ঢাকা ১২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
দৈনিক হালচাল পত্রিকার সাংবাদিক আছানুল হক এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ  কুড়িগ্রামে ৩২.৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নওগার ঘাটনগরে মাদক নির্মূল কমিটির আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রাউজানের পশ্চিম গুজরায় সূলভ মূল্যে খাদ্য সামগ্রী পেল ৪শ জন এনায়েতপুর ছাত্র হত্যা মামলায় সাবেক এমপি মোমিন মন্ডলের পিএস সেলিম সরকার গ্রেফতার, সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশে ব্যাপক রদবদল ৬ থানার ওসি বদলী দুই হাতে গুলি চালানো রুবেল ফের ৭ দিনের রিমান্ডে ট্রেন হতে ১৭৫ বোতল ফেনসিডিলসহ দুইজন আটক লাম্বুর হাট হোসাইনিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে গুণিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন বটিয়াঘাটায় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় শহররক্ষা বেড়ীবাঁধ হুমকির মুখে।

গাংনীতে ৮০ টি কেন্দ্রে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সুযোগ সৃষ্টি 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করতে মেহেরপুরে কাজ করছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পিইডিপি-৪ এর সাব কম্পোনেন্ট ২.৫ এর আওতায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন কর্মসুচি।

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে ন্যায্য ও মানসম্মত শিক্ষা এবং সবার জন্য আজীবন শেখার সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছে সরকার। পিছিয়ে থাকবেনা কোন শিশুই, শিক্ষার সাথে সবাইকে অন্তর্ভূক্ত করে কাজ করছে সরকার।

এ কেন্দ্রের নমনীয় শিক্ষা পদ্ধতিতে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য উদ্যেশ্যপূর্ণ এবং নিয়ম মাফিক শিখন ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করার সুযোগ তৈরী হবে। এ লক্ষেই সরকার ঝরে পড়া, পিছিয়ে পড়া ও বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়া শিশুদের নিয়ে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। যার অংশ হিসেবে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ৮০ টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে।

পহেলা জানুয়ারি-২০২২ থেকে বিদ্যালয়গুলো চালু করা হয়। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) সরকারের সহযোগি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে এই কেন্দ্রগুলোকে পরিচালনা করে আসছেন।

ইতোমধ্যেই গাংনী উপজেলার ৮০ টি কেন্দ্রে ৮০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১ জন উপজেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও ৬ জন সুপারভাইজার। প্রতিটি কেন্দ্রে রয়েছে ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বই, খাতা, রুল, পেন্সিল, ড্রইং খাতা, স্কুল ব্যাগ ও ড্রেসসহ সকল ধরনের শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে শিশু শ্রমের সাথে জড়িত রয়েছে এ ধরনের শিশুরাও প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়ে এই শিখন কেন্দ্রে পড়া লেখার সুযোগ পেয়েছে। আউট অব স্কুল চিলড্রেন কর্মসুচির গাংনী উপজেলার প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিখন কেন্দ্রগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত সুন্দর পরিবেশে পাঠদানসহ বিনোদন, খেলাধুলা ও আনন্দময় পরিবেশ অব্যাহত রয়েছে। বেসরকারি সংস্থা’র প্রতিনিধিসহ সরকারি স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা প্রশাসনের প্রতিনিধিগন কেন্দ্রগুলো মনিটরিং ও পর্যবেক্ষনসহ শিক্ষার্থীদের ধরে রাখতে নানা কর্মসূচি গ্রহন করেছেন। আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন কর্মসূচির প্রোগ্রাম হেড ও মউকের নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিম বলেন, সরকারের সকল নীতিমালা অনুসরণ করে এই কর্মসূচির সফল ভাবে বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মেহেরপুর একটি সিমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় শিক্ষায় এ জেলার মানুষ অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে অভিভাবকরা অসচেতন হওয়ায় বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুরা শিক্ষা চক্র সমাপনী না করেই বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে। এমনকি বিদ্যালয়ে নাম মাত্র ভর্তি হয়ে থাকলেও কোনো বিদ্যালয়ে পাঠ কাজে অংশ নেয় না। ফলে উপানুষ্ঠানিক কেন্দ্রগুলো শিক্ষার্থীদের নিয়ে সময় মতো পরিচালনা করায় তারা এই বিদ্যালয়ে পড়া-লেখায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

এই বিষয়ে প্রকল্পের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মুরাদ হোসেন ও জেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাদ আহাম্মদ বলেন, গাংনী উপজেলা থেকে ২ হাজার ৪’শ ২২ জন শিশু শিখন কেন্দ্রে শিখনের মাধ্যমে সমাপনী শেষ করবে এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। মাধ্যমিকে ভর্তিতে ইচ্ছুক নয় তাদেরকে সরকারি ভাবে বৃত্তি মুলক প্রশিক্ষন দিয়ে সাবলম্বী করে গড়ে তুলতে সরকারি ভাবে উদ্যোগ গ্রহনের পরিকল্পনা রয়েছে। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে এবং পিছিয়ে পড়া শিশুরা এ কর্মসূচির আওতায় এসে শিক্ষা কর্মসূচির সাথে সংযুক্ত হয়ে পড়া-লেখায় মনো নিবেষ করছে। ইতোমধ্যে সকল কেন্দ্রের শিক্ষকবৃন্দ বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাওয়ায় কেন্দ্রের পরিবেশে মানসম্মত পড়া লেখা ও অভিভাবকদের মনে আনন্দের ছোঁয়া লেগেছে।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গাংনীতে ৮০ টি কেন্দ্রে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সুযোগ সৃষ্টি 

আপডেট সময় : ১১:৪৫:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২

মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করতে মেহেরপুরে কাজ করছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পিইডিপি-৪ এর সাব কম্পোনেন্ট ২.৫ এর আওতায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন কর্মসুচি।

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে ন্যায্য ও মানসম্মত শিক্ষা এবং সবার জন্য আজীবন শেখার সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছে সরকার। পিছিয়ে থাকবেনা কোন শিশুই, শিক্ষার সাথে সবাইকে অন্তর্ভূক্ত করে কাজ করছে সরকার।

এ কেন্দ্রের নমনীয় শিক্ষা পদ্ধতিতে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য উদ্যেশ্যপূর্ণ এবং নিয়ম মাফিক শিখন ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করার সুযোগ তৈরী হবে। এ লক্ষেই সরকার ঝরে পড়া, পিছিয়ে পড়া ও বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়া শিশুদের নিয়ে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। যার অংশ হিসেবে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ৮০ টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে।

পহেলা জানুয়ারি-২০২২ থেকে বিদ্যালয়গুলো চালু করা হয়। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) সরকারের সহযোগি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে এই কেন্দ্রগুলোকে পরিচালনা করে আসছেন।

ইতোমধ্যেই গাংনী উপজেলার ৮০ টি কেন্দ্রে ৮০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১ জন উপজেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও ৬ জন সুপারভাইজার। প্রতিটি কেন্দ্রে রয়েছে ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বই, খাতা, রুল, পেন্সিল, ড্রইং খাতা, স্কুল ব্যাগ ও ড্রেসসহ সকল ধরনের শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে শিশু শ্রমের সাথে জড়িত রয়েছে এ ধরনের শিশুরাও প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়ে এই শিখন কেন্দ্রে পড়া লেখার সুযোগ পেয়েছে। আউট অব স্কুল চিলড্রেন কর্মসুচির গাংনী উপজেলার প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিখন কেন্দ্রগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত সুন্দর পরিবেশে পাঠদানসহ বিনোদন, খেলাধুলা ও আনন্দময় পরিবেশ অব্যাহত রয়েছে। বেসরকারি সংস্থা’র প্রতিনিধিসহ সরকারি স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা প্রশাসনের প্রতিনিধিগন কেন্দ্রগুলো মনিটরিং ও পর্যবেক্ষনসহ শিক্ষার্থীদের ধরে রাখতে নানা কর্মসূচি গ্রহন করেছেন। আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন কর্মসূচির প্রোগ্রাম হেড ও মউকের নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিম বলেন, সরকারের সকল নীতিমালা অনুসরণ করে এই কর্মসূচির সফল ভাবে বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মেহেরপুর একটি সিমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় শিক্ষায় এ জেলার মানুষ অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে অভিভাবকরা অসচেতন হওয়ায় বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুরা শিক্ষা চক্র সমাপনী না করেই বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে। এমনকি বিদ্যালয়ে নাম মাত্র ভর্তি হয়ে থাকলেও কোনো বিদ্যালয়ে পাঠ কাজে অংশ নেয় না। ফলে উপানুষ্ঠানিক কেন্দ্রগুলো শিক্ষার্থীদের নিয়ে সময় মতো পরিচালনা করায় তারা এই বিদ্যালয়ে পড়া-লেখায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

এই বিষয়ে প্রকল্পের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মুরাদ হোসেন ও জেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাদ আহাম্মদ বলেন, গাংনী উপজেলা থেকে ২ হাজার ৪’শ ২২ জন শিশু শিখন কেন্দ্রে শিখনের মাধ্যমে সমাপনী শেষ করবে এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। মাধ্যমিকে ভর্তিতে ইচ্ছুক নয় তাদেরকে সরকারি ভাবে বৃত্তি মুলক প্রশিক্ষন দিয়ে সাবলম্বী করে গড়ে তুলতে সরকারি ভাবে উদ্যোগ গ্রহনের পরিকল্পনা রয়েছে। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে এবং পিছিয়ে পড়া শিশুরা এ কর্মসূচির আওতায় এসে শিক্ষা কর্মসূচির সাথে সংযুক্ত হয়ে পড়া-লেখায় মনো নিবেষ করছে। ইতোমধ্যে সকল কেন্দ্রের শিক্ষকবৃন্দ বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাওয়ায় কেন্দ্রের পরিবেশে মানসম্মত পড়া লেখা ও অভিভাবকদের মনে আনন্দের ছোঁয়া লেগেছে।

শেয়ার করুন