ঢাকা ০৪:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
রাজশাহীর প্রথম নারী ডিসি আফিয়া আখতারকে বিভাগীয় কমিশনার ড.হুমায়ূন কবীরের শুভেচ্ছা জমাদিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত নওগাঁর ইয়াদঅআলীর মোড়ে হামলার ঘটনায় ৩ জন বিএনপির নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত মাধবপুরে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৩ সদস্য আটক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের কর্মরত ৬৭২ কর্মীকে অন্যায় ভাবে চাকরি উচ্ছেদ পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান কুড়িগ্রামে শত্রুতার বলি ২শ মণ মাছ, আনুমানিক ক্ষতি ৫০ লাখ ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বি এসে বি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক আত্মসাৎ কৃত টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন সুন্দরবন কে ভালোবেসে ম্যানগ্রোভ চারাগাছ কে পুজো দিয়ে ভাঁইফোঁটা প্রেসক্লাব রূপসার পক্ষে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে ফুলেল শুভেচছা

গৃহহীনদের ঘর বুঝে পাবার আগেই নদীগর্ভে বিলীন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে

 

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আবাসন প্রকল্পের ঘর ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এরইমধ্যে ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে ৫টি ঘর ভেঙে গেছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত আবাসন প্রকল্পটি হস্তান্তর করা হয়নি। তবে স্থানীয়ভাবে ৬০ থেকে ৭০টি পরিবার সেখানে বসবাস করছেন।

এদিকে ভাঙন হুমকিতে থাকায় অনেক দিন হতে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেও কোনো সুরাহা মেলেনি বলছেন জনপ্রতিনিধিরা। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে উপজেলার অষ্টমীরচরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খোদ্দবাশপাতার এলাকার ১০০ পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আবাসন প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়।

আবাসন প্রকল্পটি হস্তান্তর না হলেও বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ পরিবার রয়েছেন বলে জানা গেছে। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন হুমকিতে আবাসনের এক দিকের একটি ব্যারাকের ৫টি কক্ষ ভেঙে গেছে নদীতে। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা এখনই না নিলে পুরো আবাসনটি বিলীন হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম রেজা জানান, গত রাতে দুটি রুম নদীতে ভেঙে গেছে। আমার উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মালামালগুলো সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রেখেছি। বিষয়টি নিয়ে এর আগে ইউএনওসহ পিআইও স্যারের ওখানে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল।

অষ্টমীরচর ইউনিয়নের পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলে নজরুল ইসলাম জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। যে কোনো সময় আবাসনটি নদীতে ভেঙে যেতে পারে। আমি খোঁজ নিয়েছি আবাসনে ভাঙন শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আবাসনের ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়নি। এমনিতে স্থানীয় ৬০-৭০ পরিবার সেখানে রয়েছে। এর আগে একটা কমিটি করে সুবিধাভোগীর তালিকা করা হয়েছিল কিন্তু অভ্যন্তরীণ ঝামেলার কারণে সেটা বাস্তবায়ন হয়নি।

চিলমারীর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার নঈম উদ্দীন জানান, ইউপি সদস্যের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। সেখানের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে এবং সরিয়ে রেখেছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। আপাতত তাদের জিও ব্যাগ বরাদ্দ নেই। তারপরেও কথা বলে রেখেছি যদি জিও ব্যাগ বরাদ্দ পাওয়া যায় ভাঙন রোধ করার জন্য। আমাদের দিক থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গৃহহীনদের ঘর বুঝে পাবার আগেই নদীগর্ভে বিলীন

আপডেট সময় : ০৭:২১:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

 

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আবাসন প্রকল্পের ঘর ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এরইমধ্যে ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে ৫টি ঘর ভেঙে গেছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত আবাসন প্রকল্পটি হস্তান্তর করা হয়নি। তবে স্থানীয়ভাবে ৬০ থেকে ৭০টি পরিবার সেখানে বসবাস করছেন।

এদিকে ভাঙন হুমকিতে থাকায় অনেক দিন হতে স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেও কোনো সুরাহা মেলেনি বলছেন জনপ্রতিনিধিরা। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে উপজেলার অষ্টমীরচরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খোদ্দবাশপাতার এলাকার ১০০ পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আবাসন প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়।

আবাসন প্রকল্পটি হস্তান্তর না হলেও বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ পরিবার রয়েছেন বলে জানা গেছে। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন হুমকিতে আবাসনের এক দিকের একটি ব্যারাকের ৫টি কক্ষ ভেঙে গেছে নদীতে। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা এখনই না নিলে পুরো আবাসনটি বিলীন হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম রেজা জানান, গত রাতে দুটি রুম নদীতে ভেঙে গেছে। আমার উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মালামালগুলো সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রেখেছি। বিষয়টি নিয়ে এর আগে ইউএনওসহ পিআইও স্যারের ওখানে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল।

অষ্টমীরচর ইউনিয়নের পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলে নজরুল ইসলাম জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। যে কোনো সময় আবাসনটি নদীতে ভেঙে যেতে পারে। আমি খোঁজ নিয়েছি আবাসনে ভাঙন শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আবাসনের ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়নি। এমনিতে স্থানীয় ৬০-৭০ পরিবার সেখানে রয়েছে। এর আগে একটা কমিটি করে সুবিধাভোগীর তালিকা করা হয়েছিল কিন্তু অভ্যন্তরীণ ঝামেলার কারণে সেটা বাস্তবায়ন হয়নি।

চিলমারীর ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার নঈম উদ্দীন জানান, ইউপি সদস্যের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। সেখানের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে এবং সরিয়ে রেখেছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। আপাতত তাদের জিও ব্যাগ বরাদ্দ নেই। তারপরেও কথা বলে রেখেছি যদি জিও ব্যাগ বরাদ্দ পাওয়া যায় ভাঙন রোধ করার জন্য। আমাদের দিক থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

শেয়ার করুন