ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
দৈনিক হালচাল পত্রিকার সাংবাদিক আছানুল হক এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ  কুড়িগ্রামে ৩২.৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নওগার ঘাটনগরে মাদক নির্মূল কমিটির আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রাউজানের পশ্চিম গুজরায় সূলভ মূল্যে খাদ্য সামগ্রী পেল ৪শ জন এনায়েতপুর ছাত্র হত্যা মামলায় সাবেক এমপি মোমিন মন্ডলের পিএস সেলিম সরকার গ্রেফতার, সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশে ব্যাপক রদবদল ৬ থানার ওসি বদলী দুই হাতে গুলি চালানো রুবেল ফের ৭ দিনের রিমান্ডে ট্রেন হতে ১৭৫ বোতল ফেনসিডিলসহ দুইজন আটক লাম্বুর হাট হোসাইনিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে গুণিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন বটিয়াঘাটায় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় শহররক্ষা বেড়ীবাঁধ হুমকির মুখে।

পাহাড় কাঁটা ও সরকারি জাইগা দখলের পাইতারা চলছে বাঁশখালী। 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩ ১৪১ বার পড়া হয়েছে

কামরুল ইসলাম

চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় কাঁটার ও সরকারি জাইগা অবৈধ দখলের অভিযোগ উঠেছে।

এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে গিয়ে জানাযায় বাঁশখালীর পাহাড় কাঁটা ও পাহাড়ি এলাকায় সরকারি জাইগা অবৈধ দখল করে বসতি গড়া থামছে না।

 

বৈদ্যুতিক সংযোগও দেওয়া হচ্ছে অবৈধ । এর ফলে হাতির পালসহ অন্যান্য বন্য প্রাণীর বসবাস হুমকির মুখে পড়েছে। শূকর থেকে শুরু করে নানা ধরনের প্রাণী হত্যা করে লোকালয়ে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাই বনবিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এই ধরনের বিভিন্ন অবৈধ ঘটনা ঘটে কিন্তু অতিব দুঃখের বিষয় বনভিবাগ নিরব । তবে বনবিভাগের কর্মকর্তারা বললেন, অবৈধ বসতি উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে।

 

বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর বাঁশখালীর উপকূলীয় জনগণ পাহাড়ে বসতি স্থাপন শুরু করে। এর ফলে দক্ষিণের পুঁইছড়ি, নাপোড়া, চাম্বল, শীলকূপ, পৌরসভার জলদী, পাইরাং, বৈলছড়ি, কালীপুর, সাধনপুর ও পুকুরিয়া এলাকায় গড়ে উঠেছে কয়েক সহস্রাধিক বাড়িঘর। এসব কাজে জড়িয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। ভূমিহীন সার্টিফিকেট তৈরি করে জায়গার নামজারি করা হচ্ছে। খতিয়ান তৈরি করে সেসব পাহাড়ি জায়গায় টিউবওয়েল স্থাপন ও বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস করা হচ্ছে। এর ফলে হাতির পাল থেকে শুরু করে নানা প্রাণী লোকালয়ে চলে আসছে।

 

 

এদিকে পুঁইছড়ির নাপোড়ার মীরাপাড়ায় এক ব্যক্তি পাহাড়ি জায়গা বিক্রি করেন। সেখানে পাঁচতলা ফাউন্ডেশনে দালান উঠছে। পাহাড়ি এলাকায় আগে থেকে বসবাস করা লোকজন, ভূমিহীন ও সাগরের ভাঙনে বসতবাড়ি বিলীন হওয়া লোকজনকে চড়া দামে দখলস্বত্ব বিক্রি করছে একটি চক্র। বর্তমানে সরকার খাস জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প করছে। ওইসব জায়গা দখলমুক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। পৌরসভার উত্তর জলদীতে এ ধরনের ঘটনায় দখলদাররা প্রশাসনের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট করে, যা এখনো চলমান।

 

এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সরকারি খাস জায়গা যাদের দখলেই থাকুক না কেন, সরকারের প্রয়োজন হলে ছেড়ে দিতে বাধ্য। এখানে কোনো ধরনের অনৈতিক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে না।

 

