ঢাকা ১২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
একের পর এক ঢাকার অনুরোধে ইউনূস–মোদি বৈঠক বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নয়াদিল্লি পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৩৮ বোতল ফেন্সিডিল, ৯৩০ গ্রাম হেরোইন এবং বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে প্রায় ১০০০পরিবার বান বাসীদের মাঝে উপহার বিতরণ করছেন মুসাইদাহ ফাউন্ডেশন এস. সরফুদ্দিন আহম্মেদ সেন্টুর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে উজিরপুর থানা শ্রমিক দল বিশ্বনবী (সা.) সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমত। দুধরচকী।  ঠাকুরগাঁওয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে বিক্রি খোলা খাবার,বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, সচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ ! আত্রাইয়ে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে পাঁচ জনের কাছে থেকে ২৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও রাণীনগরে মারপিটে আহত গৃহবধুর মৃত্যু! দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দৌলতপুর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুবেল ও যুগ্ম আহবায়ক রতন বহিষ্কার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ (৫৩ বিজিবি) অভিযানে ২ জন আসামীসহ ১৫৯ বোতল ফেন্সিডিল ও ১টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা আটক

পছন্দের প্রার্থীকে চূড়ান্ত করে নিয়োগ পরীক্ষা। অর্থ লেনদেনের অভিযোগে পরিক্ষা স্থগিত

মাজেদুল ইসলাম স্বপন,জলঢাকা
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

 

স্কুলের অফিস সহায়ক পদের এক প্রার্থী পরিক্ষার হলরুমের সামনে হাউমাউ করে কাঁদছে পাশে দারিয়ে নিয়োগ কমিটির সদস্য, প্রধান শিক্ষক,সভাপতিসহ নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা। হাউমাউ করে কাঁদা প্রার্থীর নাম  মনিরুজ্জামান তিনি নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার গাবরোল তহশিলদার পাড়া গ্রামের ফয়জুল ইসরামের ছেলে৷

মনিরুজ্জামানের অভিযোগ, পরিক্ষার আগেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ের প্রার্থী চূড়ান্ত করে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়োগ পরীক্ষায় মোট ৬টি পদের জন্য লেনদেন হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা।এ টাকা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম ও স্কুলের সভাপতি তহিদুল ইসলাম দুজনেই ভাগ করে নিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিয়েছেন।

মনিরুজ্জামান বলেন, একবছর আগে স্থানীয় একটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার গাবরোল তহশিলদার পাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে  তিনি ডাকযোগে অফিস সহায়ক পদে আবেদন করেন।আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৭ই মে শুক্রবার তাকে ডাকা হয় কিন্তু প্রবেশপত্রে নৈশ্য প্রহরী দেখে মনিরুজ্জামান সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের সাথে যোগাযোগ করেন। এসময় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের নিকট  কৌশলে তার সব ডকুমেন্ট হাতিয়ে নেয় এবং ৪ লাখ টাকা দাবি করে। ৪ লাখ টাকা দিলে নৈশ্য প্রহরীর পদের পরিবর্তে তাকে অফিস সহায়ক পদে চুরান্ত করবেন। প্রার্থী মনিরুজ্জামান চার লক্ষ টাকা পরিশোধ করে।

৩১ই মে শুক্রবার সকাল ১১ টায়  পরীক্ষার জন্য  সহকারী প্রধান শিক্ষক, অফিস সহায়ক, অফিস সহকারী, নিরাপত্তা প্রহরী, নৈশ প্রহরী ও আয়া পদে প্রার্থীদের পরিক্ষার জন্য ডাকা হয়।মনিরুজ্জামানকেও ডাকা হয়। কিন্তু মনিরুজ্জামান দেখতে পান তার প্রবেশপত্র পরিবর্তন হয়নি। তাই নিয়োগ কমিটির সবার কাছে বিনীত অনুরোধ করেন কিন্তু তার এ অনুরোধে কেউ সাড়া দেয়নি তাই তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। কোনভাবেই এই পরিক্ষা হতে দিবেনা বলে পরিক্ষা হলের সামনে কঠোর অবস্থান নেন।এসময় প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম ও সভাপতি তহিদুল ইসলাম বারবার মনিরুজ্জামানকে ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা চালায়।

 

এসময় ফেরদৌস আলম নামের স্থানীয় একজন সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ সারে চার বছর কোন বেতন ছাড়াই উক্ত প্রতিষ্ঠানে তাকে দিয়ে পিয়নের কাজ করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন তার কোন খবর নাই।

 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়োগের সকল নিয়ম মেনেই পরীক্ষার জন্য  সহকারী প্রধান শিক্ষক, অফিস সহায়ক, অফিস সহকারী, নিরাপত্তা প্রহরী, নৈশ প্রহরী ও আয়া পদে প্রার্থীদের ডাকা হয়েছে।কিন্তু মনিরুজ্জামান নামের এক প্রার্থী এখানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে।

 

এ বিষয়ে নিয়োগকালিন প্রধান শিক্ষক কার্তীক রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি তহিদুল ইসলাম বলেন, মনিরুজ্জামান নৈশ্য প্রহরীতে আবেদন করেছে তাই তাকে নৈশ প্রহরীর প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে তাই  অনিবার্য কারন দেখিয়ে পরিক্ষা স্থগিত করে দিয়েছি। লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কৈশলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।

