খুলনা জেলা পরিষদে শেখ হারুনুর রশীদ পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- আপডেট সময় : ১২:১০:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২ ৮৩ বার পড়া হয়েছে
মোহাঃ আশরাফুল ইসালাম, খুলনা সদর প্রতিনিধিঃ ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদ। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমএম মোর্ত্তজা রশিদী দারা পেয়েছেন ৪০৩ ভোট। এর আগে উৎসবমুখর পরিবেশ সকাল ৯টা থেকে খুলনা জেলার ১০টি কেন্দ্রে একইসাথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দিনের প্রথম ঘন্টায় বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও ১১টার পর থেকে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। মোট ৯৭৮ জন ভোটারের মধ্যে .. জন ভোট প্রদান করেন। প্রতিটি কেন্দ্রের ভিতরে ও বাইরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভোটাররা কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ভোট প্রদান করেছেন।
নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসক মো, মনিরুজ্জামান তালুকদার সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ভোটকেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
জানা যায়, নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রায় ১১ বছর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচিত ঘোষনার পর তিনি তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগের সকলস্তরের কর্মী সমর্থক ও ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে জেলা পরিষদের অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই সাথে খুলনা জেলা পরিষদকে ‘মডেল জেলা পরিষদ’ করার অঙ্গীকার করেন।
শেখ হারুনুর রশীদ দীর্ঘ ৬১ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ১৯৯১ সালের পর থেকে ৭ বার খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। দুই বার জাতীয় সংসদ সদস্য, বিরোধী দলীয় হুইপ, প্রায় ১১ বছর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রশাসক পদে দায়িত্ব পালন করেন।
পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হলেন যারা
খুলনা জেলা পরিষদে ৯টি সাধারণ পদের মধ্যে ৮টি ভোট হয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডে আগেই সাবিনা ইয়াসমিন মুক্তা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য নির্বাচিত হন। ১নং ওয়ার্ড দাকোপে ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সরোজিত কুমার রায়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কবির হোসেন খাঁন, তিনি পেয়েছেন পেয়েছেন ৩৮ ভোট।
কয়রা উপজেলার ২নং ওয়ার্ডে জি এম আবদুল্লাহ আল মামুন লাভলু ৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জহুরুল হক বাচ্চু পেয়েছেন ২৪ ভোট।
৩নং ওয়ার্ড পাইকগাছায় ৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন রবিউল ইসলাম গাজী রবি। তার নিকটতম শেখ তৈয়ব হোসেন নূর তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৪ ভোট।
ডুমুরিয়ার ৪নং ওয়ার্ডে এমডি এ হালিম বাবু ১১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হয়েছেন শাহনেওয়াজ বিশ্বাস শিমুল পেয়েছেন ৬৫ ভোট।
৬নং ওয়ার্ড বটিয়াঘাটায় দিলীপ হায়দার ৫৬ ভোটি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য প্রার্থী মোল্লা মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৩৮ ভোট।
দিঘলিয়া উপজেলার ৭নং ওয়ার্ডে সাইফুল ইসলাম বাবু ও জাকির হোসেন সমান ২৯ ভোট পান। পরে লটারিতে বিজয়ী হয়েছেন সাইফুল ইসলাম বাবু।
৮নং ওয়ার্ড তেরখাদায় নির্বাচিত হয়েছেন এম ডি মফিজ উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন ৪৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আলমগীর হোসেন পেয়েছেন ১২ ভোট।
কেসিসি ও রূপসা মিলিয়ে ৯নং ওয়ার্ড। সেখানে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান চৌধুরী রায়হান ফরিদ। তিনি পেয়েছেন ৯৭ ভোট।