ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা দুর্নীতি,স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে কর্মচারীদের মানববন্ধন গলাচিপা উপজেলা ডাকুয়া ইউনিয়নে দুর্বৃত্তদের হাতে সাংবাদিক আহত শ্রীপুরে লবলং নদী দখল ও দূষণ বন্ধে নদী পরিব্রাজক দলের মানববন্ধন খুলনায় বৈশ্বিক জলবায়ু নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ডোমারের গোমনাতী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮টি দোকান ভস্মীভূত গুনীদের যথাযথ কদর করলেই তো গুনীজন সৃষ্টি হবে-গিয়াস কাদের চৌধুরী গাংনীতে বিয়ের দাবিতে মকবুলের বাড়িতে রুবিনার অবস্থান মেহেরপুরে ১’শ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক-২ ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর মৃত্যুতে রাসিক প্রশাসকের শোক নওগাঁয় পাষণ্ড স্বামীর লাঠির আঘাতে স্ত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর

ঠাকুরগাঁওয়ে বহুমুখী ব্যবহারে পাটখড়ির কদর বেড়েছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি

পাটখড়ি এক সময় অবহেলার পন্য হলেও বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির আশীর্বাদে বহু ক্ষেত্রে পাটখড়ি ব্যবহার বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়, জ্বালানি, চারকল, পার্টিকেল বোর্ড মিলে, হস্তশিল্প তৈরীতে। ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকেরা পাট বিক্রি করে যতটা লাভবান হচ্ছেন তার সাথে পাটখড়ি বিক্রি করেও কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও বেশিরভাগ বাড়িতে জ্বালানী হিসেবে বেশ নাম ডাক রয়েছে পাটখড়ির। বেশ কিছু মানুষকে পাটখড়ি শহরে বিক্রি করে জীবীকা নির্বাহ করতেও দেখা যায়। এরই ধারবাহিকতায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সারি সারি পাটখড়ির আটি বেধে রোদে শুকাতে দিয়েছেন কৃষকেরা। ভালোমত শুকিয়ে গেলে কৃষকদের বাড়ি থেকেই কিনে নিয়ে যায় ব্যবসায়িরা। তারা পাটখড়ি কৃষকদের কাছ থেকে মোটামুটি দামে কিনে ভ্যানে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকেন। এতে করে বাড়তি আয় করছেন অনেকেই। বাড়িঘরে, সবজি ক্ষেতের বেড়া, মাচা, পান বরজ, বিভিন্ন হস্তশিল্প পন্য তৈরীর কাজে পাটখড়ির আলাদা ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় আগে থেকেই। কিন্তু বর্তমানে ব্যাপক হারে পার্টিকেল বোর্ড তৈরীতে ব্যবহার হচ্ছে পাটখড়ি এবং চারকলগুলোতে ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে পাটখড়ি। অন্য দিকে পাটখড়ি পুড়িয়ে তার ছাই ব্যবহার হচ্ছে ফসলের ক্ষেতে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পল্লীবিদ্যুৎ বাজার এলাকার কৃষক মো: আফজাল হোসেন জানান, ৫০ শতক জমির পাট থেকে যে পাটখড়ি পেয়েছি সুন্দরভাবে শুকিয়ে পরিস্কার করে বিক্রি করতে পারলে তা থেকে ৮-১০ হাজার টাকা আয় করা যায়। পাটখড়ি সরাসরি চারকল বা বোর্ড ফ্যাক্টরিতে দিতে পারলে আরো বেশি দামে বিক্রি করা যেতে পারে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গিলাবাড়ী গ্রামের কৃষক মো: নুরল ইসলাম বলেন, পাটকাঠির চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। পাটখড়ি বিক্রি করে কিছুটা লোকসান পুষিয়ে নেওয়া যায়। পাটখড়ি আগে শুধু জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হলেও বর্তমানে নানামুখী কাজে ব্যবহারের ফলে কৃষকেরা বাড়তি লাভবান হচ্ছেন। অনেকেই বাড়ি থেকে পাটখড়ি কিনে তা শহরে বিক্রি করতে শুরু করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: রাসেল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁও জেলায় এ বছর ৭ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৯৮ হাজার ৪১৫ বেল।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার সব উপজেলাতে কম বেশি পাটের আবাদ হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ অঞ্চলের পাট রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মিল-কারখানায় বিক্রি হয় বলে শোনা যায়। এর পাশাপাশি পাটখড়িও ইতিমদ্যে রপ্তানী হতে দেখা যায়। এতে করে কৃষকেরা বাড়তি মুনাফা অর্জন করতে পারছেন। ভবিষ্যতে পাটখড়িও দেশের বিভিন্ন পার্টিকেল বোর্ড মিল ও চারকল মিলে দিয়ে কৃষকেরা আর্থিক দিক দিয়ে আরও লাভবান হবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

