ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
দিনাজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কচি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক বাজেট সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নদী ভাঙ্গন কবলিত মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণ রূপগঞ্জে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে ১৫ হাজার পরিবার হাতিবান্ধা উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকার স্কুল ফাঁকি  গোপালগঞ্জে প্রতারণার শিকার হয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মানব-বন্ধন টরকি হাইওয়ে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট হতে বিদেশি মাদক সহ এক প্রাইভেট কার নওগাঁয় বসতবাড়ির ভিতর থেকে স্বামীওস্ত্রী মৃতদেহ উদ্ধার নওগাঁ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে কচিকাচাদের মিলনমেলা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার

দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে পলাতক সর্বহারা দলের শীর্ষ নেতাকে মিরপুর মডেল থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩ ১৬২ বার পড়া হয়েছে

 

আবু জাফর স্বাধীন
স্টাফ রিপোর্টার
এবিসি ন্যাশনাল নিউজ

জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী পাবনা জেলার সর্বহারা দলের “নকশাল” গঠনকালীন সদস্য হয় এবং উক্ত সংগঠনের একজন শীর্ষ নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিতে থাকে। আসামী ওয়ারেছ এর সর্বহারা দলের সাথে পাবনা জেলার অন্যান্য সর্বহারা দলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই তাদের মধ্যে বিরোধ লেগে থাকত। উক্ত বিরোধের জেরে গত ০৮ আগস্ট ১৯৯৯ তারিখে গ্রেফতারকৃত ওয়ারেছ স্বদলবলে পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার অন্য সর্বহারা দল আব্দুল জলিল গ্রæপের সাথে আগ্নেয়াস্ত্র ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে জলিল গ্রুপের গ্রুপ লিডার আব্দুল জলিলকে ওয়ারেছ গ্রুপের গ্রুপ লিডার ওয়ারেছ নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত হত্যার ঘটনায় পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানায় হত্যার প্রধান আসামী ওয়ারেছসহ অজ্ঞাতনামা মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। এছাড়াও ওয়ারেছ পাবনা জেলার সাথিয়া থানার চাঞ্চল্যকর দিপু হত্যার সাথেও সরাসরি জড়িত হয়, সেই মামলায়ও সে একজন পলাতক আসামী।
১৯৯৯ সালের শেষের দিকে আত্মগোপনে থাকার জন্য ওয়ারেছ ঢাকায় চলে আসে। সে সাভারসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকে এবং পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্য কৌশলে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে ১৩ মাস অবস্থান করে। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় নিজের পরিচয় গোপন করার জন্য ক্রমাগতভাবে সে পেশা পরিবর্তন করে। ২০২০ সালে দেশে ফিরে সাভারে অবস্থানরত স্ত্রী-সন্তানদেরকে নিয়ে সেখানে দুধের ছানা সাপ্লাই এর কাজ শুরু করে। সর্বশেষ সাভারে মাইক্রো গাড়ীর ড্রাইভার হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। আসামী ওয়ারেছ নিজ পরিচয় গোপন করে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন এলাকায় এসে বিবাহ করে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, উক্ত আসামী ছদ্মবেশে ঢাকা মহানগরীর মিরপুর মডেল থানাধীন এলাকায় অবস্থান করছে যার প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল আসামী ওয়ারেছকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী সর্বহারা জলিল গ্রুপের গ্রুপ লিডার আব্দুল জলিলকে হত্যা এবং দিপু হত্যা মামলার সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছে। এছাড়াও তার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হন্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে পলাতক সর্বহারা দলের শীর্ষ নেতাকে মিরপুর মডেল থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪

আপডেট সময় : ০৩:০২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

 

আবু জাফর স্বাধীন
স্টাফ রিপোর্টার
এবিসি ন্যাশনাল নিউজ

জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী পাবনা জেলার সর্বহারা দলের “নকশাল” গঠনকালীন সদস্য হয় এবং উক্ত সংগঠনের একজন শীর্ষ নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিতে থাকে। আসামী ওয়ারেছ এর সর্বহারা দলের সাথে পাবনা জেলার অন্যান্য সর্বহারা দলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই তাদের মধ্যে বিরোধ লেগে থাকত। উক্ত বিরোধের জেরে গত ০৮ আগস্ট ১৯৯৯ তারিখে গ্রেফতারকৃত ওয়ারেছ স্বদলবলে পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার অন্য সর্বহারা দল আব্দুল জলিল গ্রæপের সাথে আগ্নেয়াস্ত্র ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে জলিল গ্রুপের গ্রুপ লিডার আব্দুল জলিলকে ওয়ারেছ গ্রুপের গ্রুপ লিডার ওয়ারেছ নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত হত্যার ঘটনায় পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানায় হত্যার প্রধান আসামী ওয়ারেছসহ অজ্ঞাতনামা মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। এছাড়াও ওয়ারেছ পাবনা জেলার সাথিয়া থানার চাঞ্চল্যকর দিপু হত্যার সাথেও সরাসরি জড়িত হয়, সেই মামলায়ও সে একজন পলাতক আসামী।
১৯৯৯ সালের শেষের দিকে আত্মগোপনে থাকার জন্য ওয়ারেছ ঢাকায় চলে আসে। সে সাভারসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকে এবং পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্য কৌশলে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে ১৩ মাস অবস্থান করে। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় নিজের পরিচয় গোপন করার জন্য ক্রমাগতভাবে সে পেশা পরিবর্তন করে। ২০২০ সালে দেশে ফিরে সাভারে অবস্থানরত স্ত্রী-সন্তানদেরকে নিয়ে সেখানে দুধের ছানা সাপ্লাই এর কাজ শুরু করে। সর্বশেষ সাভারে মাইক্রো গাড়ীর ড্রাইভার হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো। আসামী ওয়ারেছ নিজ পরিচয় গোপন করে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন এলাকায় এসে বিবাহ করে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, উক্ত আসামী ছদ্মবেশে ঢাকা মহানগরীর মিরপুর মডেল থানাধীন এলাকায় অবস্থান করছে যার প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল আসামী ওয়ারেছকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী সর্বহারা জলিল গ্রুপের গ্রুপ লিডার আব্দুল জলিলকে হত্যা এবং দিপু হত্যা মামলার সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছে। এছাড়াও তার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হন্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন