ঢাকা ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ফরিদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

মিয়া রোমান ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৬:২৬:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৫৮ বার পড়া হয়েছে

মিয়া রোমান
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি

প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিষ্কার হাত সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ’এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে হাত ধোয়া দিবসটি পালিত হয়।

উক্ত দিবসের অংশ হিসাবে আজ ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামে প্রাণিসম্পদ সেবা প্রদানকারী, প্রাণি সম্পদ খামারী, দুগ্ধজাত পণ্য প্রস্তুতকারী ও গবাদী প্রাণি বিক্রেতাদের নিয়ে একটি জনসচেতনতামুলক আলোচনা সভা ও সঠিক পদ্ধতিতে হাত ধোয়ার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডা: মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ফরিদপুর সদর, ফরিদপুর। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, এসিডিআই/ভোকা এর সিনিয়র ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ মুহাম্মদ মঞ্জুরুল হক এবং ফিল্ড কো- অর্ডিনেটর ফারজানা ইয়াসমিন।

উক্ত প্রকল্পটি সঠিকভাবে হাত ধোয়ার মাধ্যমে হাতের পরিচ্ছন্নতাসহ সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কার্যকর প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ সেবা প্রদানকারী এবং প্রাণিসম্পদ খামারিদের জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে লাইভস্টক অ্যান্ড নিউট্রিশন প্রকল্প ৫.২৫৪ জন প্রশিক্ষিত প্রাণিসম্পদ সেবা প্রদানকারীর মাধ্যমে ৭১৬,১৭৬ জন প্রাণিসম্পদ খামারীদের হাত ধোয়ার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করছে। প্রাণিসম্পদ খামারীরা উপলদ্ধি করেছে যে, প্রাণির যত্ন, দুধ দোহন ও প্রাণির চিকিৎসার পূর্বে ও পরে সাবান ও পরিস্কার পানি দিয়ে হাত পরিষ্কারের মাধ্যমে গবাদি প্রাণির সংক্রমণ রোগ হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে স্বাস্থ্যকর গবাদি প্রাণি এবং প্রাণি চিকিৎসা খরচ কমেছে। এছাড়াও দুধ ও দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় সঠিকভাবে হাত ধোয়ার ফলে খাদ্যর গুনগতমানের উন্নয়ন হয়েছে এবং খাদ্য দূষণ অনেকাংশে কমেছে।

খামারী মোঃ মোনাসেফ হাওলাদার ফিরোজ, যিনি ২০২১ সাল থেকে উক্ত প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত আছেন এবং তিনি বলেন “আগে, আমরা বুঝতে পারিনি যে হাত ধোয়ার মতো একটি সহজ অভ্যাস প্রাণি সম্পদ খামারীদের জন্য এতটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন, আমাদের গবাদি প্রাণি গুলি স্বাস্থ্যকর, এবং আমাদের দুধও নিরাপদ। দুধ তুলনামূলকভাবে বেশী সময় ভাল থাকে এবং কম নষ্ট হয়।

আফরোজা আক্তার ফরিদপুরের একজন সফল প্রাণিসম্পদ সেবা প্রদানকারী তিনি ২০২২ সাল থেকে উক্ত প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত আছেন এবং প্রাণি সম্পদ খামারীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন” তিনি বলেন আগে বুঝতে পারিনি যে হাত ধোয়ার মতো একটি সহজ অভ্যাস শুধু মানুষই না গবাদি প্রাণিরও সংক্রামণ রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এখন, সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নয়নের ফলে গবাদি প্রাণি ও খামারীদের সংক্রমণ রোগ অনেক কমে আসছে।

দুগ্ধজাত পণ্য প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী মোঃ শামীম হোসেন, যিনি ২০২২ সাল থেকে উক্ত প্রকল্পের সাথে। সম্পৃক্ত আছেন এবং তিনি বলেন “আগে, আমরা বুঝতে পারিনি যে সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার মতো একটি সহজ অভ্যাস দুগ্ধজাত পণ্য প্রস্তুতকরণে এতটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন, আমাদের দুধ ও দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় সঠিকভাবে হাত ধোয়ার ফলে খাদ্যর গুনগতমানের উন্নয়ন হয়েছে এবং খাদ্য দূষণ অনেকাংশে কমেছে।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফরিদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

