ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর  খুলনা জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে বিশ্ব পানি দিবস পালিত । নিরাপদ সড়ক চাই জয়পুরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। খুলনা কেসিসি এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার ও কেসিসি’র প্রকাশক- ফিরোজ সরকার  বাগমারায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  দূর্গাপুর প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমাজের কমিটি ঘোষণা !দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  ভিজিএফের স্লিপ নিয়ে কৃষক দল নেতাদের বিরুদ্ধে মারামারির অভিযোগ  কুড়িগ্রাম ৩ আসন সাবেক এমপির লুটপাটের সাতকাহন  আলোচিত গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার বগুড়ায় ভলিবল রেফারি কোর্স ২০২৫ এর শুভ উদ্ভোধন অনুষ্ঠিত 

প্রচন্ড খরা ও অসময়ের বন্যায় পাট চাষে ক্ষতিগ্রস্ত আত্রাইয়ের কৃষক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

 

এমরান মাহমুদ প্রত্যয়,নওগাঁ প্রতিনিধি:

ন‌ওগাঁর আত্রাইয়ে অতিরিক্ত খরা এবং হঠাৎ বন্যার কারণে বেশীর ভাগ পাট ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে চলতি মৌসুমে পাট চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার কৃষকরা। তবে পাট চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পাটের ন্যায্য মূল্যে পেলে কৃষকেরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে নব্বই জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে এক কেজি করে পাটের বীজ দেওয়া হয়েছিল। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২শত ৫৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর বিপরীতে ২শত ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
উপজেলার দমদমা গ্রামের কৃষক মো. আসলাম বলেন এবছর পাট আবাদের শুরুর দিকে প্রচন্ড গরম আর বৃষ্টি না হওয়ায় আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলেও পাট চাষ করেছিলাম। পাট কিছুটা বড় হলে এবং পাটের বয়স না হতেই হঠাৎ বন্যা আসার কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লাভ ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনা করে অনেকে জমিতেই ফেলে রেখেছে পাট। সিংসাড়া গ্রামের কৃষক খালেক আলী বলেন আমি বেশ ক’ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম।পাট ভালো ও হয়েছিল কিন্তু হঠাৎ বন্যা আসার কারণে বেশকিছু পাট নষ্ট হয়েছে ।আমি কিছু পাট কাটতে পেরেছি।তবে খরচের টাকা উঠবে না এবছর। দীঘা গ্রামের কৃষক নয়ন বলেন আমি এ বছর ১.৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। গত বছরের চেয়ে এবছর পাটের ভালো হয়েছিল।খরচ অনেক বেশি হওয়ায়। বিক্রি ২হাজার ৬০০টাকা মন দামে বিক্রি করে ও লাভ তো দূরের কথা আবাদ করার খরচ উঠানো দায় হয়ে পড়েছে ।এদিকে পাট ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন গুণগতমান ভেদে বাজারে পাটের দাম যাচ্ছে ২হাজার ৬০০ শত থেকে ৩হাজার ১০০ শত টাকা মন। তারা আরো বলেন ব্যাংক থেকে প্রয়োজন মতো টাকা উত্তোলন করতে না পারায় পাটের দাম অনেক সময় কমবেশি হচ্ছে। তবে পাটের দাম আরো কমেতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন এ বছর উপজেলায় পাট চাষীদের কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাজারে ৩হাজার ৩০০ থেকে ৩হাজার ৬০০ টাকা দামে কৃষক পাট বিক্রি করতে পারলে তাদের ক্ষতির কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করি।

 

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রচন্ড খরা ও অসময়ের বন্যায় পাট চাষে ক্ষতিগ্রস্ত আত্রাইয়ের কৃষক

আপডেট সময় : ০৯:২১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

এমরান মাহমুদ প্রত্যয়,নওগাঁ প্রতিনিধি:

ন‌ওগাঁর আত্রাইয়ে অতিরিক্ত খরা এবং হঠাৎ বন্যার কারণে বেশীর ভাগ পাট ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে চলতি মৌসুমে পাট চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার কৃষকরা। তবে পাট চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পাটের ন্যায্য মূল্যে পেলে কৃষকেরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে নব্বই জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে এক কেজি করে পাটের বীজ দেওয়া হয়েছিল। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২শত ৫৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর বিপরীতে ২শত ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
উপজেলার দমদমা গ্রামের কৃষক মো. আসলাম বলেন এবছর পাট আবাদের শুরুর দিকে প্রচন্ড গরম আর বৃষ্টি না হওয়ায় আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলেও পাট চাষ করেছিলাম। পাট কিছুটা বড় হলে এবং পাটের বয়স না হতেই হঠাৎ বন্যা আসার কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লাভ ক্ষতির পরিমাণ বিবেচনা করে অনেকে জমিতেই ফেলে রেখেছে পাট। সিংসাড়া গ্রামের কৃষক খালেক আলী বলেন আমি বেশ ক’ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম।পাট ভালো ও হয়েছিল কিন্তু হঠাৎ বন্যা আসার কারণে বেশকিছু পাট নষ্ট হয়েছে ।আমি কিছু পাট কাটতে পেরেছি।তবে খরচের টাকা উঠবে না এবছর। দীঘা গ্রামের কৃষক নয়ন বলেন আমি এ বছর ১.৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। গত বছরের চেয়ে এবছর পাটের ভালো হয়েছিল।খরচ অনেক বেশি হওয়ায়। বিক্রি ২হাজার ৬০০টাকা মন দামে বিক্রি করে ও লাভ তো দূরের কথা আবাদ করার খরচ উঠানো দায় হয়ে পড়েছে ।এদিকে পাট ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন গুণগতমান ভেদে বাজারে পাটের দাম যাচ্ছে ২হাজার ৬০০ শত থেকে ৩হাজার ১০০ শত টাকা মন। তারা আরো বলেন ব্যাংক থেকে প্রয়োজন মতো টাকা উত্তোলন করতে না পারায় পাটের দাম অনেক সময় কমবেশি হচ্ছে। তবে পাটের দাম আরো কমেতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন এ বছর উপজেলায় পাট চাষীদের কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাজারে ৩হাজার ৩০০ থেকে ৩হাজার ৬০০ টাকা দামে কৃষক পাট বিক্রি করতে পারলে তাদের ক্ষতির কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করি।

 

শেয়ার করুন