প্রচন্ড তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুর
- আপডেট সময় : ১২:২৫:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪ ১২০ বার পড়া হয়েছে
সারাদেশের ন্যায় প্রচন্ড তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুর। ঈদুল ফিতরের দিন থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ শুরু হলেও গত শুক্রবার থেকে তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মেহেরপুরের জনজীবন।
শনিবার (২০ এপ্রিল), বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে মেহেরপুরে তাপমাত্রা ছিল ৪২° সেলসিয়াস। সকাল থেকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার প্রতিটি এলাকার জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। তীব্র তাপদাহে সবথেকে বেশি কষ্টে রয়েছেন সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষেরা। গ্রামের থেকে শুরু করে শহরের কাঠুরে, রিক্সা চালক, অটোভ্যান, আলগামন, করিমন ও নসিমন চালকরা রয়েছেন বিপদে। তাছাড়া মাঠে ঘাটে কর্মরত লোকজনের কষ্টের অন্ত নেই। শনিবার বিকেলের দিকে কর্মরত অবস্থায় সদর উপজেলার গহরপুর গ্রামে রাব্বি নামের এক রাজমিস্ত্রীর সহকারী অসুস্থ হলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার জন্য নেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া তীব্র তাপদাহে জেলার সকল এলাকার শিশু ও বয়স্কসহ অনেকেই সর্দি-কাশি, জ্বর, মাথাঘোরানো, পেট ব্যাথা, পানি শূন্যতাসহ ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। গত সপ্তাহের তুলনায় হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তীব্র তাপদাহে একটু স্বস্তি খুঁজতে গ্রামের তরুণসহ সকল ধরনের লোকজনকে পুকুরে গলা ডুবিয়ে গোসল করতে দেখা গেলেও সেখানে তা মিলছেনা বলে জানান তিনারা।
গাংনী উপজেলার হিজলবাড়ীয়া গ্রামের রাজমিস্ত্রী তোফাজ্জেল হোসেন জানান, দুপুরের দিকে টানা বাতাস বইলেও কাজ করতে জান ছটফট করছিল। উপায় না পেয়ে কাজ ছেড়ে বাসায় চলে আসলাম।
মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের ফেরদৌস জানান, চাকুরির সুবাদে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছুটতে হয়। সকালের দিকে তেমন একটা সমস্যা না হলেও ১১ টার পর থেকে আর চলতে ইচ্ছে হয়না। শুধু মানুষজনই না সড়কে চলতে গবাদিপশুও চোখে মেলে যেগুলো একেবারে কাহিল হয়ে পড়ে।
এদিক তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গত শুক্রবার থেকে ৩ দিনের হিট এলার্ট জারি করা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে। এমন আবহাওয়া পুরো এপ্রিল জুড়েই বিরাজ করতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।