ঢাকা ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ময়মনসিংহের রেঞ্জ ডিআইজি জামাল পুর জেলা পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ম্যাজিস্ট্রেট উর্মিকে স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেফতার দাবি জয়পুরহাটে অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, কলেজ শিক্ষার্থী নিহত! রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কোরআনের মাহফিল পন্ড। ঠাকুরগাঁওয়ে জমিতে জবর দখল করে গাছ রোপনের অভিযোগ ! ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গীতে চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণা ! কোরআন ও হাদীসের আলোকে গীবত বা পরনিন্দা মহাপাপ : হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী। ঠাকুরগাঁওয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন । ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়ায় পুকুরে ডুবে ১জনের মৃত্যু ! ঠাকুরগাঁওয়ে টিসিবির পন্য উধাও, ক্ষুদ্ধ কার্ডধারীরা !

পার্বতীপুরে সম্ভাবনাময় পান চাষ নেই কৃষি বিভাগের সহযোগীতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪৩ বার পড়া হয়েছে

শফিক ইসলাম পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের পার্বতীপুর হাবড়া ইউনিয়নের পান বাজারে রয়েছে প্রায় ৩০ টি পানের বরজ। স্ব-উদ্যোগে এলাকার পান চাষিরা সখের বসে দীর্ঘবছর আগে পান চাষ শুরু করেন। এখানকার জমি পান চাষের উপযোগী হওয়ায় সম্ভবনাময় একটি খাত মনে করে পান চাষে ঝুকে পড়ে এলাকার কৃষকরা। এরি ধারাবাহিকতায় অত্র এলাকাটির নাম করন হয়েছে পান বাজার। এই বাজার এলাকায় এসে রাস্তার পাশে দাড়ালে যতদুর দৃষ্টি যায় চোখ পড়ে দৃষ্টিনন্দন ছোট বড় সারি সারি পানের বরজ।
অত্র এলাকার কৃষকের অভিযোগ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তারা কোন রকমের পরামর্শ বা সহায়তা পায় না।
ঐসব কৃষকদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে সময়মত পান চাষের জন্য কৃষি উপকরণ, বীজ, সার, কীটনাশক পেলে এই খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণ এবং দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

পান বাজার এলাকার কৃষক সন্তোষ চন্দ্র রায় জানায়, পরিবারের ছেলে মেয়ে মা-রা মিলে সাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারে। তাইতো তিনি ২ বিঘা জমিতে পানের বরজ লাগিয়েছেন। নিজেদের শ্রম ও খরচ মিলিয়েতার প্রায় ১ লক্ষ টাকা আনুমানিক ব্যয় হয়েছে। যার বিপরীতে পান বিক্রয় করেছে প্রায় ২ লাখ টাকার।
এই পান চাষে অত্র এলাকার হিন্দু পরিবার গুলির আগ্রহ বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।
অন্যান্য পান চাষিরা হলেন- শ্রী নিতাই বাবু, লাল বাবু, অশোক ঘোষ, সঞ্জয় লাল, সুমন, সুজনসহ নাম না-জানা আরো অনেক পানচাষি। তারা সকলে জানায় এই পান চাষ বেশ লাভবান একটি খাত। খুব সহজেই তারা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পান চাষে শ্রম দিয়ে বেশ মুনাফা অর্জন করছে।
পান চাষের মৌসুম-
নিয়ম অনুযায়ী বৈশাখের শুরুতেই উঁচু জমিতে পানের চারা সারিবদ্ধ ভাবে রোপন করা হয়।
জমি থেকে পানি সহজেই বের হওয়ার জন্য দেওয়া হয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা। প্রখর রোদের তাপ থেকে চারা বাঁচাতে বাঁশ ও খড়ের সাহায্যে মাচা দেওয়া হয় ৬ থেকে ৭ ফুট ওপরে। শাওন দেওয়া হয় আর এই কাজে পরিবারের ছোট-বড় সকলেই করে থাকেন।
সকল পান চাষি কৃষকের দাবি কৃষি অফিসের সহযোগীতা পেলে পান উৎপাদন আরো বাড়ানো
সম্ভব। সম্ভাবনাময় পান চাষে কৃষকদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসবে উপজেলা কৃষি অফিস এমন প্রত্যাশা কৃষকদের।
জানতে চাইলে-
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার রাজিব হোসাইন জানান, চাহিদা অনুযায়ী কৃষি অফিস তাদের সুযোগ সুবিধার আওতায় নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পার্বতীপুরে সম্ভাবনাময় পান চাষ নেই কৃষি বিভাগের সহযোগীতা

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শফিক ইসলাম পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের পার্বতীপুর হাবড়া ইউনিয়নের পান বাজারে রয়েছে প্রায় ৩০ টি পানের বরজ। স্ব-উদ্যোগে এলাকার পান চাষিরা সখের বসে দীর্ঘবছর আগে পান চাষ শুরু করেন। এখানকার জমি পান চাষের উপযোগী হওয়ায় সম্ভবনাময় একটি খাত মনে করে পান চাষে ঝুকে পড়ে এলাকার কৃষকরা। এরি ধারাবাহিকতায় অত্র এলাকাটির নাম করন হয়েছে পান বাজার। এই বাজার এলাকায় এসে রাস্তার পাশে দাড়ালে যতদুর দৃষ্টি যায় চোখ পড়ে দৃষ্টিনন্দন ছোট বড় সারি সারি পানের বরজ।
অত্র এলাকার কৃষকের অভিযোগ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তারা কোন রকমের পরামর্শ বা সহায়তা পায় না।
ঐসব কৃষকদের দাবি সরকারের পক্ষ থেকে সময়মত পান চাষের জন্য কৃষি উপকরণ, বীজ, সার, কীটনাশক পেলে এই খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বেকারত্ব দূরীকরণ এবং দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

পান বাজার এলাকার কৃষক সন্তোষ চন্দ্র রায় জানায়, পরিবারের ছেলে মেয়ে মা-রা মিলে সাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারে। তাইতো তিনি ২ বিঘা জমিতে পানের বরজ লাগিয়েছেন। নিজেদের শ্রম ও খরচ মিলিয়েতার প্রায় ১ লক্ষ টাকা আনুমানিক ব্যয় হয়েছে। যার বিপরীতে পান বিক্রয় করেছে প্রায় ২ লাখ টাকার।
এই পান চাষে অত্র এলাকার হিন্দু পরিবার গুলির আগ্রহ বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।
অন্যান্য পান চাষিরা হলেন- শ্রী নিতাই বাবু, লাল বাবু, অশোক ঘোষ, সঞ্জয় লাল, সুমন, সুজনসহ নাম না-জানা আরো অনেক পানচাষি। তারা সকলে জানায় এই পান চাষ বেশ লাভবান একটি খাত। খুব সহজেই তারা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পান চাষে শ্রম দিয়ে বেশ মুনাফা অর্জন করছে।
পান চাষের মৌসুম-
নিয়ম অনুযায়ী বৈশাখের শুরুতেই উঁচু জমিতে পানের চারা সারিবদ্ধ ভাবে রোপন করা হয়।
জমি থেকে পানি সহজেই বের হওয়ার জন্য দেওয়া হয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা। প্রখর রোদের তাপ থেকে চারা বাঁচাতে বাঁশ ও খড়ের সাহায্যে মাচা দেওয়া হয় ৬ থেকে ৭ ফুট ওপরে। শাওন দেওয়া হয় আর এই কাজে পরিবারের ছোট-বড় সকলেই করে থাকেন।
সকল পান চাষি কৃষকের দাবি কৃষি অফিসের সহযোগীতা পেলে পান উৎপাদন আরো বাড়ানো
সম্ভব। সম্ভাবনাময় পান চাষে কৃষকদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসবে উপজেলা কৃষি অফিস এমন প্রত্যাশা কৃষকদের।
জানতে চাইলে-
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার রাজিব হোসাইন জানান, চাহিদা অনুযায়ী কৃষি অফিস তাদের সুযোগ সুবিধার আওতায় নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন