখম করে যার ফলে ক্ষতস্থানে পনেরটি সেলাই পড়ে। আমি নিস্তেজ হয়ে পড়লে ০২নং আসামী রানা আমার গলার উপরে পা তুলে দিয়ে হত্যা নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। ০২নং আসামী রানা আমার মাথার উপরে চাপাতী দিয়ে আঘাত করলে আঘাতটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আমার বাম হাতের উপর লেগে কালোশিরা জখম প্রাপ্ত হই। ০৩নং আসামী কাদের তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার পিঠের উপরে আঘাত করে বেদনাদায়ক কালোশিরা জখম করে। ০৪নং আসামী মাসুমের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার ডান হাতের কব্জির উপরে আঘাত করে বেদনাদায়ক নিলাফোলা জখম করে এবং সকল আসামীগণ একত্রিত হয়ে আমার স্ত্রীর শ্লীলতাহানী করার চেষ্টা করে। আমাদের আত্নচিৎকারে স্থানীয় লোকজন আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আসামীগণ ধারালো অস্ত্র দ্বারা খুনজখমের হুমকি সহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদান করে বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সাক্ষীগণ আমাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মোটরবাইক যোগে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।
মাহাবুলসহ এলাকাবাসীর দাবী তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।