প্রতিবন্ধী কটন মিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবীতে পুলিশ কমিশনার,জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন।
- আপডেট সময় : ১১:৪৮:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৩/১০/২০২২ ইং তারিখে প্রতিবন্ধী কটন মিয়ার উপরে (৪ বছর ৮ মাসের) শিশু বাচ্চা তাজকিয়া জান্নাত তাহেরা শিশু ধর্ষণের অপবাদ দিয়ে – কবিরাজ নোমান আহমদ (৩০) পিতা মৃত হোসাইন আহমদ, বর্তমান টিলাগড় মিরাপাড়া জুবায়ের মিয়ার কলোনী থানা শাহপরান রহঃ
১৪/১০/২২ ইংরেজীতে অত্র থানায় অভিযোগ করেন, পরবর্তীতে পুলিশ প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ কটন মিয়া (৭০) গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এরি প্রেক্ষিতে ১৯/১০/২২ ইং তারিখে
প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ কটন মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ পারভীন বেগম ,(৫৩) পুলিশ কমিশনার এসএমপি সিলেট ও জেলা প্রশাসক সিলেট বরাবর -ষড়যন্ত্র মুলক মামলা থেকে তাহার বৃদ্ধ স্বামীকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মুক্তি দেওয়ার ও কবিরাজ নোমান আহমদ’র বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন।
পারভীন বেগম আবেদন পত্রে উল্লেখ করেন কবিরাজ নোমান আহমদ আমার পাশ্ববর্তী ভাড়াটে ঐ সুবাদে তাঁর মেয়ে আমার ঘরে আসা যাওয়া করে সব সময়।
ঘটনার দিন ১৩/১০/২২ ইং তারিখে বেলা ১২ টার দিকে আমার স্বামী খাটে শুয়ে আছিলেন, আমিও বসা আমার স্বামীর পায়ের কাছে,ঐ সময় (৪ বছর ৮ মাসের) শিশু বাচ্চা তাজকিয়া জান্নাত তাহেরা আমার বিছানায় খেলতে করছিল। দুষ্টামি করতে গিয়ে খাট থেকে পড়ে যায় খাটের পাশে থাকা লোহার একটা ছোট্ট টেবিলের উপর, লোহার টেবিলে আঘাত পাওয়াতে বাচ্চা চিৎকার করে কাঁধে। আমি ও আমার স্বামী তরিগড়ি করে বাচ্চাকে ধরে কান্না থামানোর চেষ্টা করি
কান্নার শব্দ পেয়ে নোমান আহমদের স্ত্রী ও আসে, আমি বাচ্চার মাকে বললাম বিছানা থেকে পড়ে ব্যাথা পেয়েছে, বাচ্চার মা তখন বলে চাচী একটু ব্যাথা পেয়েছে মলম লাগিয়ে দিতে হবে বলে ঘরে নিয়ে যায়। ঐদিন বিকেলে নোমান আহমদ আমাকে ডেকে বলে আমার ২ মেয়ে থেকে যেকোনো ১ মেয়েকে নিয়ে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে তার ঘরে গিয়ে। আর নাহয় ১ লক্ষ্য টাকা থাকে দিতে হবে। আমি তার এমন অদ্ভুত কথা শোনে জবাব দেই যা ইচ্ছে কর গিয়ে, বাচ্চা পড়ে ব্যাথা পাইছে এখানে কারো কী কোন দোষ আছে। ক্ষমা চাইবো কেন আর টাকা দিবো বা কেন।
পরবর্তীতে কবিরাজ নোমান আহমদ শাহপরান রহঃ থানায় অভিযোগ দায়ের করে, আমার স্বামীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, আমার স্বামীর উপর(৭০ বছর বয়সে) এমন একটি জঘন্য অপবাদ দিয়ে আমার মেয়েদেরকে ব্লাকমেইল করা চেষ্টা করে যাচ্ছে – বাসায় কোন ভাড়াটে তার কারনে থাকতে পারেনা, মহিলাদের দিকে কু’নজরে থাকায়, তার চরিত্র এতো নিকৃষ্ট যা ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবে, তার জাদুু টোনার ভয়ে কেউ তার এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেনা ভয়ে।
বছর খানিক আগেই কলোনির জনৈক সাবিনা বেগমের গোসলের ভিডিও ধারণ করে, ঐ মহিলা এবং আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা তার এমন জঘন্য কাজের প্রতিবাদ করি, সেই থেকে কবিরাজ নোমান আহমদ আমাদের সাথে সব সময় উঠে পড়ে লেগে আছে,আমার মেয়েরা ঘরের বাহিরে থাকা গোসলখানায় গোসলে করতে গেলে কবিরাজ নোমান আহমদ ঐখানে গিয়ে মোবাইল টিপতে থাকে উঁকিঝুঁকি দেয়। এখন মামলা তুলে নিবে বলে ১ লক্ষ্য টাকা দাবী করে, অন্যথায় আমার মেয়েদের কে তার ঘরে পাঠানোর জন্য বলে।
পারভীন বেগম আরো উল্লেখ করে তাহার স্বামী প্রতিবন্ধী লোক এবং তিনি শারীরিক ভাবে সম্পুর্ন অসুস্থ। পূর্বের শত্রুতার জের ধরে এবং আমার মেয়েদের প্রতি তার কু’নজর তার খারাপ উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পাড়ায় – কবিরাজ নোমান আহমদ ছোট্ট অবুঝ শিশুকে দিয়ে এমন মিথ্যা ঘটনা সাজিয়েছে। উক্ত বিষয়টি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আইনী ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কমিশনার এসএমপি ও জেলা প্রশাসক সিলেট-এর সুদৃষ্টি কামনা করেন, এবং সিলেটের সচেতন মহলের সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করেন।