আপডেট সময় : ০৬:২৬:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

মিয়া রোমান
ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি

প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিষ্কার হাত সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ’এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে হাত ধোয়া দিবসটি পালিত হয়।

উক্ত দিবসের অংশ হিসাবে আজ ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামে প্রাণিসম্পদ সেবা প্রদানকারী, প্রাণি সম্পদ খামারী, দুগ্ধজাত পণ্য প্রস্তুতকারী ও গবাদী প্রাণি বিক্রেতাদের নিয়ে একটি জনসচেতনতামুলক আলোচনা সভা ও সঠিক পদ্ধতিতে হাত ধোয়ার প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডা: মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ফরিদপুর সদর, ফরিদপুর। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, এসিডিআই/ভোকা এর সিনিয়র ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ মুহাম্মদ মঞ্জুরুল হক এবং ফিল্ড কো- অর্ডিনেটর ফারজানা ইয়াসমিন।

উক্ত প্রকল্পটি সঠিকভাবে হাত ধোয়ার মাধ্যমে হাতের পরিচ্ছন্নতাসহ সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কার্যকর প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ সেবা প্রদানকারী এবং প্রাণিসম্পদ খামারিদের জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে লাইভস্টক অ্যান্ড নিউট্রিশন প্রকল্প ৫.২৫৪ জন প্রশিক্ষিত প্রাণিসম্পদ সেবা প্রদানকারীর মাধ্যমে ৭১৬,১৭৬ জন প্রাণিসম্পদ খামারীদের হাত ধোয়ার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করছে। প্রাণিসম্পদ খামারীরা উপলদ্ধি করেছে যে, প্রাণির যত্ন, দুধ দোহন ও প্রাণির চিকিৎসার পূর্বে ও পরে সাবান ও পরিস্কার পানি দিয়ে হাত পরিষ্কারের মাধ্যমে গবাদি প্রাণির সংক্রমণ রোগ হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে স্বাস্থ্যকর গবাদি প্রাণি এবং প্রাণি চিকিৎসা খরচ কমেছে। এছাড়াও দুধ ও দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় সঠিকভাবে হাত ধোয়ার ফলে খাদ্যর গুনগতমানের উন্নয়ন হয়েছে এবং খাদ্য দূষণ অনেকাংশে কমেছে।

খামারী মোঃ মোনাসেফ হাওলাদার ফিরোজ, যিনি ২০২১ সাল থেকে উক্ত প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত আছেন এবং তিনি বলেন “আগে, আমরা বুঝতে পারিনি যে হাত ধোয়ার মতো একটি সহজ অভ্যাস প্রাণি সম্পদ খামারীদের জন্য এতটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন, আমাদের গবাদি প্রাণি গুলি স্বাস্থ্যকর, এবং আমাদের দুধও নিরাপদ। দুধ তুলনামূলকভাবে বেশী সময় ভাল থাকে এবং কম নষ্ট হয়।

আফরোজা আক্তার ফরিদপুরের একজন সফল প্রাণিসম্পদ সেবা প্রদানকারী তিনি ২০২২ সাল থেকে উক্ত প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত আছেন এবং প্রাণি সম্পদ খামারীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন” তিনি বলেন আগে বুঝতে পারিনি যে হাত ধোয়ার মতো একটি সহজ অভ্যাস শুধু মানুষই না গবাদি প্রাণিরও সংক্রামণ রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এখন, সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার অভ্যাস উন্নয়নের ফলে গবাদি প্রাণি ও খামারীদের সংক্রমণ রোগ অনেক কমে আসছে।

দুগ্ধজাত পণ্য প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী মোঃ শামীম হোসেন, যিনি ২০২২ সাল থেকে উক্ত প্রকল্পের সাথে। সম্পৃক্ত আছেন এবং তিনি বলেন “আগে, আমরা বুঝতে পারিনি যে সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার মতো একটি সহজ অভ্যাস দুগ্ধজাত পণ্য প্রস্তুতকরণে এতটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন, আমাদের দুধ ও দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় সঠিকভাবে হাত ধোয়ার ফলে খাদ্যর গুনগতমানের উন্নয়ন হয়েছে এবং খাদ্য দূষণ অনেকাংশে কমেছে।

শেয়ার করুন