ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবিসি ন্যাশনাল নিউজ২৪ ইপেপার

ব্রেকিং নিউজঃ
একের পর এক ঢাকার অনুরোধে ইউনূস–মোদি বৈঠক বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নয়াদিল্লি পরিত্যক্ত অবস্থায় ১৩৮ বোতল ফেন্সিডিল, ৯৩০ গ্রাম হেরোইন এবং বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে প্রায় ১০০০পরিবার বান বাসীদের মাঝে উপহার বিতরণ করছেন মুসাইদাহ ফাউন্ডেশন এস. সরফুদ্দিন আহম্মেদ সেন্টুর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে উজিরপুর থানা শ্রমিক দল বিশ্বনবী (সা.) সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমত। দুধরচকী।  ঠাকুরগাঁওয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে বিক্রি খোলা খাবার,বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, সচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ ! আত্রাইয়ে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে পাঁচ জনের কাছে থেকে ২৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও রাণীনগরে মারপিটে আহত গৃহবধুর মৃত্যু! দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দৌলতপুর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুবেল ও যুগ্ম আহবায়ক রতন বহিষ্কার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ (৫৩ বিজিবি) অভিযানে ২ জন আসামীসহ ১৫৯ বোতল ফেন্সিডিল ও ১টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা আটক

ক্ষমতার লোভ আর করবেন না পালানোর রাস্তা পাবেন না -মির্জা ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২ ১৮১ বার পড়া হয়েছে

 

কামরুল ইসলাম চট্টগ্রাম

নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অনুষ্ঠিত খুলনার বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন জেগেছে আজ জনতা তাই ক্ষমতার লোভ ছেড়ে দিয়ে তত্তবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন আর না হয় পালানোর রাস্তা পাবেন না অবৈধ সরকার শেখ হাসিনা।

 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের উদ্দেশে আরও বলেন, এখনও সময় আছে, নিরাপদে সরে যান। না হয় পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে দেশে আওয়ামী লীগের চিহ্নও থাকবে না। টান টান উত্তেজনার মধ্যে গতকাল খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তি, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সারা দেশে বিভাগীয় গণসমাবেশের ধারাবাহিকতায় খুলনার এই সমাবেশ করে বিএনপি। কিন্তু গণসমাবেশের আগের দিন থেকেই খুলনায় বাস, লঞ্চ, ফেরি, নৌকা-ট্রলার পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। খবর বিডিনিউজের।

আশপাশের জেলাগুলো থেকে সব জায়গায় গাড়ি চলাচল করলেও ‘ধর্মঘটের নামে’ শুক্রবার থেকে শুধু খুলনার পথের বাস বন্ধ ছিল। এতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চাকরি প্রার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। খুলনায় ঢোকার সড়কে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করলেও তাতে বাধা দেওয়া হয়েছে। খুলনাকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। এর মধ্যেই ট্রেনে, মোটরসাইকেলে, অটোরিকশায়, হেঁটে লোকজনকে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়।

 

অনেক নেতাকর্মী আবার সমাবেশকে কেন্দ্র করে এক-দুদিন আগেই খুলনায় গিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বা হোটেল-মেসে উঠেন। সকাল ৯টার পর থেকেই গণসমাবেশমুখী নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

সমাবেশ দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তিন ঘণ্টা আগে বেলা ১১টায় জাতীয় ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে যায়। সমাবেশ মঞ্চে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য একটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়। তার বাম পাশের চেয়ারে আসন নেন বিএনপির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল জনতার মিছিল দেখিয়ে সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনারা দমিয়ে রাখতে পারবেন না। নতুন সাহস নিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি। বিএনপি নতুন সাহসে বলীয়ান, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