 

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঠাকুরগাঁওয়ে বহুমুখী ব্যবহারে পাটখড়ির কদর বেড়েছে

আপডেট সময় : ০৮:০০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

 

মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি

পাটখড়ি এক সময় অবহেলার পন্য হলেও বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির আশীর্বাদে বহু ক্ষেত্রে পাটখড়ি ব্যবহার বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়, জ্বালানি, চারকল, পার্টিকেল বোর্ড মিলে, হস্তশিল্প তৈরীতে। ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকেরা পাট বিক্রি করে যতটা লাভবান হচ্ছেন তার সাথে পাটখড়ি বিক্রি করেও কিছুটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও বেশিরভাগ বাড়িতে জ্বালানী হিসেবে বেশ নাম ডাক রয়েছে পাটখড়ির। বেশ কিছু মানুষকে পাটখড়ি শহরে বিক্রি করে জীবীকা নির্বাহ করতেও দেখা যায়। এরই ধারবাহিকতায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সারি সারি পাটখড়ির আটি বেধে রোদে শুকাতে দিয়েছেন কৃষকেরা। ভালোমত শুকিয়ে গেলে কৃষকদের বাড়ি থেকেই কিনে নিয়ে যায় ব্যবসায়িরা। তারা পাটখড়ি কৃষকদের কাছ থেকে মোটামুটি দামে কিনে ভ্যানে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকেন। এতে করে বাড়তি আয় করছেন অনেকেই। বাড়িঘরে, সবজি ক্ষেতের বেড়া, মাচা, পান বরজ, বিভিন্ন হস্তশিল্প পন্য তৈরীর কাজে পাটখড়ির আলাদা ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় আগে থেকেই। কিন্তু বর্তমানে ব্যাপক হারে পার্টিকেল বোর্ড তৈরীতে ব্যবহার হচ্ছে পাটখড়ি এবং চারকলগুলোতে ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে পাটখড়ি। অন্য দিকে পাটখড়ি পুড়িয়ে তার ছাই ব্যবহার হচ্ছে ফসলের ক্ষেতে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পল্লীবিদ্যুৎ বাজার এলাকার কৃষক মো: আফজাল হোসেন জানান, ৫০ শতক জমির পাট থেকে যে পাটখড়ি পেয়েছি সুন্দরভাবে শুকিয়ে পরিস্কার করে বিক্রি করতে পারলে তা থেকে ৮-১০ হাজার টাকা আয় করা যায়। পাটখড়ি সরাসরি চারকল বা বোর্ড ফ্যাক্টরিতে দিতে পারলে আরো বেশি দামে বিক্রি করা যেতে পারে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গিলাবাড়ী গ্রামের কৃষক মো: নুরল ইসলাম বলেন, পাটকাঠির চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। পাটখড়ি বিক্রি করে কিছুটা লোকসান পুষিয়ে নেওয়া যায়। পাটখড়ি আগে শুধু জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হলেও বর্তমানে নানামুখী কাজে ব্যবহারের ফলে কৃষকেরা বাড়তি লাভবান হচ্ছেন। অনেকেই বাড়ি থেকে পাটখড়ি কিনে তা শহরে বিক্রি করতে শুরু করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: রাসেল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁও জেলায় এ বছর ৭ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৯৮ হাজার ৪১৫ বেল।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার সব উপজেলাতে কম বেশি পাটের আবাদ হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ অঞ্চলের পাট রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মিল-কারখানায় বিক্রি হয় বলে শোনা যায়। এর পাশাপাশি পাটখড়িও ইতিমদ্যে রপ্তানী হতে দেখা যায়। এতে করে কৃষকেরা বাড়তি মুনাফা অর্জন করতে পারছেন। ভবিষ্যতে পাটখড়িও দেশের বিভিন্ন পার্টিকেল বোর্ড মিল ও চারকল মিলে দিয়ে কৃষকেরা আর্থিক দিক দিয়ে আরও লাভবান হবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

 

শেয়ার করুন