দৌলতপুরের বিলগাতুয়া সিমান্তের মাদকের মাষ্টারমাইন্ড ইসমাইল মেম্বার পর্দার আড়ালে
- আপডেট সময় : ১২:০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিশেষ সূত্রে জানা গেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বিলগাতুয়া সিমান্তবর্তী এলাকায় আধিপত্য
বিস্তার,আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সাধন,সাধারন মানুষ কে খুন জখম ও বিলগাতুয়া সিমান্ত পথে মাদক পরিবহন করে সারা দেশে মাদকচোরালান নেটওয়ার্ক আরও বিস্তৃত করতে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন আহসান হাবিব ধনি। সে একই গ্রামের দুর্ধর্ষ মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী ইসমাইল বিশ্বাসের ছেলে এবং পুলিশ ও বিজিবি’র তালিকায় শীর্ষ মাদক সম্রাট খনি ও মামুনের ভাই। বর্তমানে ধনি ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। ধনির ভাই খনি নিজে কম্পিউটারের মাধ্যমে কম্পোজ করে বিভিন্ন সম্মানী ব্যক্তির নাম দিয়ে অডিও রেকর্ড পোস্ট করে চাদা দাবি করে। এই খনি ও মামুনের কোনো চাকরি নেই। তারা গ্রাম থেকে ঢাকায় পলাতক তাদের কুকর্মের জন্য। এবং মাঝে মাঝে ঢাকায় সরকার বিরোধী আন্দোলনের মিছিলে যোগ দিয়ে এবং ছিনতাই করে টাকা ইনকাম করে। এ ব্যাপারে তারা প্রশাসনের নজরদারীতে আছে।
বিলগাতুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন কে ইস্যু করে ধনির চাচা অবসরপ্রাপ্ত এএসপি এম জি মোস্তফা কে পাস করানোর জন্য বিলগাতুয়া গ্রামের বসবাসরত বিভিন্ন বংশের লোকের মধ্যে আন্তঃকোন্দল সৃষ্টি করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটাতে চান ইসমাইল মেম্বার, সহ তার তিন ছেলে ধনি,খনি, মামুন।
এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইসমাইল মেম্বার তার তিন ছেলে কে নিয়ে, অস্ত্র ব্যবসায়ী সেন্টুর (পিতার নাম আরজেদ) সাথে চলাফেরা করে এবং যৌথভাবে ব্যবসা করে। বিলগাতুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেন প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়ার ছোট ভাই প্রাগপুর ইউনিয়ন শাহ আজিজ। এই সূত্র ধরেই খনি মানুন বিভিন্ন ফেইক আইডি ব্যবহার করে ফেসবুকে নিজে ভয়েস রেকর্ড করে এলাকার সম্মানিত লোকের নাম দিয়ে পোস্ট করে, এবং এই ব্যাপারে ভুক্তভোগী আইনের আশ্রয় নিচ্ছে।
২০২১ সালের ১৯শে আগস্ট বোমা বানাতে গিয়ে একই গ্রামের ইন্তাজ বাঙ্গালের ছেলে আবু বক্কর বোমারু বক্কর নিহত হন। এই ঘটনায় নিহতের মা সাংবাদিকদের ভিডিও সাক্ষাতকারে বলেছেন, ইসলামের ছেলে খনি ও মামুন কালাম মেম্বারকে ফাসানোর জন্যই তার ছেলের ঘরে টাকার বিনিময়ে বোমা রেখে যায়। বক্করের মা থানায় মামলা করতে গেলে পর্দার আড়ালে কলকাঠি নাড়তে শুরু করে এই ধনি।
ফেসবুকে ফেইক পেইজ খুলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিবন্ধনহীন অনলাইন পোর্টালে কালাম মেম্বার, শাহ আজিজ, রানা কে জড়িয়ে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে ধনি ও তার দুই ভাই।
চলতি বছরের ৫ মার্চ বিলগাতুয়া সিমান্তে বিএসএফ এর হাতে খনির চাচাতো ভাই লিটন খুন হয় মাদকদ্রব্য পাচারের সময়। এলাকাবাসীর মতে সে খনি ও ধনি দুই ভাইয়ে মাল বহন করতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, খনি চাচা অবসরপ্রাপ্ত এএসপি এম জি মোস্তফা’র সাপ্তাহিক দৌলতপুর বার্তা নামে একটি পত্রিকা থেকে একেরপর এক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে বিলগাতুয়ার সন্মানি ব্যক্তির মানহানি করে আসছেন, এসব মিথ্যারচার বন্ধ না হলে বিলগাতুয়া বাসী আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন ও এসব ঘটনার পেছনে খনি’র হাত রয়েছে। এক অসমর্থিত সূত্র জানান, কালাম মেম্বার ও শাহ আজিজ কে হত্যার উদ্দেশ্যে এই বোমা বানানোর পরিকল্পনা করেন ধনি ও তার দুই ভাই।
বোমা বিষ্ফোরণের পর পরই ধনির ছোট ভাই খনি আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন। স্থানীয় জনতার ভাষ্য,বোমা বানানোর উপকরণ সংগ্রহ করেন মাদক মামলার আসামী মামুন ও খনি। মাদকচোরাচালান চক্রের সদস্যদের পরস্পরের যোগসূত্রে সিমান্তবর্তী এলাকায় অপরাধ সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছে। এর নৈপথ্যে ধনি ও খনি।
এই ব্যপারে বিলগাতুয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক শাহ আজিজ মুঠোফোনে জানান, বিলগাতুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফেইক আইডি থেকে মিথ্যারচার করছেন ধনি ও তার দুই ভাই এছাড়াও সাইদুজ্জামান ফড়িং এর ছোট ভাই ১৯৯০ সাল থেকে ঢাকাতে থাকেন তিনি সমাজসেবক হিসাবে দৌলতপুরে সুপরিচিত তার নাম জড়িয়ে মিথ্যাচার করে আসছেন ধনি ও তার দুই ভাই।
এই ব্যপারে গ্রামের সাধারণ সম্মানিত জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। খনির এবং তার ভাইদের ব্যাপারে গ্রামবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চায়৷