 

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার ভৌমিক বলেন, এ বিষয়ে নিয়োগ কমিটি সব যাচাই-বাছাই করে আমাদেরকে ডাকে আমরা পরীক্ষা নেই। এখন কি হয়েছে বা বিশৃঙ্খলা কেনো এটা সম্পূর্ণ নিয়োগ কমিটির ব্যাপার। কমিটি এর সমাধান না করে তবে আমরা চলে যাবো।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পছন্দের প্রার্থীকে চূড়ান্ত করে নিয়োগ পরীক্ষা। অর্থ লেনদেনের অভিযোগে পরিক্ষা স্থগিত

আপডেট সময় : ১০:১৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

 

স্কুলের অফিস সহায়ক পদের এক প্রার্থী পরিক্ষার হলরুমের সামনে হাউমাউ করে কাঁদছে পাশে দারিয়ে নিয়োগ কমিটির সদস্য, প্রধান শিক্ষক,সভাপতিসহ নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা। হাউমাউ করে কাঁদা প্রার্থীর নাম  মনিরুজ্জামান তিনি নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার গাবরোল তহশিলদার পাড়া গ্রামের ফয়জুল ইসরামের ছেলে৷

মনিরুজ্জামানের অভিযোগ, পরিক্ষার আগেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ের প্রার্থী চূড়ান্ত করে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়োগ পরীক্ষায় মোট ৬টি পদের জন্য লেনদেন হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা।এ টাকা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম ও স্কুলের সভাপতি তহিদুল ইসলাম দুজনেই ভাগ করে নিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিয়েছেন।

মনিরুজ্জামান বলেন, একবছর আগে স্থানীয় একটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার গাবরোল তহশিলদার পাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে  তিনি ডাকযোগে অফিস সহায়ক পদে আবেদন করেন।আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৭ই মে শুক্রবার তাকে ডাকা হয় কিন্তু প্রবেশপত্রে নৈশ্য প্রহরী দেখে মনিরুজ্জামান সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের সাথে যোগাযোগ করেন। এসময় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের নিকট  কৌশলে তার সব ডকুমেন্ট হাতিয়ে নেয় এবং ৪ লাখ টাকা দাবি করে। ৪ লাখ টাকা দিলে নৈশ্য প্রহরীর পদের পরিবর্তে তাকে অফিস সহায়ক পদে চুরান্ত করবেন। প্রার্থী মনিরুজ্জামান চার লক্ষ টাকা পরিশোধ করে।

৩১ই মে শুক্রবার সকাল ১১ টায়  পরীক্ষার জন্য  সহকারী প্রধান শিক্ষক, অফিস সহায়ক, অফিস সহকারী, নিরাপত্তা প্রহরী, নৈশ প্রহরী ও আয়া পদে প্রার্থীদের পরিক্ষার জন্য ডাকা হয়।মনিরুজ্জামানকেও ডাকা হয়। কিন্তু মনিরুজ্জামান দেখতে পান তার প্রবেশপত্র পরিবর্তন হয়নি। তাই নিয়োগ কমিটির সবার কাছে বিনীত অনুরোধ করেন কিন্তু তার এ অনুরোধে কেউ সাড়া দেয়নি তাই তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। কোনভাবেই এই পরিক্ষা হতে দিবেনা বলে পরিক্ষা হলের সামনে কঠোর অবস্থান নেন।এসময় প্রতিষ্টানের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম ও সভাপতি তহিদুল ইসলাম বারবার মনিরুজ্জামানকে ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা চালায়।

 

এসময় ফেরদৌস আলম নামের স্থানীয় একজন সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ সারে চার বছর কোন বেতন ছাড়াই উক্ত প্রতিষ্ঠানে তাকে দিয়ে পিয়নের কাজ করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন তার কোন খবর নাই।

 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়োগের সকল নিয়ম মেনেই পরীক্ষার জন্য  সহকারী প্রধান শিক্ষক, অফিস সহায়ক, অফিস সহকারী, নিরাপত্তা প্রহরী, নৈশ প্রহরী ও আয়া পদে প্রার্থীদের ডাকা হয়েছে।কিন্তু মনিরুজ্জামান নামের এক প্রার্থী এখানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে।

 

এ বিষয়ে নিয়োগকালিন প্রধান শিক্ষক কার্তীক রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি তহিদুল ইসলাম বলেন, মনিরুজ্জামান নৈশ্য প্রহরীতে আবেদন করেছে তাই তাকে নৈশ প্রহরীর প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে তাই  অনিবার্য কারন দেখিয়ে পরিক্ষা স্থগিত করে দিয়েছি। লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কৈশলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।

 

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার ভৌমিক বলেন, এ বিষয়ে নিয়োগ কমিটি সব যাচাই-বাছাই করে আমাদেরকে ডাকে আমরা পরীক্ষা নেই। এখন কি হয়েছে বা বিশৃঙ্খলা কেনো এটা সম্পূর্ণ নিয়োগ কমিটির ব্যাপার। কমিটি এর সমাধান না করে তবে আমরা চলে যাবো।

শেয়ার করুন