মামলা-হামলা করে বিএনপিকে দমানো যাবে না মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আমাদের বয়স হয়েছে তারপরও লড়াই করছি। মূল দায়িত্ব তরুণদের ওপরে, লড়াইয়ে জিততে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি, সহিসংসতা করছি না। আমাদের ওপর হামলা করে পার পাবেন না। বিদেশিরা বুঝে গেছে, আপনারা সন্ত্রাসের দল। হামলা করে ক্ষমতায় টিকে আছেন।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার বলছে, দুর্ভিক্ষের পদধ্বনির কথা। কারণ তারা লুটপাট করছে। দেশকে নরকে পরিণত করেছে সরকার। সব অর্জন ধ্বংস করে ফেলেছে। অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে এসব করছে সরকার। একবার ভোট ছাড়া, আরেকবার নিশি রাতে। ২০২৩ সালে নির্বাচন একইভাবে করার পাঁয়তারা করছে।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশন নিজেদের ভালো দেখানোর জন্য কৌশল নিয়েছে। কমিশনকে তো ডিসি-এসপিই মানেন না। তাই আমরা নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলছি না। তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। তাই এই সরকারকে বিদায় জানাতে হবে।

শেয়ার করুন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ক্ষমতার লোভ আর করবেন না পালানোর রাস্তা পাবেন না -মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০১:০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২

 

কামরুল ইসলাম চট্টগ্রাম

নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অনুষ্ঠিত খুলনার বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন জেগেছে আজ জনতা তাই ক্ষমতার লোভ ছেড়ে দিয়ে তত্তবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন আর না হয় পালানোর রাস্তা পাবেন না অবৈধ সরকার শেখ হাসিনা।

 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের উদ্দেশে আরও বলেন, এখনও সময় আছে, নিরাপদে সরে যান। না হয় পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে দেশে আওয়ামী লীগের চিহ্নও থাকবে না। টান টান উত্তেজনার মধ্যে গতকাল খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তি, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সারা দেশে বিভাগীয় গণসমাবেশের ধারাবাহিকতায় খুলনার এই সমাবেশ করে বিএনপি। কিন্তু গণসমাবেশের আগের দিন থেকেই খুলনায় বাস, লঞ্চ, ফেরি, নৌকা-ট্রলার পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। খবর বিডিনিউজের।

আশপাশের জেলাগুলো থেকে সব জায়গায় গাড়ি চলাচল করলেও ‘ধর্মঘটের নামে’ শুক্রবার থেকে শুধু খুলনার পথের বাস বন্ধ ছিল। এতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চাকরি প্রার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। খুলনায় ঢোকার সড়কে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করলেও তাতে বাধা দেওয়া হয়েছে। খুলনাকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। এর মধ্যেই ট্রেনে, মোটরসাইকেলে, অটোরিকশায়, হেঁটে লোকজনকে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়।

 

অনেক নেতাকর্মী আবার সমাবেশকে কেন্দ্র করে এক-দুদিন আগেই খুলনায় গিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বা হোটেল-মেসে উঠেন। সকাল ৯টার পর থেকেই গণসমাবেশমুখী নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

সমাবেশ দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তিন ঘণ্টা আগে বেলা ১১টায় জাতীয় ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে যায়। সমাবেশ মঞ্চে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য একটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়। তার বাম পাশের চেয়ারে আসন নেন বিএনপির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল জনতার মিছিল দেখিয়ে সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনারা দমিয়ে রাখতে পারবেন না। নতুন সাহস নিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি। বিএনপি নতুন সাহসে বলীয়ান, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

মামলা-হামলা করে বিএনপিকে দমানো যাবে না মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আমাদের বয়স হয়েছে তারপরও লড়াই করছি। মূল দায়িত্ব তরুণদের ওপরে, লড়াইয়ে জিততে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি, সহিসংসতা করছি না। আমাদের ওপর হামলা করে পার পাবেন না। বিদেশিরা বুঝে গেছে, আপনারা সন্ত্রাসের দল। হামলা করে ক্ষমতায় টিকে আছেন।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার বলছে, দুর্ভিক্ষের পদধ্বনির কথা। কারণ তারা লুটপাট করছে। দেশকে নরকে পরিণত করেছে সরকার। সব অর্জন ধ্বংস করে ফেলেছে। অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে এসব করছে সরকার। একবার ভোট ছাড়া, আরেকবার নিশি রাতে। ২০২৩ সালে নির্বাচন একইভাবে করার পাঁয়তারা করছে।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশন নিজেদের ভালো দেখানোর জন্য কৌশল নিয়েছে। কমিশনকে তো ডিসি-এসপিই মানেন না। তাই আমরা নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলছি না। তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। তাই এই সরকারকে বিদায় জানাতে হবে।

শেয়ার করুন