বগুড়ায় দিনমজুরের সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়া, প্রবাসীর ১৮ লাখ টাকা গচ্চা!!
- আপডেট সময় : ১১:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২ ৭১ বার পড়া হয়েছে
বগুড়া জেলা সংবাদদাতা
বগুড়ার ধুনটে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে পাঁচ বছর ধরে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ উঠেছে নান্নু তরফদার (৪৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নগ্ন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দফায় দফায় হাতিয়ে নিয়েছেন ১৮ লাখ টাকা। এ ঘটনায় স্বামীর সংসার ছেড়ে লাপাত্তা হয়েছেন ওই নারী।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) ঘটনাটি জানাজানি হয়। নান্নু তরফদারের সঙ্গে ওই গৃহবধূর শারীরিক সম্পর্কের ৩ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এবং ৯টি নগ্ন ছবি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। এ ঘটনায় নান্নু তরফদারকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী।
আসামি নান্নু তরফদার উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের কাদাই গ্রামের দুলু তরফদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাদাই গ্রামের এক বেকার যুবক ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ২০১৭ সালে মালয়েশিয়া যান। তার স্ত্রী ও সন্তান গ্রামের বাড়িতে বসবাস করতেন। এ অবস্থায় প্রতিবেশী নান্নু তরফদার প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। প্রবাসীর বাড়িতে অবাধে যাতায়াতের একপর্যায়ে ওই গৃহবধূর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। কৌশলে সেই দৃশ্য নিজের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখেন নান্নু।
পরবর্তি সময়ে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নারীর সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে অনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি তার স্বামীর পাঠানো ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় নান্নু।
চাকরি শেষে ২০২২ সালের ১৭ মে মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে ফিরে ওই যুবক তার স্ত্রীর কাছে টাকার হিসেব চান। কিন্তু স্ত্রীর টালবাহানা করেন। একপর্যায়ে নান্নুর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি টের পান ওই যুবক। এছাড়া বিভিন্ন হাত ঘুরে স্ত্রীর সঙ্গে নান্নু তরফদারের শারীরিক সম্পর্কের ৩ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এবং ৯টি নগ্ন ছবি ওই যুবকের হাতে আসে। ঘটনাটি এলাকায় প্রচার হওয়ার ভয়ে ওই গৃহবধূ স্বামী, সন্তান ছেড়ে এখন লাপাত্তা।
এ ঘটনায় গত ২৫ জুলাই ওই যুবক বাদী হয়ে নান্নু তরফদারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বগুড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা (নম্বর ১৭৮) করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বগুড়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই বগুড়ার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিত পার্থ সরকার জানান, মামলার তদন্ত চলমান। ভিকটিম ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করছেন। পরকীয়ায় আসক্ত আসামির সঙ্গে ভিকটিম স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে তা ভিডিও ধারণ করেছেন মর্মে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নান্নু তরফদার বলেন, আমি এখন এলাকাতেই আছি। আমার সঙ্গে ওই মেয়ে স্বেচ্ছায় সম্পর্কে ছিল। জোর করে কিছু করিনি।।