শাহজাহান আলীঃ বগুড়া জেলা প্রতিনিধি,

বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ এই দু’টি আসনে উপ-নির্বাচনে বাতিল হওয়া ১১ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে দুই জন তাদের প্রার্থীতা আপীলে ফিরে পেয়েছেন। তারা হলেন- বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান আকন্দ।

বগুড়া জেলা নির্বাচন অফিসার মাহমুদ হাসান জানান,প্রার্থীতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপীলের শুনানি শেষে রোববার নির্বাচন কমিশন এক আদেশে ওই দু’জনের প্রার্থীতা বৈধ বলে ঘোষণা দেন।
ওদিকে আজ রোববার( ১৫ জানুয়ারি) প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে ওই দু’টি আসনে কোনো প্রার্থীই তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে ওই দু’টি আসনে এখন পর্যন্ত মোট ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় থেকে গেলেন।এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে ৫ জন এবং বগুড়া-৬ আসনে -৮ জন।
তবে প্রার্থীতা ফিরে না পাওয়া আলোচিত প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফ হিরো আলম উচ্চ আদালতে রিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র অন্য প্রার্থীরা কি করবেন সেটি এখন জানা যায়নি। প্রতিদ্বন্দ্বী
এ সব প্রার্থীর মধ্যে ১৬ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ওই দুই আসনে ভোট গ্রহণের কথা।

বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের বিএনপি দলীয় দুইজন সংসদ সদস্য গত বছরের ১১ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন আসন দু’টি শূন্য ঘোষণার পর উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সেই অনুযায়ী গত-৫ জানুয়ারি ওই দু’টি আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে মোট ২২জন তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তবে ৮ জানুয়ারি যাচাই-বাছাইকালে রিটানিং কর্মকর্তা বগুড়ার জেলা প্রশাসক ১০ স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস নামে একটি রাজনৈতিক দলের একজন প্রার্থীসহ মোট ১১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এরপর তারা ওই আদেশের বিরুদ্ধে ৯ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনে আপীল করেন। গত ১১ জানুয়ারি আপীলের শুনানি হয় এবং আজ রোববার আদেশ দেওয়া হয়।

বগুড়া-৪ আসনে বর্তমানে যে ৫ জন প্রার্থী রয়েছেন তারা হলেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন, জাতীয় পার্টির মনোনীত শাহীন মোস্তফা কামাল, জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুর রশিদ সরদার,বাংলাদেশ কংগ্রেসের তাজ উদ্দিন মন্ডল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল।

বগুড়া-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম ওমর,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রার্থী ইমদাদুল হক ইমদাদ, জাকের পার্টির ফয়সাল বিন শফিক,গণফ্রন্টের আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী যথাক্রমে- মাসুদুর রহমান হেলাল ও আব্দুল মান্নান আকন্দ।

প্রার্থাতা ফিরে না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফ হিরো আলম ক্ষদ্ব হয়েছেন। তিনি বলেন,আমি ন্যায় বিচার পাইনি। তাই উচ্চ আদালতে যাব।বগুড়ার দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন,এর আগে ২০১৮ সালেও তার প্রার্থীতা বাতিল হয়েছিল। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তিনি প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছিলেন।

বগুড়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা প্রশাসক মাহমুদ হাসান জানান,তফসিল অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী সকল প্রার্থীর মাঝে ১৬ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর পরই নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রচারের সুযোগ পাবেন বলেও জানান তিনি।