নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আঃলীগঃ ১০টি আসনও পাবেনাঃ ফখরুল
- আপডেট সময় : ১১:৪০:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২ ৮০ বার পড়া হয়েছে
মোঃ আশরাফুল ইসালাম,খুলনা সদর প্রতিনিধিঃ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর অধীনে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের চিহ্নও থাকবে না। এমনকি তারা ১০টি আসনও পাবে না। মির্জা ফখরুল আজ শনিবার খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে এই কথা বলেন। খুলনায় সোনালী ব্যাংক চত্বরে দুপুর ১টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়।
তিনি বলেন, জনসমর্থন নেই বুঝতে পেরে সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়েছে। কিন্তু জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবি উপেক্ষা করা যায় না। সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আইনশৃখলা বাহিনীর বাধার ব্যাপারে তিনি বলেন, সব বাধা উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। খুলনাবাসী অসাধ্য সাধন করেছেন। শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার দেশকে নরকে পরিণত করে দিয়েছে উল্লেখ করে সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, খুলনাকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য জন্য আপনারা অসাধ্য সাধন করেছেন। আপনাদেরকে আমি স্যালুট জানাই। সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাজারের ওপর আহত হয়েছেন। এ সময় সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কি এই নির্বাচন কমিশনকে মেনে নেবেন? নেতা-কর্মীরা বলেন, ‘না, না।’ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ব্যাপক ক্ষতি করে ফেলেছে। এখন সময় সরকার উৎখাত করে দেশকে রক্ষা করার। অসুস্থ বোধ করায় এই পর্যায়ে তিনি বসে বক্তব্য দেওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের কাছে অনুমতি চান। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি বলেছিলেন বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন। তবে কেন সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ নিয়ে আশঙ্কা করছেন। মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণকে ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়। আন্দোলন করা ছাড়া এখন আর কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হবে। স্বেচ্ছায় ক্ষমতা না ছাড়লে গণঅভ্যুত্থান হবে। তখন পালানোর পথ পাবেন না।
সমাবেশে ফখরুল বলেন, গত তিন দিনে ৫ শতাধিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাজারো নেতাকর্মীকে আহত করেছে। চুকনগরে ও কেশবপুরে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ। মোংলায় ট্রলারে আসা কয়েকশ নেতাকর্মীকে আহত।অনেক স্থানে ট্রলার ডুবিয়ে দিয়েছে। রূপসা, তেরখাদা, দিঘলায়ার জনগণের একমাত্র বাহন ট্রলারে আসা ১০০ নেতাকর্মীকে আহত করেছে।
, ‘খালিশপুর, দৌলতপুর, খান জাহান আলী থেকে আসার সমবেশে আসা নেতাকর্মীদের আহত করা হয়েছে। বাগেরহাটে হামলা করে ৭০ জনের মত নেতাকর্মীকে আহত করেছে, গ্রেপ্তার করেছে ৫০ জন নেতাকর্মীকে। খুলনার ৫ ও ৭ নং ঘাটে আসা ট্রলার ডুবিয়ে দিয়েছে। গাজীরহাটের একজন কর্মীকে পানিতে ডুবিয়ে দিয়েছে,(তার খোজ মেলেনি) খুলনা রেলস্টেশনে নেতাকর্মীদের মারধর করেছে। রামপাল, কাটাখালিতে হামলা হয়েছে, রূপসা ঘাট , জেলখানা ঘাটে হামলা হয়েছে। নেতাকর্মীদের আহত ও কর্মিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশে বলেছেন, যুদ্ধটা পুলিশের বিরুদ্ধে না। পুলিশ বাহিনীকে বুঝতে হবে। পুলিশ জনগণের টাকায় চলে জনগণের সেবা করার জন্যে। পুলিশ বাহিনী প্রধানমন্ত্রীর বাসার চাকর-বাকর না, যে যা বলবে তাই শুনতে হবে। তিনি পুলিশ কে ভীত না হয়ে,সরকারের অন্যায় আদেশ পালন করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘অচিরেই আমরা ক্ষমতায় যাচ্ছি। আমরা আওয়ামী লীগকে কখনো ক্ষমা করব না। কয়েক দিনের মধ্যে তারা আমাদের পাঁচজনকে হত্যা করেছে। এই প্রতিশোধ নেব।’