ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
আদমদীঘিতে ভূমি অফিসের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদে সেবা দিচ্ছেন এসিল্যান্ড একজন শিক্ষার্থীর মেধা বিকাশে খেলাধূলা প্রধান সহায়ক – জি,এম পাপুল  কুড়িগ্রামে ফিলিং স্টেশন মালিকদের নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে ৩ সংসদীয় আসনে জামায়াত ইসলামীর প্রার্থী ঘোষণা আদমদীঘিতে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার অবৈধভাবে কুড়িগ্রাম সীমান্তে প্রবেশের সময় বাংলাদেশী যুবক আটক বেসরকারি খাতে হস্তান্তর কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিল, মিলবে কর্মসংস্থান দৌলতপুরে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন জাতীয় পর্যায়ে খেলার মত নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে : বাচ্চু মোল্লা  জয়পুরহাটে দুই জন অফিসার ইনচার্জ কে বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা  সান্তাহারে পেট্রোল পাম্পের মালিকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

বগুড়ায় মধ্যরাতে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

 

স্টাফ রিপোর্টার, মিরু হাসান
বগুড়ার শেরপুরে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই গৃহবধূর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।

উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের দক্ষিণ জামুর গ্রামের ফসলি মাঠে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশের কাছে দেওয়া নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর বর্ণনা থেকে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ জামুর গ্রামের বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন ওই গৃহবধূ। ঘটনার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির প্রধান ফটক খুলে বের হন। এ সময় ওঁৎ পেতে থাকা চার থেকে পাঁচজন তার মুখে গামছা বেঁধে তুলে নিয়ে যান। গ্রামের ফসলি মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেন এবং অন্যরা পাহারায় নিয়োজিত ছিলেন। এক পর্যায়ে ধর্ষণকারীকে চিনতে পারেন তিনি। তার নাম আব্দুল মান্নান (৪০)। তিনি একই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। আর এই চিনে ফেলার কারণেই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তারা।

এরই ধারাবাহিকতায় মান্নান ও তার সহযোগীরা ওই গৃহবধূর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মাথা ফেটে যায়। পরে মৃত ভেবে তাকে ফেলে রেখে চলে যান।

পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন ঘর থেকে বের হয়ে তার শয়নকক্ষ ও বাড়ির দরজা খোলা দেখে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে গ্রামের ফাঁকা মাঠ থেকে গোঙ্গানির শব্দ ভেসে আসে। এ

রপর রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক তাকে বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক গুলশানারা বলেন, ওই গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতন চালানোর পর মাথায় আঘাত করা হয়। এতে মাথা ফেটে গেছে এবং প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার অবস্থা খুবই ক্রিটিকাল। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান পালাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, ঘটনাটি নিয়ে এরইমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তাই ঘটনাটি সম্পর্কে এই মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ওই ঘটনায় যারাই জড়িত থাক না কেন, তাদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এজন্য পুলিশি অভিযান চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তাদেরকে ধরা সম্ভব হবে। পাশাপাশি এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

বগুড়ায় মধ্যরাতে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টা

আপডেট সময় : ০৩:৩০:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩

 

স্টাফ রিপোর্টার, মিরু হাসান
বগুড়ার শেরপুরে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই গৃহবধূর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।

উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের দক্ষিণ জামুর গ্রামের ফসলি মাঠে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশের কাছে দেওয়া নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর বর্ণনা থেকে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ জামুর গ্রামের বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন ওই গৃহবধূ। ঘটনার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির প্রধান ফটক খুলে বের হন। এ সময় ওঁৎ পেতে থাকা চার থেকে পাঁচজন তার মুখে গামছা বেঁধে তুলে নিয়ে যান। গ্রামের ফসলি মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেন এবং অন্যরা পাহারায় নিয়োজিত ছিলেন। এক পর্যায়ে ধর্ষণকারীকে চিনতে পারেন তিনি। তার নাম আব্দুল মান্নান (৪০)। তিনি একই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। আর এই চিনে ফেলার কারণেই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তারা।

এরই ধারাবাহিকতায় মান্নান ও তার সহযোগীরা ওই গৃহবধূর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মাথা ফেটে যায়। পরে মৃত ভেবে তাকে ফেলে রেখে চলে যান।

পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন ঘর থেকে বের হয়ে তার শয়নকক্ষ ও বাড়ির দরজা খোলা দেখে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে গ্রামের ফাঁকা মাঠ থেকে গোঙ্গানির শব্দ ভেসে আসে। এ

রপর রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক তাকে বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক গুলশানারা বলেন, ওই গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতন চালানোর পর মাথায় আঘাত করা হয়। এতে মাথা ফেটে গেছে এবং প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার অবস্থা খুবই ক্রিটিকাল। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান পালাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, ঘটনাটি নিয়ে এরইমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তাই ঘটনাটি সম্পর্কে এই মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ওই ঘটনায় যারাই জড়িত থাক না কেন, তাদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এজন্য পুলিশি অভিযান চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তাদেরকে ধরা সম্ভব হবে। পাশাপাশি এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।।

শেয়ার করুন