বগুড়ায় মধ্য রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টা
- আপডেট সময় : ১০:২৪:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে
শাহজাহান আলীঃ বগুড়া জেলা প্রতিনিধি,
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নে মধ্য রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মুখে গামছা বেঁধে দেশীয় অস্ত্র মুখে জিম্মি করে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সংঘবদ্ধ দুবৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার(১৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত অনুমান একটার দিকে বগুড়ার শেরপুরে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের দক্ষিণ জামুর গ্রামের ফসলি মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশের কাছে দেওয়া নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর বর্ণনা থেকে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ জামুর গ্রামস্হ বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন ওই গৃহবধূ। ঘটনার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির,প্রধান ফটক খুলে বের হন। এসময় ওঁৎপেতে থাকা ৪-৫ জন ব্যক্তি তার মুখে গামছা বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। এমনকি গ্রামের ফসলি মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে এবং অন্যরা পাহাড়ায় নিয়োজিত ছিলেন। এর একপর্যায়ে ধর্ষণকারীকে চিনতে পারেন তিনি। তার নাম মান্নান আব্দুল জব্বারেরে ছেলে। আর এই চিনে ফেলার কারণেই তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মান্নান ও তার সহযোগিরা ওই গৃহবধূর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে এতে তাঁর মাথা ফেটে যায়। পরে মৃত ভেবে তাঁকে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরবর্তীতে বাবার পরিবারের লোকজন ঘর থেকে বের হন। এরপর তাঁর শয়নকক্ষ ও বাড়ির দরজা খোলা দেখে তাঁকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে গ্রামের ফাঁকা মাঠ থেকে গোংঙ্গানির শব্দ ভেসে আসে। এরপর রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্হানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক তাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ(শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে নিশ্চিত করেন।
শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক রওশনা আরা জানান,ওই গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতন চালানোর পর মাথায় আঘাত করা,হয়। এতে মাথা ফেটে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁর অবস্থা খুবই ক্রিটিকেল। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক।
শেরপুর,থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার এর নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ প্রসঙ্গে জানন, ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে। তাই ঘটনাটি সম্পর্কে এইমহুর্তে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ওই ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাক না কেন, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এজন্য পুলিশের অভিযান চলছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই জড়িতদেরকে ধরা সম্ভব হব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি উক্ত ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।