নীলফামারী চওড়া বড়গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবী
- আপডেট সময় : ০৭:১৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
মোঃ সামিউল আলম সায়মন নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
বৈশম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর তোপের মুখে পড়ে একের পর এক অব্যাহতি নিচ্ছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকেরা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নীলফামারীর চওড়া বড়গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবু দিলীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন লেখা পোষ্ট করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করা লেখা ভিত্তিহীন,মিথ্যা,বানোয়াট বলে মনে করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীসহ অবিভাবকেরা। তাদের দাবী তদন্ত সাপেক্ষে এসব ষরযন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে উপর্যুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট/২৪) দুপুরে সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী,প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ অবিভাবকেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করা লেখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী দীপু রায় বলেন, আমি এই বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে এস এস সি পাশ করি। আমরা বেশ কয়েকদিন ধরে লক্ষ করছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্বার্থন্বেশী মহল ষড়যন্ত্র করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চাচ্ছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। কারণ আমাদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার রায় একজন স্বচ্ছ মানুষ।
সপ্তম শ্রেণীর ললিতা রায়সহ অনেকে বলেন, আমরা দিলীপ স্যারের পদত্যাগ চাই না কারণ তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ। তিনি আমাদের স্কুলের সবসময় ভালো চায়। আগে আমাদের স্কুলের অবস্থা ভালো ছিলো না। তিনি আসার পরই স্কুলে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেড়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে সর্বদা ভালো আচরণ করতেন। স্কুলে পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করেছেন। তাই তিনি চলে গেলে আমরা আর স্কুলে আসবো না।
অবিভাবক শ্রী বিকাশ চন্দ্র রায় বলেন, একজন প্রধান শিক্ষককে অব্যাহতি দিতে গেলে তার ভূল থাকতে হবে কিন্তু দিলীপ স্যারের ভূল কোথায়? তিনি তো প্রতিনিয়ত বাচ্চাদের খোঁজ খবর রাখেন। হাটে-বাজারে দেখা হলে আমাদের সাথে ভালো আচরণ করেন। আমাদের নিয়ে অবিভাবক সমাবেশ করেন। আমার মনে হয় কোন স্বার্থন্বেশী মহল তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তার বিরুদ্ধে এমন পোষ্ট ফেসবুকে দিয়েছে। তিনি এই স্কুল থেকে চলে গেলে আমরা আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে রাখবো না।
প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষক রমনি কান্ত রায় বলেন, তিনি অসুস্থতার কারণে ছুটিতে আছেন। ওনার অবর্তমানে আমি স্কুল পরিচালনার দায়িত্বে আছি। এরই মধ্যে ফেসবুকের করা পোষ্টের প্রতিবাদে শিক্ষার্থী সহ অবিভাবকেরা স্কুলের ভিতর বিক্ষোভ শুরু করেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহবান জানিয়েছি। সেইসাথে আমাদের দাবী দোষারোপ করে নয় কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আমাদের কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করলে তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট করা উচিৎ নয়।