পাহাড়ে জনবসতির বিষয়ে বন বিভাগের নাপোড়া বন বিট কর্মকর্তা মো. মিজান বলেন, আমি কিছুদিন আগে এ বিটে যোগদান করেছি। যতটুকু দখল ও বসতবাড়ি হয়েছে তা আমার আসার আগে করা হয়েছে। যারা অবৈধভাবে বসতি করছে তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

বন বিভাগের জলদী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, উপকূলের গৃহহীন লোকেরা নানাভাবে বনের মধ্যে বসতি গড়ে তুলছে। বন বিভাগ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাহাড় কাঁটা ও সরকারি জাইগা দখলের পাইতারা চলছে বাঁশখালী। 

আপডেট সময় : ১১:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

কামরুল ইসলাম

চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় কাঁটার ও সরকারি জাইগা অবৈধ দখলের অভিযোগ উঠেছে।

এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে গিয়ে জানাযায় বাঁশখালীর পাহাড় কাঁটা ও পাহাড়ি এলাকায় সরকারি জাইগা অবৈধ দখল করে বসতি গড়া থামছে না।

 

বৈদ্যুতিক সংযোগও দেওয়া হচ্ছে অবৈধ । এর ফলে হাতির পালসহ অন্যান্য বন্য প্রাণীর বসবাস হুমকির মুখে পড়েছে। শূকর থেকে শুরু করে নানা ধরনের প্রাণী হত্যা করে লোকালয়ে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাই বনবিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এই ধরনের বিভিন্ন অবৈধ ঘটনা ঘটে কিন্তু অতিব দুঃখের বিষয় বনভিবাগ নিরব । তবে বনবিভাগের কর্মকর্তারা বললেন, অবৈধ বসতি উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে।

 

বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর বাঁশখালীর উপকূলীয় জনগণ পাহাড়ে বসতি স্থাপন শুরু করে। এর ফলে দক্ষিণের পুঁইছড়ি, নাপোড়া, চাম্বল, শীলকূপ, পৌরসভার জলদী, পাইরাং, বৈলছড়ি, কালীপুর, সাধনপুর ও পুকুরিয়া এলাকায় গড়ে উঠেছে কয়েক সহস্রাধিক বাড়িঘর। এসব কাজে জড়িয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। ভূমিহীন সার্টিফিকেট তৈরি করে জায়গার নামজারি করা হচ্ছে। খতিয়ান তৈরি করে সেসব পাহাড়ি জায়গায় টিউবওয়েল স্থাপন ও বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে বন্য প্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস করা হচ্ছে। এর ফলে হাতির পাল থেকে শুরু করে নানা প্রাণী লোকালয়ে চলে আসছে।

 

 

এদিকে পুঁইছড়ির নাপোড়ার মীরাপাড়ায় এক ব্যক্তি পাহাড়ি জায়গা বিক্রি করেন। সেখানে পাঁচতলা ফাউন্ডেশনে দালান উঠছে। পাহাড়ি এলাকায় আগে থেকে বসবাস করা লোকজন, ভূমিহীন ও সাগরের ভাঙনে বসতবাড়ি বিলীন হওয়া লোকজনকে চড়া দামে দখলস্বত্ব বিক্রি করছে একটি চক্র। বর্তমানে সরকার খাস জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প করছে। ওইসব জায়গা দখলমুক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। পৌরসভার উত্তর জলদীতে এ ধরনের ঘটনায় দখলদাররা প্রশাসনের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট করে, যা এখনো চলমান।

 

এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সরকারি খাস জায়গা যাদের দখলেই থাকুক না কেন, সরকারের প্রয়োজন হলে ছেড়ে দিতে বাধ্য। এখানে কোনো ধরনের অনৈতিক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে না।

 

পাহাড়ে জনবসতির বিষয়ে বন বিভাগের নাপোড়া বন বিট কর্মকর্তা মো. মিজান বলেন, আমি কিছুদিন আগে এ বিটে যোগদান করেছি। যতটুকু দখল ও বসতবাড়ি হয়েছে তা আমার আসার আগে করা হয়েছে। যারা অবৈধভাবে বসতি করছে তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

বন বিভাগের জলদী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, উপকূলের গৃহহীন লোকেরা নানাভাবে বনের মধ্যে বসতি গড়ে তুলছে। বন বিভাগ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন