বালিয়াডাঙ্গীতে কালবৈশাখী ঝড়ে নিহতের পরিবারের মাঝে জেলা প্রশাসক আর্থিক সহায়তা প্রদান
- আপডেট সময় : ০৭:৪২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত পরিবারের মাঝে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।
রবিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শালডাঙ্গা গ্রামের শনিবার ভোরে কালবৈশাখী ঝড়ে কইনুল হক এর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪২) মৃত্যুবরণ করে। নিহতের স্বামী কইনুল হকের নিকট ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান ২৫ হাজার টাকার চেক ও ২০ কেজি চাল বিতরণ করেছেন। পরে জেলা প্রশাসক পাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে ৫০ জন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের নিকট ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফছানা কাওছার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, পাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী রুবেল প্রমুখ।
পরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফছানা কাওছার একই গ্রামের দবিরুল ইসলামের স্ত্রী জাহেদা বেগম (৪৮) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ ও দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর নয়াপাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলামের আড়াই বছরের শিশু নাঈয়ুম এর প্রতি পরিবারের মাঝে ২৫ হাজার টাকা করে ৫০ হাজার টাকার চেক ও ২০ কেজি করে চাল প্রদান করেন।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সোহেল জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে ২৮ হেক্টর জমির আম বাগান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফছানা কাওছার জানান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড়ে ৪ শ ৫০টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের আরো বরাদ্দের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া, বড়পলাশবাড়ী, আমজানখোর ও বড়বাড়ী ইউনিয়ন এলাকায় ২৫টি গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কাঁচা ঘরবাড়ী, টিনের চালা সহ প্রায় কয়েকশতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। ঝড়ে নিহত হন একই উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের শালডাঙ্গা গ্রামের পইনুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪২) টিনের ছাউনি চাপা পড়ে মৃত্যু ও একই গ্রামের দবিরুল ইসলামের স্ত্রী জাহেদা বেগম (৪৮) ফরিদা বেগম এর মৃত্যুর খবর শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। অপরদিকে দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর নয়াপাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলামের আড়াই বছরের শিশু নাঈয়ুম বাড়ীর পাশে ১টি গর্তে জমে থাকা পানিতে ডুবে মারা যায়।