ঢাকা ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে আ’লীগের চেয়ারম্যানকে কুপিয়েছে দূর্বৃত্তরা বগুড়ার শিবগঞ্জে মরা গরু জবাইরে চেষ্টা:ভ্রাম্যমাণ আদালতে কসাইসহ দুইজনের ১৫ দিনের জেল  আত্রাইয়ে মাদক,সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত উপজেলা গড়তে চান-ওসি সাহাবুদ্দীন বটিয়াঘাটায় মহান বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি মূলক সভা  ঠাকুরগাঁওয়ে রানীশংকৈলে ঐতিহাসিক উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ নেকমরদ ওরশ মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে । আদমদীঘিতে মাদকসেবনের দায়ে চার জনের জেল-জরিমানা  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের গাড়ির ধাক্কায় নিহত ১ শেখ পরিবারের নামে থাকা গোপালগঞ্জের মেডিকেল কলেজ,- ট্রমা সেন্টার, -চক্ষু হাসপাতালের নাম পরিবর্তন নাসিরনগরে ইসকন নিষিদ্ধ দাবিতে হেফাজতে ইসলামের মানববন্ধন ময়মনসিংহ নগরীর কুখ্যাত মাদক ব্যাবসায়ী সুরমা পাট গুদাম ব্রীজ মোড় গ্রেফতার

ঠাকুরগাঁওয়ে জামালপুর ইউনিয়নের বাল্যবিয়ে হচ্ছে জেনেও পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগ ইউএনও এবং পুলিশের বিরুদ্ধে !

মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে একটি ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে থামাতে সদরের ইউএনও ও পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করার পরেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস,এম মোস্তাক । অভিযোগকারী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস. এম মোস্তাক বলেন, আমার ইউনিয়নে ১ জন নাবালিকা মেয়ে (১৬) ১ জন নাবালক ছেলের (১৫) বাড়িতে অনশন করলো, সেখানে বিয়ে হলো, বিষয়গুলো নিয়ে আমি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও ইউএনও’কে ফোনে অবগত করি, কিন্তু কেউ কোনো পদক্ষেপ নেননি। যদি তারাই না নেয় তাহলে আমি আর কি করবো? জানা গেছে, সম্প্রতি গত ৬ জুন দুপুরে জামালপুর ইউনিয়নের মহেশআলী আব্দুর রউফের মেয়ে (১৬) বিয়ের দাবিতে একই ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের মইনুল ইসলামের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন। বিষয়টি জানাজানির পরে মইনুল ইসলামের ছেলে (১৫) বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে ৭ জুন রাতে স্থানীয় ৭নং–ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নরেশ চন্দ্র ও ৯ নং –ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজিরুল ইসলাম সহ পরিবারের সমঝোতার মধ্যে ছেলেটিকে নিয়ে এসে ২ জন নাবালক ও নাবালিকা মেয়ের বাল্যবিয়ে দেন। এদিকে, বাল্যবিয়ে দেয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এমন ঘটনা সমাজের ওপর খারাপ প্রভাব আনবে বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা এমদাদুল হক বলেন, একটি মেয়ে ২ দিন ধরে অনসন করে আছে, কিন্তু ছেলে পক্ষের কেউ প্রশাসনকে খবর দিলো না। এরপর আবার ২ ওয়ার্ডের মেম্বাররা মিলে নাবালক ও নাবালীকা ছেলে-মেয়ের বাল্যবিয়ে দিলো। বিষয়টি ঠিক হলো না। বিষয়টি নিয়ে জামালপুর ইউনিয়নের ৯ নং –ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঐ এলাকার মেম্বারের সঙ্গে কথা বলে দাওয়াতের মাধ্যমে ২ জনের বিয়ে দিয়েছি। বাল্যবিবাহ কেন দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবার রাজি তো আপনার আমার কী ভাই? তবে ৭ নং– ওয়ার্ডের মেম্বার বিবাহের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এদিকে অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এ বিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, আমাকে জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কোনো ফোন দেয়নি। এখন তিনি ডিউটি অফিসারকে অবগত করেছে হয়তো তা আমার জানার বাইরে। বিষয়টি খবর নিচ্ছি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন, আমাকে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফোন করেননি। তবে গ্রাম পুলিশ ফোন দিয়েছিল, আমি বলেছিলাম ঘটনার বিস্তারিত জানাতে, পরে কেউ কিছু বলেনি।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঠাকুরগাঁওয়ে জামালপুর ইউনিয়নের বাল্যবিয়ে হচ্ছে জেনেও পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগ ইউএনও এবং পুলিশের বিরুদ্ধে !

আপডেট সময় : ১২:০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে একটি ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে থামাতে সদরের ইউএনও ও পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করার পরেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস,এম মোস্তাক । অভিযোগকারী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস. এম মোস্তাক বলেন, আমার ইউনিয়নে ১ জন নাবালিকা মেয়ে (১৬) ১ জন নাবালক ছেলের (১৫) বাড়িতে অনশন করলো, সেখানে বিয়ে হলো, বিষয়গুলো নিয়ে আমি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও ইউএনও’কে ফোনে অবগত করি, কিন্তু কেউ কোনো পদক্ষেপ নেননি। যদি তারাই না নেয় তাহলে আমি আর কি করবো? জানা গেছে, সম্প্রতি গত ৬ জুন দুপুরে জামালপুর ইউনিয়নের মহেশআলী আব্দুর রউফের মেয়ে (১৬) বিয়ের দাবিতে একই ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের মইনুল ইসলামের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন। বিষয়টি জানাজানির পরে মইনুল ইসলামের ছেলে (১৫) বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে ৭ জুন রাতে স্থানীয় ৭নং–ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নরেশ চন্দ্র ও ৯ নং –ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজিরুল ইসলাম সহ পরিবারের সমঝোতার মধ্যে ছেলেটিকে নিয়ে এসে ২ জন নাবালক ও নাবালিকা মেয়ের বাল্যবিয়ে দেন। এদিকে, বাল্যবিয়ে দেয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এমন ঘটনা সমাজের ওপর খারাপ প্রভাব আনবে বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা এমদাদুল হক বলেন, একটি মেয়ে ২ দিন ধরে অনসন করে আছে, কিন্তু ছেলে পক্ষের কেউ প্রশাসনকে খবর দিলো না। এরপর আবার ২ ওয়ার্ডের মেম্বাররা মিলে নাবালক ও নাবালীকা ছেলে-মেয়ের বাল্যবিয়ে দিলো। বিষয়টি ঠিক হলো না। বিষয়টি নিয়ে জামালপুর ইউনিয়নের ৯ নং –ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঐ এলাকার মেম্বারের সঙ্গে কথা বলে দাওয়াতের মাধ্যমে ২ জনের বিয়ে দিয়েছি। বাল্যবিবাহ কেন দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবার রাজি তো আপনার আমার কী ভাই? তবে ৭ নং– ওয়ার্ডের মেম্বার বিবাহের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এদিকে অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এ বিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, আমাকে জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কোনো ফোন দেয়নি। এখন তিনি ডিউটি অফিসারকে অবগত করেছে হয়তো তা আমার জানার বাইরে। বিষয়টি খবর নিচ্ছি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন, আমাকে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফোন করেননি। তবে গ্রাম পুলিশ ফোন দিয়েছিল, আমি বলেছিলাম ঘটনার বিস্তারিত জানাতে, পরে কেউ কিছু বলেনি।

শেয়ার করুন