দিনাজপুরের খানসামায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
- আপডেট সময় : ০৭:৩২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ৫০ বার পড়া হয়েছে
চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ
দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
দিনাজপুরের খানসামায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়। (১৪ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশিদা আক্তার। সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদ রানার সঞ্চালনায় উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন। আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভিন, খানসামা থানা অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জন রায়, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোখলেসুর রহমান, আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ন কবির সহ আরো অনেকে।
বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন বলেন, ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহযোগীরা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী- দের একটি বড় অংশকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। কেবল এই তারিখে নয়, ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে বিজয়ের আগমুহুর্ত পর্যন্ত তারা এই হত্যাযজ্ঞ চালায়। আমাদের মহান মু্ক্তিযুদ্ধে যখন বাঙালি বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে উপস্থিত তখন পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী এক ঘৃণ্যতম পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি এদেশের শ্রেষ্ঠ মানুষদের নিঃশেষ করে বাঙালি জাতিকে মেধাশুন্য করার ষড়ষন্ত্রে মেতে ওঠেন। তারই পরিকল্পনা মাফিক পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কৌশলে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে । বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক রাজনৈতিক চিন্তাবিদগণ এই সুপরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হন। ১২ ডিসেম্বর সেনা সদর দফতরে আলবদর ও আলশামস বাহিনীর হাতে বুদ্ধিজীবীদের তালিকা তুলে দেয়া হয়। পাকিস্তানি বাহিনীর সহায়তায় বাংলাদেশের বিশ্বাসঘাতক ও ষড়যন্ত্রকারীরা এই বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হলেও বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড শুরু হয় এরও কয়েক দিন আগে থেকে। ইতিহাসবিদরা এই দিনটিকে প্রতিবীর ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করেন।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের চক্রান্তে নিহত জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করতে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহীদদের সম্মান জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এসময় এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। অন্ধকারের মধ্যে প্রজ্জ্বলিত মোমবাতিগুলো যেন শিখা হয়ে জ্বলছিল।