ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
জিগীষা মানবিক পার্টির আনুষ্ঠানি যাত্রা শুরু । পাঁচবিবিতে মধ্যরাতে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল দিলেন এসপি ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ বছর ধরে পড়ে আছে ২ কোটি টাকার স্লুইস গেট ! ঠাকুরগাঁওয়ে  রামরাই দীঘিতে অতিথি পাখির মেলা, দর্শনার্থীদের ভীড় ! স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ৭ দফা দাবি আদায়ে আমতলীতে স্বারকলিপি প্রদান দেশের প্রথম মধুর হাটের উদ্বোধন হলো বগুড়ায় বগুড়া শিবগঞ্জের বিদায়ী ইউএনও তাহমিনা আক্তারকে সংবর্ধনা প্রদান নাসিরনগরে দাঁতমন্ডলের ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বেনাপোলে ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রীসহ গ্রেফতার ২ দৌলতপুরে সুশীল সমাজের সাথে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক উপজেলার উন্নয়নে সকলকে দায়িত্বশীল হতে হবে’

নিষেধাজ্ঞার খেলায় উন্নয়নশীল দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেঃপররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃপররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে আলাপ না করেই স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) বসানো হলো। এর পরিণতি আমরা ভোগ করছি। যাদের বিরুদ্ধে স্যাংশন, তাদের কিছুই হয় না। যুদ্ধ থামাতে যাই করা হোক তা জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয় করা হলে ভালো হয়, কার্যকর হয়।

গত বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাতিসংঘের আঙিনায় শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন। খবর বাপসনিউজ।

সেমিনারটির আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম’।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের সব সদস্যদের নিয়ে জাতিসংঘ কাজ করে। কিন্তু পাঁচ স্থায়ী সদস্যের কাছেই সবকিছু। এটার পরিবর্তন করা দরকার। প্রতিষ্ঠাকালে তাদের মতো তারা সাজিয়ে রেখেছে, ১৯৩ রাষ্ট্রের ভোট একটি করে। তাই সবার সমান সুযোগ থাকা দরকার।”

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “জাতিসংঘের নারী উন্নয়ন, শিশুমৃত্যুর হার কমানো, স্বাস্থ্যের উন্নয়নে যেমন অবদান আছে, তেমনি তাদের ব্যর্থতাও রয়েছে। যুদ্ধ থামাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দেখেছি আমরা।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে আলাপ না করেই স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) বসানো হলো। এর পরিণতি আমরা ভোগ করছি।”

যাদের বিরুদ্ধে স্যাংশন, তাদের কিছুই হয় না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধ থামাতে যা-ই করা হোক, তা জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয় করা হলে ভালো হয়, কার্যকর হয়।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী চান, কারও সঙ্গে শত্রুতা না করে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। বঙ্গবন্ধুর এই নীতি ছিল। যখন ইস্টার্ন ও সোভিয়েত ব্লক আমাদের চাইছিল, বঙ্গবন্ধু কারও পক্ষ না নিয়ে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক করেন। এটা ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। প্রধানমন্ত্রীও তাই করছেন। আমরা সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক করতে পারলে আর অভাব-অনৈক্য থাকবে না। যুদ্ধ-বিগ্রহ থাকবে না, সন্ত্রাস থাকবে না।”

সংগঠনটির সভাপতিঅধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস, অধ্যাপক রশিদ আসকারী, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার পরিচালক আজিজুর রহমান প্রমুখ।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নিষেধাজ্ঞার খেলায় উন্নয়নশীল দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেঃপররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন

আপডেট সময় : ১১:৪৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২

হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃপররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে আলাপ না করেই স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) বসানো হলো। এর পরিণতি আমরা ভোগ করছি। যাদের বিরুদ্ধে স্যাংশন, তাদের কিছুই হয় না। যুদ্ধ থামাতে যাই করা হোক তা জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয় করা হলে ভালো হয়, কার্যকর হয়।

গত বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাতিসংঘের আঙিনায় শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন। খবর বাপসনিউজ।

সেমিনারটির আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম’।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের সব সদস্যদের নিয়ে জাতিসংঘ কাজ করে। কিন্তু পাঁচ স্থায়ী সদস্যের কাছেই সবকিছু। এটার পরিবর্তন করা দরকার। প্রতিষ্ঠাকালে তাদের মতো তারা সাজিয়ে রেখেছে, ১৯৩ রাষ্ট্রের ভোট একটি করে। তাই সবার সমান সুযোগ থাকা দরকার।”

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “জাতিসংঘের নারী উন্নয়ন, শিশুমৃত্যুর হার কমানো, স্বাস্থ্যের উন্নয়নে যেমন অবদান আছে, তেমনি তাদের ব্যর্থতাও রয়েছে। যুদ্ধ থামাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দেখেছি আমরা।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে আলাপ না করেই স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) বসানো হলো। এর পরিণতি আমরা ভোগ করছি।”

যাদের বিরুদ্ধে স্যাংশন, তাদের কিছুই হয় না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধ থামাতে যা-ই করা হোক, তা জাতিসংঘের মাধ্যমে সমন্বয় করা হলে ভালো হয়, কার্যকর হয়।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী চান, কারও সঙ্গে শত্রুতা না করে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। বঙ্গবন্ধুর এই নীতি ছিল। যখন ইস্টার্ন ও সোভিয়েত ব্লক আমাদের চাইছিল, বঙ্গবন্ধু কারও পক্ষ না নিয়ে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক করেন। এটা ছিল অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। প্রধানমন্ত্রীও তাই করছেন। আমরা সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক করতে পারলে আর অভাব-অনৈক্য থাকবে না। যুদ্ধ-বিগ্রহ থাকবে না, সন্ত্রাস থাকবে না।”

সংগঠনটির সভাপতিঅধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস, অধ্যাপক রশিদ আসকারী, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার পরিচালক আজিজুর রহমান প্রমুখ।

শেয়ার করুন